স্বাস্থ্য ডেস্ক
পুষ্টিকর একটি খাদ্য ডিম। এর পুষ্টির কথা কম-বেশি সবাই জানেন। ওমলেট, ভাজি, তরকারি, সেদ্ধ বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া হয় এটি। দেহের প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটাতে ডিমের তুলনা মেলা ভার।
এছাড়াও ডিমে রয়েছে শর্করা, স্নেহ এবং বিভিন্ন খনিজ পদার্থ। আমাদের দেশে মুরগি, হাঁস ও কোয়েল পাখির ডিম সবচেয়ে বেশি খাওয়া হয়। একটি ডিমে ১৪৩ ক্যালরি এনার্জি থাকে। এর অন্যান্য উপাদানগুলোর মধ্যে রয়েছে শূন্য দশমিক ৭২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১২ দশমিক ৫৬ গ্রাম প্রোটিন, ৯ দশমিক ৫১ গ্রাম ফ্যাট।
এছাড়া রয়েছে ১৯৮ মিলিগ্রাম ফসফরাস, ১৩৮ মিলিগ্রাম পটাসিয়াম, ১ দশমিক ২৯ মিলিগ্রাম জিংক। এ সবগুলো উপাদান ডিমের পুষ্টিগুণ বাড়িয়েছে।
পেশি ও হাড়ের জোর বাড়াতে সাহায্য করে ডিম। তবে কীভাবে ডিম খাচ্ছেন এ বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। তেলহীন অর্থাৎ সেদ্ধ ডিম সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর। পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতিদিন শরীরচর্চা বা কায়িক পরিশ্রম করেন না এমন ব্যক্তিদের কখনোই দিনে দুটির বেশি ডিম খাওয়া উচিত নয়। গরমের দিনে একটির বেশি ডিম না খাওয়াই ভালো।
কাজ করার জন্য শক্তির প্রয়োজন। ডিম খেলে সেই শক্তি পাওয়া যায়। মূলত ডিমে থাকা ভিটামিন থেকেই এই শক্তি মেলে। এর ভিটামিন বি খাদ্যকে এনার্জি বা শক্তিতে রূপান্তরিত করে।
আরও পড়ুন : ডিমের কুসুম স্বাস্থ্যকর নাকি অস্বাস্থ্যকর
ডিমে রয়েছে ভিটামিন এ, এটি চোখের জন্য বেশ ভালো। ডিম খেলে দৃষ্টিশক্তি উন্নত হয়। এছাড়া ডিমে থাকা ক্যারোটিনয়েড আর ল্যুটেন বয়স হয়ে গেলে চোখের এক বড় সমস্যা, ম্যাকুলার ডিজেনারেশন হওয়ার সম্ভাবনা কমায়।
শরীরের জন্য ডিম বেশ উপকারী। তাই, রোজ একটি করে ডিম রাখতে পারেন খাদ্যতালিকায়।
ওডি/এনএম
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড