স্বাস্থ্য ডেস্ক
শীতকালে সর্দি-কাশি এবং জ্বরে আক্রান্ত হওয়া অনেকটাই স্বাভাবিক। বিশেষ করে শিশুরা এগুলোতে বেশি আক্রান্ত হয়। এসব ভাইরাসজনিত সর্দি-কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হলে কোনো ওষুধ না খেলেও রোগী স্বাভাবিকভাবে সাত দিনের মাঝে ভালো হয়ে যায়।
কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় জ্বর তিন দিনের মাঝে ভালো না হলে রোগী অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে ফেলেন। এই প্রবণতা শুধু গ্রাম-গঞ্জেই নয়, শহরেও দেখা যায়। এমনকি শিক্ষিত সমাজেও প্রায়ই এটি হচ্ছে। আসলে ভাইরাসজনিত কোনো রোগেই অ্যান্টিবায়োটিক কোনো কাজ করে না। বরং সেটি রোগীর জন্য ক্ষতিকর।
এ বিষয়ে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোস্তফা কামাল রউফ বলেন, আমাদের দেশে সাধারণত ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, প্রোটোজোয়া, ফাঙ্গাস ও আরও কিছু কারণে রোগ হয়ে থাকে। এদের মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে শুধু ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগের ক্ষেত্রে। ভাইরাস, ছত্রাক বা ফাঙ্গাসজনিত রোগের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক কোনো কাজ করে না। এটি ব্যবহার করলে রোগীর অপকার ছাড়া কিছুই হবে না।
ডা. মোস্তফা কামাল রউফ আরও বলেন, ভাইরাসজনিত সর্দিকাশি ও জ্বরের ক্ষেত্রে যদি রোগী কোনো ওষুধ ব্যবহার না করে সে ক্ষেত্রেও অসুবিধা নেই। কারণ, ভাইরাসজনিত রোগ ছয় থেকে সাত দিনের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই ভালো হয়ে যায়। তবে রোগীর উচিত হবে রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। কেননা, কোনটি ভাইরাসজনিত আর কোনটি অন্যকিছুতে হয়েছে সেটি চিকিৎসক ছাড়া বোঝা যাবে না।
ঠান্ডাজনিত সর্দিকাশি ও জ্বরের সময় যেসব কাজ করা যাবে না তার একটি গাইডলাইন দিয়েছেন ডা. মোস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ঠান্ডা ও সর্দিজ্বরে আক্রান্ত হলে যেখানে-সেখানে নাক ঝাড়া যাবে না। হাঁচি দেয়ার সময় রুমাল বা কনুই বাঁকা করে জামার আস্তিনে নাক-মুখ ঢেকে নিতে হবে। হাতে সর্দি বা হাঁচি লাগলে দ্রুত ধুয়ে ফেলতে হবে। হাত দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে হাঁচি দিলে, সেই হাত দিয়ে কোনো কিছু ধরার আগে অবশ্যই তা ভালোভাবে সাবান দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
ব্যবহৃত টিস্যু পেপার যেখানে-সেখানে না ফেলে ডাস্টবিনে ফেলতে হবে। ভাইরাসজনিত সর্দিজ্বরে আক্রান্ত হলে স্কুল-কলেজ বা অফিসে না যাওয়াই ভালো। এতে এ রোগের ছড়িয়ে পড়া অনেকাংশেই প্রতিরোধ করা সম্ভব।
সর্দি, কাশি ও গলাব্যথায় কী করতে হবে সে সম্পর্কেও পরামর্শও দেন তিনি। মোস্তফা কামাল বলেন, সর্দি, কাশি বা সামান্য গলাব্যথা এমন কোনো বড় ব্যাপার নয়। তবে একবার ঠান্ডা লাগলে তা সারতে সপ্তাহখানেক লাগবেই। আর কাশি ভালো হতে আরও বেশ কয়েকদিন লাগবে। এতে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। এ ধরনের কাশি একটি নির্দিষ্ট সময় পর আপনা-আপনি ভালো হয়ে যায়। তবে কাশির সঙ্গে যদি জ্বর হয়, তাহলে কিন্তু গুরুত্ব দিতে হবে। এই ক্ষেত্রে চিকিৎসকের কাছে যাওয়াই শ্রেয়।
ওডি/ডিএইচ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড