• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

৩৫ এর পর সন্তান নিচ্ছেন? মাথায় রাখুন এই ব্যাপারগুলো

  সাদিয়া ইসলাম বৃষ্টি

২৩ এপ্রিল ২০১৯, ০৮:৩৯
সন্তানধারণ
ছবি : প্রতীকী

গান কিংবা বইয়ে অনেকসময় আমাদের শরীরকে ঘড়ির সাথে তুলনা করা হয়। সময় চলে গেলে যেমন বাকি কাজগুলো শেষ করাটা কঠিন হয়ে পড়ে, একটু বেশি মনোযোগ দেওয়ার দরকার হয়; ঠিক তেমনি একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর সন্তানধারণের ক্ষেত্রেও বাড়তি কিছু ব্যাপার মনে রাখতে হয়।

আমাদের শরীর তার সময় অনুযায়ী সন্তান জন্মদানের জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়। একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর, বিশেষ করে নারীদের সন্তানধারণ ক্ষমতা কমে যেতে শুরু করে। ৩৫ বছরের পর থেকে সেটা শুরু হয়। ৫০ বছরের পর সম্ভাবনা সবচাইতে কম থাকে। আর এমনটা ঘটে নারীর শরীরে ডিম্বাণুর পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণে। পুরুষদের ক্ষেত্রেও শুক্রাণুর উৎপাদন কমে যায় এই বয়সে।

৩৫ বছর বয়সের পর সন্তান ধারণের চেষ্টা করছেন? এই কয়েকটি ব্যাপার মাথায় রাখুন-

১। মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন

প্রতিদিন কতরকম মানসিক চাপ তো আমাদের থাকেই। এরই সাথে যদি সন্তান নেওয়ার ব্যাপারেও বাড়তি মানসিক চাপ নিয়ে ফেলেন, তাহলে সেটা আপনাকে সাহায্য করবে না। উল্টো এতে করে আপনার সন্তান নেওয়ার সম্ভাবনা আরো কমে যেতে পারে। তাই, খুব বেশি মানসিক চাপ না নিয়ে ধীরেসুস্থে চেষ্টা করুন।

২। একে অন্যের সাথে থাকুন

গর্ভধারণ না করতে পারার পেছনে যেমন নারীর সমস্যা থাকতে পারে, তেমনি পুরুষেরও শারীরিক সমস্যা কাজ করতে পারে। কখনো কখনো দুইজনেরই শারীরিক সমস্যা থাকতে পারে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই সমস্যার পেছনে নারীকে দায়ী করা হয়। ফলে যে সমস্যাটির সমাধান সহজে ও সুন্দরভাবে করে ফেলা যেতো, সেটাই আরও কঠিন হয়ে পড়ে।

সন্তান ধারণ

৩। চিকিৎসকের সাথে নিয়মিত কথা বলুন

অনেকেই ভাবেন যে, চিকিৎসকের সাথে কোনো সমস্যা না হলে হাসপাতালে যাওয়ার বা পরীক্ষা করার কোনো প্রয়োজন নেই। বাস্তবে সন্তানধারণের ক্ষেত্রে হওয়া সমস্যাগুলো খুব স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। প্রতি ছয়জন দম্পতির মধ্যে একজনের এই সমস্যা হয়ে থাকে। তাই সন্তান নেওয়ার ইচ্ছে থাকলে প্রতি ৬ মাস পরপর চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন এবং পরীক্ষা করে জেনে নিন যে আপনাদের শরীরে কোনোরকম সমস্যা তৈরি হয়েছে কিনা।

৪। চিকিৎসা সবক্ষেত্রে একইরকম হয় না

আপনি হয়তো ভাবছেন, অন্য কারও ক্ষেত্রে যে চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে, আপনার ক্ষেত্রেও সন্তানধারনে কোনো সমস্যা হলে সেই পদ্ধতি অনুসরণ করলেই চলবে। বাস্তবে ব্যাপারটি একেবারেই এরকম নয়। শারীরিক অবস্থা, স্বাস্থ্যগত সমস্যা এবং সন্তানধারণের ক্ষমতার ওপরে নির্ভর করে আপনার সাথে কোন চিকিৎসাটি বেশি ভালো কাজ করবে।

এই যেমন, তুলনামূলকভাবে কম বয়সী এবং কম সমস্যার মুখোমুখি হওয়া দম্পতিদের ক্ষেত্রে আইইউআই পদ্ধতি সবচাইতে ভালো কাজ করে। এটি খরচের দিক দিয়েও সাশ্রয়ী। অন্যদিকে, কোনোভাবে শুক্রাণূর কার্যক্ষমতা কম থাকলে বা জরায়ুতে কোনো বাঁধা দেখা দিলে সেক্ষেত্রে ইন ভেট্রো ফার্টিলাইজেশন ব্যবহার করেন চিকিৎসকেরা।

সন্তান ধারণ

ইন ভেট্রো ফার্টিলাইজেশনের প্রক্রিয়াটি কেমন?

এক্ষেত্রে ১০-১৪ দিনের মধ্যে নারীর শরীরে কয়েকবার ফার্টিলিটি ইনজেকশন প্রদান করা হয়। এতে করে নারীর শরীরে ডিম্বাণুর পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। তখন সেখান থেকে ডিম্বাণু সংগ্রহ করে স্বামীর শুক্রাণুর সাথে ল্যাবে নিষিক্ত করে ল্যাবে ইনকিউবেটরে ৩-৫ দিনের মতো রাখা হয়।

সবচাইতে সেরা ভ্রুণটিই এক্ষেত্রে বাছাই করে নারীর শরীরে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে তার মানে কিন্তু এই নয় যে, আইভিএফ সবসময় ১০০% কাজ করে। এটি ব্যবহার করলেও সন্তান আদৌ ধারণ করা সম্ভব হবে কিনা সেটা নির্ভর করে বয়স ও শারীরিক ক্ষমতার ওপরে।

তাই, কোনো বিশেষ পদ্ধতি বা ধারণার উপরে নির্ভরশীল না থেকে চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন। এতে করে কোনো সমস্যার মুখোমুখি হলে যত দ্রুত সেটা জানতে পারবেন, তত দ্রুতই এর সমাধান করাটাও সম্ভব হবে।

মূল লেখক- লিম মিন ইউ, গ্লেনাগ্লেস হসপিটাল।

ওডি/এনএম

স্বাস্থ্য-ভোগান্তি, নতুন পরিচিত অসুস্থতার কথা জানাতে অথবা চিকিৎসকের কাছ থেকে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরামর্শ পেতেই-মেইলকরুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব এবং সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যার পরামর্শ দেবার প্রচেষ্টা থাকবে আমাদের।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড