• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৩ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ডায়াবেটিস কেন হয়?

  রাকিব রওনক

৩১ জানুয়ারি ২০১৯, ০৯:৩৬
ডায়াবেটিস
ছবি : প্রতীকী

ডায়াবেটিস বিশ্বব্যাপী একটি ভয়ংকর এবং মরণঘাতী রোগ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১১ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বের ৮ ভাগ মানুষ ডায়াবেটিস এ আক্রান্ত এবং ২০৩০ সালের মধ্যে তা বেড়ে ৩০ ভাগে উন্নীত হবে। ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষের ৮০ ভাগই নিম্ন এবং মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ এবং এদের বেশিরভাগই এশিয়া অঞ্চলের মানুষ।

বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ১০ ভাগ মানুষ (৮.৪ মিলিয়ন) ডায়াবেটিস এ আক্রান্ত। কাজেই বলা যায়, আমরা বেশ ঝুঁকিতে রয়েছি। ডায়াবেটিস প্রতিরোধের আগে আমরা একটু জানার চেষ্টা করি ডায়াবেটিস কী এবং কেন হয়।

আমাদের রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা ঠিক থাকা অত্যন্ত জরুরি। ইনসুলিন নামক একটি হরমোন এই গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের কাজ করে। ডায়াবেটিস হয় যখন শরীরের এই ইনসুলিন উৎপাদন কমে যায় কিংবা কোষ ইনসুলিনের প্রতি কম সাড়া দেয়। ফলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং এর ফলে শরীরে নানাবিধ সমস্যা এমনকি স্ট্রোক কিংবা হৃদরোগ পর্যন্ত হতে পারে।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, ডায়াবেটিস দুই প্রকার- টাইপ-১ এবং টাইপ-২।

বেশিরভাগ মানুষের ডায়াবেটিস টাইপ-২ হয়। কাজেই আমরা এখানে টাইপ-২ এর কথাই বলব। এছাড়া, প্রি-ডায়াবেটিস বলে একটা ধাপ রয়েছে যেখানে কোনো মানুষের ডায়াবেটিস নেই, কিন্তু হওয়ার সম্ভাবনা বেশি তা বুঝায় এবং প্রি-ডায়াবেটিস হওয়া মানুষদের ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি। এখন আমরা দেখি কিভাবে এই ডায়াবেটিস থেকে আপনি মুক্তি পেতে পারেন।

১. শরীরচর্চা :

ব্যায়াম আপনার শরীর সতেজ রাখতে খুবই উপযোগী। যেসব মানুষ সপ্তাহে নূন্যতম ১৫০ মিনিট শুধু হাঁটাহাঁটি করেন তারা অনেক রকম রোগ থেকে মুক্ত থাকেন। নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীরের ওজন ঠিক থাকে, রক্তে গ্লুকোজ মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং ইনসুলিনের প্রতি কোষের সংবেদনশীলতা বেড়ে যায় ফলে, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি অনেক কমে যায়।

২ .পরিমিত খাবার গ্রহণ :

পূর্ববর্তী লেখায় আমি উল্লেখ করেছিলাম খ্যাদাভ্যাসের গুরুত্ব নিয়ে। পরিমিত খাবার গ্রহণ কেবল ডায়াবেটিসই না স্থূলতা প্রতিরোধেও উপযোগী।

আরও পড়ুন : ওজন কমাতে শরীরচর্চা নয়, প্রয়োজন খাদ্যাভ্যাস

৩. আঁশযুক্ত সবজি এবং কম শর্করাযুক্ত খাবার :

কম শর্করাযুক্ত খাবার গ্রহণ করলে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। আমাদের উপমহাদেশে ডায়াবেটিস বেশি হওয়ার পেছনে শর্করা জাতীয় খাবারের আধিক্য। কাজেই খাবারে প্রোটিনের পরিমাণ বাড়াতে এবং শর্করা কমাতে উদ্যোগী হোন। কোমল পানীয় কম খাওয়ার চেষ্টা করুন। আর আঁশজাতীয় খাবার আপনার পৌষ্টিকতন্ত্রকে ঠিক রাখতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে সহায়ক। কাজেই ফাইবার তথা আঁশ রয়েছে এরকম সবজি (যেমন ঢ়েড়স) খাবারের তালিকায় রাখুন। এছাড়াও ধূমপান ও মদপান থেকে বিরত থাকা, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা, মোড়কজাত খাদ্য পরিহার করা ইত্যাদি উপায়ে ডায়াবেটিস হওয়া থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারেন।

লেখক : শিক্ষার্থী, ঢাকা মেডিকেল কলেজ

স্বাস্থ্য-ভোগান্তি, নতুন পরিচিত অসুস্থতার কথা জানাতে অথবা চিকিৎসকের কাছ থেকে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরামর্শ পেতেই-মেইলকরুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব এবং সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যার পরামর্শ দেবার প্রচেষ্টা থাকবে আমাদের।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড