• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৩ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

মৃগীরোগে ভুগছেন, ঘুমাবেন কীভাবে?

  সাদিয়া ইসলাম বৃষ্টি

১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৭:২৬
মৃগীরোগ
ঘুম না হওয়ার কারণ খুঁজুন (ছবি- প্রতীকী)

সারাদিন মানসিক ও শারীরিকভাবে কর্মক্ষম থাকার জন্য প্রয়োজন রাতের নিরবিচ্ছিন্ন ঘুম। কিন্তু, এপিলেপ্সি বা মৃগীরোগে ভুগছেন এমন মানুষের জন্য ঘুমানোটা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। আর ঘুমালেও এপিলেপ্সির কারণে তৈরি হওয়া সিজার বা খিঁচুনি সেই ঘুমকে সম্পূর্ণ হতে দেয় না। জাগ্রত ও ঘুমন্ত- দুই অবস্থাতেই মৃগীরোগের প্রকোপ দেখা দিতে পারে। তবে সময়টা যেমনই হোক না কেন, ঘুমালেও সাধারণ মানুষের চাইতে অনেক বেশি ক্লান্ত এবং হতাশ থাকেন এপিলেপ্সির ভুক্তভোগীরা।

এপিলেপ্সি থাকাবস্থাতেই সঠিকভাবে এবং পরিমিত ঘুমের জন্য মানতে পারেন কিছু কৌশল।

১। চোখ বন্ধ করে রাখুন

এই কৌশলটির কথা হয়তো আপনি আগে থেকেই জানেন। তবে ঘুমানোর জন্য না, বরং নিজের চোখ এবং মস্তিষ্ককে আরও একটু বেশি সময়ের জন্য অবসর দিতেই ঘুম না আসলেও চোখ বন্ধ করে রাখুন।

শিশুদের জন্য ৯-১১ ঘণ্টা, কিশোর-কিশোরীদের জন্য ৮-১০ ঘণ্টা এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে পরিমাণমতো ঘুমাতে না পারলেও চোখ বন্ধ করে রাখুন।

২। সময়সূচি নির্ধারণ করুন

আপনি প্রতিদিন সকাল ৯টায় সকালের খাবার খেতে শুরু করলে কিছুদিন পর লক্ষ্য করলে দেখবেন যে, আপনার ক্ষুধা ঠিক সকাল ৯টাতেই পাচ্ছে। ঠিক তেমনি সময়সূচি কাজ করে ঘুমের ক্ষেত্রেও। তাই, প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমোতে যান এবং ঘুম থেকে উঠুন। এতে করে আপনার শরীর এই সূচির সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে যাবে।

৩। ঘুম না হওয়ার কারণ খুঁজুন

অবশ্যই এপিলেপ্সি নিজেই ঘুম ঠিকঠাকভাবে না হওয়ার একটি অন্যতম কারণ। এছাড়া অন্যান্য কারণও এর পেছনে থাকতে পারে। তাই প্রথমেই এপিলেপ্সিকে আপনার ঘুম না হওয়ার পেছনে দায়ী না করে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন।

সারাদিন ক্লান্ত থাকা, রাতে ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা এবং ঘুমাতে না পারা ব্যাপারটি মোটেই খুব একটা স্বাভাবিক ব্যাপার নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে যদি নির্দিষ্ট কোনো কারণ এর পেছনে থাকে তাহলে তার সমাধান বের করুন। এতে করে আপনি যে কেবল ভালোভাবে ঘুমোতে পারবেন তাই নয়, আপনার এপিলেপ্সির সমস্যাও অনেকটা কমে যাবে।

৪। অতিরিক্ত ঘুম নয়

অনেকে ভাবেন বেশি সময় ঘুমিয়ে নিলে তাতে করে মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। কিন্তু আপনার শরীর কিন্তু এই বাড়তি সময় ঘুমানোর জন্য প্রস্তুত নয়। তাই অ্যালার্ম ঠিক একই সময়ে রাখুন। যদি আপনি রাত ১টায় ঘুমাতে যান প্রতিদিন, তাহলে আজকে সুযোগ পেয়ে আগেই ঘুমিয়ে যাবেন না। একটা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন এবং তারপর ঘুমাতে যান। মনে রাখবেন, সময় নয়, বরং ঘুমের মানটাই সবচেয়ে বেশি দরকারি।

আরও পড়ুন : ত্বক যখন সুস্থতার আয়না

৫। পরিবেশকে তৈরি করুন

ঘুমানোর আগে এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকুন যা আপনার ঘুমকে প্রভাবিত করতে পারে। বিছানায় শোয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘুমিয়ে যাবেন এমন আশা না রেখে কিছুক্ষণ শুয়ে, প্রযুক্তি থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন রেখে মানসিক ও শারীরিকভাবে শান্ত হয়ে নিন। দেখবেন, এরপর কখন যে ঘুমিয়ে গিয়েছেন আপনি তা টেরও পাবেন না!

এপিলেপ্সি এবং ঘুম- এই দুটো ব্যাপারের একে অন্যের সঙ্গে সম্পর্ক বেশ গভীর। এরা যেমন নানারকম সমস্যা তৈরি করে, তেমনি একে অন্যকে প্রভাবিতও করে। তাই, এপিলেপ্সিকে ঠিক না করতে পারলেও নিজের ঘুমের পদ্ধতিকে পাল্টে ফেলুন। এতে করে ধীরে ধীরে আপনার মৃগীরোগের সমস্যাও কমে আসবে।

সূত্র- এভরিডেহেলথ

ওডি/এনএম

স্বাস্থ্য-ভোগান্তি, নতুন পরিচিত অসুস্থতার কথা জানাতে অথবা চিকিৎসকের কাছ থেকে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরামর্শ পেতেই-মেইলকরুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব এবং সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যার পরামর্শ দেবার প্রচেষ্টা থাকবে আমাদের।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড