সাদিয়া ইসলাম বৃষ্টি
মাইগ্রেনের একেবারে দূর করে ফেলার কোনো উপায় নেই। তবে হ্যাঁ, সাধারণ কিছু কৌশলে, জীবনযাপন পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তন এনে মাইগ্রেনের সমস্যাকে অনেকটা হলেও প্রতিরোধ করা যায় বা কমিয়ে আনা যায়। আমাদের চারপাশের এমন অনেক জিনিস রয়েছে যেগুলো মাইগ্রেনকে ট্রিগার করে। ব্যক্তিভেদে মাইগ্রেন তৈরি করার এই উপাদানগুলো ভিন্ন হয়। কিন্তু যদি আগে থেকেই মাইগ্রেনকে বাড়িয়ে দিতে পারে এমন সবগুলো ব্যাপারকে এড়িয়ে চলেন তাহলে মাইগ্রেন নামের ভয়ানক এই সমস্যা থেকে মুক্ত হতে পারবেন আপনি। কী এই ট্রিগারগুলো?
১। বসার অবস্থান সম্পর্কে খেয়াল রাখুন
চেয়ারে বসে কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে আছেন। অথচ এর চাপ পড়ছে ঘাড়ের ওপরে? অনেকটা সময় সামনের দিকে তাকিয়ে থাকলে ঘাড়ে যে ব্যথা তৈরি হয় সেটি মাইগ্রেনের দিকে একজন ব্যক্তিকে নিয়ে যায়। মূলত, এই ঘাড় ব্যথা ট্রাইজেমিনাল স্নায়ুতে গিয়ে আঘাত করে। আর এই স্নায়ু ঘাড় থেকে মুখ, মাথা এবং অন্যান্য অংশে ব্যথাবোধ বহন করে। ঠিক একই ব্যাপারটি ঘটে অনেকটা সময় ধরে মোবাইল ব্যবহার করলেও।
২। অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম এড়িয়ে চলুন
আজ কি একটু বেশিই ঠান্ডা পড়েছে বা গরম লাগছে? তাপমাত্রা যেমনই হোক না কেন, সেটি যদি মাত্রাতিরিক্ত হয় তাহলে চেষ্টা করুন ঘরের ভেতরে থাকতে। অনেকেরই অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরমে মাইগ্রেন জন্ম নেয়। দুটো বিষয়ই এড়িয়ে চলুন।
৩। ক্যাফেইন পান করুন হিসাব বুঝে
অনেকেরই কফি পান করলে মাইগ্রেনের ব্যথা চলে যায়। তাই বলে কিন্তু বারবার কফি পান করা মোটেও কাজের কথা নয়। বিশেষজ্ঞরা দিনে ১০০ মিলিগ্রামের বেশি কফি পান করতে মানা করেছেন। কারণ, এতে করে মাইগ্রেন চলে না গিয়ে এর তীব্রতা আরও বেড়ে যেতে পারে।
৪। প্রচুর পানি পান করুন
আপনি হয়তো বুঝতেও পারছেন না, কিন্তু আপনার মতো আরও অনেকের ক্ষেত্রেই পানি সঠিক পরিমাণে পান না করার কারণে মাইগ্রেন তৈরি হয়। মাইগ্রেনে আক্রান্ত প্রতি তিনজন মানুষের একজনের ক্ষেত্রে এটি ঘটে পানিশূন্যতার কারণে। তাই, প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।
৫। ঘুমিয়ে পড়ুন
অনেকটা সময় না ঘুমালে মাইগ্রেন দেখা দিতে পারে। মাইগ্রেন শুরু হতে যাচ্ছে এটা বোঝার সঙ্গে সঙ্গেই ঘুমানোর চেষ্টা করুন। ২০-৩০ মিনিটের ঘুমের পর অনেকেরই মাইগ্রেনের সমস্যা চলে যায়।
৬। তীব্র গন্ধ থেকে দূরে থাকুন
শক্তিশালী গন্ধ, সেটা যেমনই হোক না কেন, দূরে থাকুন। এই গন্ধ ভালো হোক বা খারাপ- তীব্র গন্ধ মাইগ্রেনকে ট্রিগার করে। এমনকি কর্মক্ষেত্রেও এই ব্যাপারটি মেনে চলার চেষ্টা করুন। খুব বেশি সমস্যা হলে আপনার বসার স্থান বদলে নিন। তবে যেভাবেই হোক, কড়া গন্ধকে এড়িয়ে চলুন।
৭। আলোরোধক চশমা পরুন
বেশিরভাগ মাইগ্রেনে আক্রান্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রেই আলো নেতিবাচকভাবে কাজ করে। তাই, আলোরোধক চশমা পরুন। এতে করে আলো সরাসরি আপনার চোখে পড়বে না। ফলে মাইগ্রেনের ব্যথাও দ্রুত বেড়ে যাবে না।
এছাড়াও, অনেকের ক্ষেত্রে খাবার মাইগ্রেনের কারণ হিসেবে কাজ করে। কেউ পনির খেলে, কেউ অ্যালকোহল পান করলে বা শুষ্ক ফল খেলে মাইগ্রেনের সমস্যায় ভোগেন। কিছুদিন নিজের প্রতি লক্ষ্য রাখুন। কখন আপনার মাইগ্রেনের সমস্যা বেড়ে যাচ্ছে? একবার কারণ বা ট্রিগার পয়েন্ট বের করতে পারলেই এর সমাধানটাও আপনার জন্য সহজ হয়ে পড়বে।
সূত্র- এভরিডেহেলথ
ওডি/এনএম
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড