• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

মুরগির ডিমে প্রতিরোধ করা যাবে ক্যানসার

  অধিকার ডেস্ক    ২৯ জানুয়ারি ২০১৯, ১১:০১

ডিম
ছবি : প্রতীকী

এবার বিজ্ঞানীরা এমন এক ডিমের কথা জানাচ্ছেন যার সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে প্রাণঘাতী ক্যানসার। এই ডিম সাধারণ মুরগির পাড়া কোনো ডিম নয়। মুরগির দেহে জিনগত কিছু পরিবর্তন ঘটানোর পর, ওই মুরগি যেই ডিম পাড়বে তাতেই এই চিকিৎসা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

গবেষকরা জানাচ্ছেন, এ ধরণের ডিমে এমন কিছু ঔষুধ থাকবে যা দিয়ে আর্থ্রাইটিসসহ কয়েক ধরনের ক্যানসারের চিকিৎসা করা সম্ভব। শুধু তাই নয়, বিজ্ঞানীরা এও জানাচ্ছে এসব ঔষুধ কারখানায় উৎপাদন করতে যত খরচ হবে, মুরগির মাধ্যমে একই ঔষুধ তৈরি করলে খরচ একশো গুণ কম হবে। তাদের দাবি, এ পদ্ধতিতে বাণিজ্যিক পরিমাণে ঔষুধ তৈরি করাও সম্ভব।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে ব্রিটেনের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসলিন টেকনোলজিসের গবেষক ড. লিসা হেরন বলেন, ‘মূলত এ ডিম পাড়লে মুরগির স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি হয় না। তাদেরকে রাখা হয় বড় বড় খোপে। অত্যন্ত বৈজ্ঞানিক উপায়ে তাদের প্রতিদিন খাবার ও পানি দেওয়া হয়। ডিম পাড়া তাদের জীবনে স্বাভাবিক ঘটনা হওয়ায় মুরগির স্বাস্থ্যের ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাবও পড়ে না।’

এর আগে বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে দেখিয়েছেন যে ছাগল, খরগোশ ও মুরগির শরীরে জিনগত কিছু পরিবর্তন ঘটালে তাদের ডিম বা দুধে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন তৈরি হয় যা ক্যানসারের চিকিৎসায় ব্যবহার করা সম্ভব। তবে এবারের পরীক্ষাটি আগেরগুলোর তুলনায় বেশি কার্যকরী বলে জানিয়েছেন তারা।

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, মানুষের দেহে রোগ জন্মের পেছনে একটি বড় কারণ হলো আমাদের শরীরে কোনো একটি নির্দিষ্ট রাসায়নিক কিংবা প্রোটিন খুব বেশি পরিমাণে তৈরি হয় না। আমরা যদি এই প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে পারি তবে অনেক রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

এই পরীক্ষায় ড. হেরন এবং তার সহ-গবেষকরা মুরগির ডিএনএর ভেতর মানুষের এমন একটি জিন স্থাপন করেন যা প্রোটিন তৈরি করে থাকে। তারা পরীক্ষা করে দেখেন, এর ফলের মুরগির ডিমের সাদা অংশের মধ্যে ওই প্রোটিনের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। বেশ কিছু পরীক্ষার মাধ্যমে তারা ডিমের সাদা অংশকে আলাদা করে তাতে প্রচুর পরিমাণে মানব প্রোটিনের খোঁজ পেয়েছেন।

মানব দেহে রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন হচ্ছে IFNalpha2a এবং macrophage-CSF। বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় এই দুটি প্রোটিনের ওপরই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। এদের প্রথমটি ক্যানসার প্রতিরোধী এবং দ্বিতীয়টি ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যুকে সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে।

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই ঔষধের এক ডোজ তৈরি করতে কেবল তিনটি ডিমই যথেষ্ট। একটি মুরগি বছরে প্রায় ৩০০টি ডিম পাড়তে সক্ষম। তাই, প্রচুর মুরগি চাষের মাধ্যমে বাণিজ্যিক হারেও এই ঔষুধ উৎপাদন করা সম্ভব।

স্বাস্থ্য-ভোগান্তি, নতুন পরিচিত অসুস্থতার কথা জানাতে অথবা চিকিৎসকের কাছ থেকে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরামর্শ পেতেই-মেইলকরুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব এবং সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যার পরামর্শ দেবার প্রচেষ্টা থাকবে আমাদের।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড