• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩২ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

অন্ত্রের সমস্যার কারণ মানসিক চাপ নয় তো?

  সাদিয়া ইসলাম বৃষ্টি

০১ ডিসেম্বর ২০১৯, ১২:৩৮
মানসিক চাপ
ছবি : প্রতীকী

পেপটিক আলসার কিংবা অ্যাসিডিটি নিয়ে চিন্তিত? মজার ব্যাপার হলো, এই ব্যাপারগুলো প্রতিরোধে আপনি নানারকম ব্যবস্থা নিলেও আপনার মানসিক চাপই কিন্তু এমন অসুখ তৈরি করতে পারে। ঠিক শুনেছেন। মানসিক চাপ শুধু যে আমাদের মানসিক ও শারীরিক অসুস্থতা তৈরি করে তা নয়, একই সঙ্গে অন্ত্রের অসুস্থতাও গড়ে তোলে। আজ তবে অ্যাসিড রিফ্লাক্স ও পেপটিক আলসার সম্পর্কে জেনে নিন আর একইসাথে জেনে নিন মানসিক চাপ কমানোর মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে দূরে থাকার উপায়-

অ্যাসিড রিফ্লাক্স-

পাকস্থলির অ্যাসিড অয়েসোফেগাসে প্রবেশ করলে এতে করে আমার অয়েসোফেগাসে জ্বালাপোড়া, ব্যথা ও অন্যান্য সমস্যা তৈরি হয়। এই অবস্থাকেই অ্যাসিড রিফ্লাক্স বলে। এর মূল লক্ষণগুলো হলো-

● অয়েসোফেগাসে ব্যথা, জ্বালাপোড়া ● শোয়া অবস্থায় বুকের ব্যথা বেড়ে যাওয়া ● জিভের পেছনে তিতা স্বাদ তৈরি হওয়া ● গলায় কিছু আটকে আছে বলে মনে হওয়া এবং ● খাবার খাওয়ার সময় ব্যথা করা

মানসিক চাপ কি অ্যাসিড রিফ্লাক্স তৈরি করে?

মানসিক চাপে থাকলে শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে অ্যাসিড উৎপন্ন হয়। আর এই অবস্থায় একজন মানুষ যদি চাপ কমাতে ক্যাফেইন গ্রহণ করে, সে ক্ষেত্রে অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে।

অ্যাসিড রিফ্লাক্সের চিকিৎসা কী?

অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সহজতর চিকিৎসা হলো অ্যান্টাসিড এবং অন্যান্য ওষুধ সেবন করা। তবে অবস্থা বেশি খারাপ হলে সে ক্ষেত্রে এন্ডোস্কোপি করে ব্যারেটস অয়েসোফেগাস হয়েছে কি না, সেটা দেখবেন চিকিৎসকরা। বেশিদিন এই সমস্যা থাকলে সেখান থেকে ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। ওষুধ সমস্যার সমাধান না করতে পারলে সার্জারির দরকার পড়তে পারে।

পেপটিক আলসার-

যখন অ্যাসিড আমাদের অন্ত্রনালীতে, অর্থাৎ খাবার হজম করার প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করে তখন এই সমস্যাটি দেখা যায়। এতে করে পাকস্থলিতে ও ক্ষুদ্রান্ত্রের উপরিভাগে ফুসকুড়ি তৈরি হয়। এ ক্ষেত্রে যে লক্ষণগুলো দেখা যায় সেগুলো হলো-

● পেটের উপরিভাগে ব্যথাবোধ ● তন্দ্রাভাব ● বুক জ্বালাপোড়া করা ● খাবারের মধ্যে পেটব্যথা এবং খুব দ্রুত পেট ভরে যাওয়া

সমস্যা খুব বেড়ে গেলে রক্তবমি, কালো রঙয়ের মল ও দ্রুত ওজন কমে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

মানসিক চাপ কি পেপটিক আলসার তৈরি করে?

এ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মতামত থাকলেও, চিকিৎসকদের মতে, কিছু কিছু মানসিক চাপ আলসার তৈরিতে সাহায্য করে। আর সেগুলো হলো- কর্মক্ষেত্রের মানসিক চাপ, হতাশা, সামাজিক সমস্যা ইত্যাদি।

পেপটিক আলসারের চিকিৎসা কী?

অ্যাসিড রিফ্লাক্স এবং পেপটিক আলসারের চিকিৎসা অনেকটা এক। এ ক্ষেত্রে প্রথমে ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা চালানো হয়। তবে কোনো ওষুধে কাজ না করলে এন্ডোস্কোপি এবং সার্জারি করার প্রয়োজন পড়ে।

মানসিক চাপ কমাবেন কীভাবে?

আমরা সবাই কম কিংবা বেশি মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে যাই। এ নিয়ে সচেতন হওয়াটা অত্যন্ত প্রয়োজন। একবার আপনি মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন তা বুঝতে পারলে এর সমাধান করাটাও সহজ। চাপের উৎস খুঁজে বের করুন এবং সেটি সহজভাবে নিন কিংবা সেই কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। পরিবারের সাথে কথা বলুন। হাসুন, পরিমিত ঘুমান এবং প্রচুর পানি পান করুন।

মানসিক চাপ শুধু যে আমাদেরকে মানসিকভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত করে তা নয়। এতে করে আমরা শারীরিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হই। তাই মানসিক চাপে ভুগছেন আপনি, এমনটা মনে হলেই এর চিকিৎসা নিন, একে দূর করার চেষ্টা করুন। এতে করে আপনার মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার অনেকটাই ফিরে আসবে।

সূত্র- মাউন্ট এলিজাবেথ হসপিটাল।

ওডি/এনএম

স্বাস্থ্য-ভোগান্তি, নতুন পরিচিত অসুস্থতার কথা জানাতে অথবা চিকিৎসকের কাছ থেকে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরামর্শ পেতেই-মেইলকরুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব এবং সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যার পরামর্শ দেবার প্রচেষ্টা থাকবে আমাদের।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড