• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

স্পেনকে কাঁদিয়ে ইতিহাস গড়ল মরক্কো

  ক্রীড়া ডেস্ক

০৭ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:৫৩
স্পেনকে কাঁদিয়ে ইতিহাস গড়ল মরক্কো
জয় উদযাপন করছেন মরক্কোর ফুটবলাররা (ছবি : ইউরো নিউজ)

আশরাফ হাকিমির পেনাল্টিতে গোল হওয়ার সাথে সাথে যেন গর্জে উঠলো পুরো মরক্কো তথা পুরো আফ্রিকা। কেননা এবারের কাতার বিশ্বকাপের একমাত্র আফ্রিকান দল হিসেবে আসরটির কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলো মরক্কো।

গোলশূন্য ১২০ মিনিট খেলা শেষে টাইব্রেকারে স্পেনকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলো আফ্রিকান সিংহরা। পেনাল্টি শুটআউটে মরক্কোর গোলরক্ষক বৌনর অসাধারণ দক্ষতায় ৩টি শট নিয়ে একটিতে গোল করতে পারেনি স্পেন।

পুরো ম্যাচে মরক্কোর খেলা দেখে একবারও মনে হয়নি তারা হারার জন্য এসেছে। ২০১০ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে দাঁতে দাঁতে কামড়ে লড়াই করেছে আটলাস লায়নরা।

ম্যাচের প্রথম ১০-১৫ মিনিট যেভাবে খেলেছে আফ্রিকান দেশ মরক্কো, তাতে মনে হচ্ছিল স্পেন তাদের সামনে পাত্তাই পাবে না; কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় স্পেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য তাদের। গোলই আদায় করতে পারেনি। একের পর এক আক্রমণ চালিয়েও গোলের দেখা পায়নি মরক্কো।

পরিসংখ্যান টেবিলের দিকে তাকালে দেখা যাবে, মাত্র ৩১ ভাগ ছিল মরক্কোর দখলে বল। ৬৯ ভাগ ছিল স্পেনের তখলে। কিন্তু গোলের জন্য সঠিক একটি বল তৈরি করতে পারেনি স্প্যানিশরা।

চতুর্থ মিনিটেই স্পেনের পেদ্রি মরোক্কোর ডিফেন্ডারদের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পাস দেন গাভিকে। তিনি বলটি নিয়ন্ত্রণ করে গোলে ঢোকানোর আগেই ক্লিয়ার করে দেয় মরক্কো। ১২তম মিনিটে দারুন সুযোগ পেয়েছিলো মরক্কো। আশরাফ হাকিমির বড় সুযোগ ছিল! তিনি মরক্কোর হয়ে ফ্রি-কিক নেন। তবে ক্রসবারের উপর দিয়ে বের হয়ে যায়।

২২ মিনিটে ডানদিক থেকে মরক্কোর জিয়েচের বাজে ফ্রি-কিক, ওলমো হেড করে বিপদমুক্ত করেন। ২৫ মিনিটে স্পেনের গাভির একটি শট বারে লেগে ফিরে আসে। যদিও সাইড রেফারি অফসাইডের ফ্লাগ তুলে বসেন। তবে এ সময় একবার নয়, বারে দু'বার বল বারে আঘাত করে।

২৬তম মিনিটে অ্যাসেনসিও নেটের সাইডে ধাক্কা দেন। বাজেভাবে গোল মিস হয়। ৩৩তম মিনিটেও সুযোগ পায় মরক্কো। তোরেসের কাছ থেকে বলটি ছিনিয়ে নেন মাজরাউই। এবং তারপর বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নেন তিনি। সিমন কোনও মতে সেভ করেন।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে দারুণ খেলতে থাকে মরক্কো। বিশ্বকাপের প্রথমার্ধে মাত্র একটি শট গোলমুখে নেয় স্পেন যা তাদের বিশ্বকাপের ইতিহাসে ১৯৬৬ সালের পর সর্বনিম্ন। দলের আক্রমণের ধার বাড়াতে দ্বিতীয়ার্ধে নামানো হয় মোরাতাকে।

৭০ মিনিটে ডানি ওলমোর ডি বক্সের ভেতর থেকে নেয়া শট দারুণভাবে ব্লক করে অগার্ড। ম্যাচের একদম অন্তিম মুহূর্তে দানি ওলমোর বাকান ফ্রি কিকে কোন স্প্যানিশ খেলোয়াড়ই মাথা ছোঁয়াতে পারেননি; উলটো বল গোলমুখে গেলে দারুণভাবে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন বৌনৌ। কর্নার থেকে দারুণ বলে হেড করেছিলেন লাপোর্ত কিন্তু মরক্কোর জমাট রক্ষণভাগের কাছে তা পরাস্ত হলে গোলশূন্য অবস্থাতেই শেষ ম্যাচ হয়। ফলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

অতিরিক্ত সময়ের শুরু থেকেই গোলের জন্য মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে স্পেন। বড় টুর্নামেন্টের নকআউট রাউন্ডে এই নিয়ে ৬টি ম্যাচই অতিরিক্ত সময়ে গড়ালো স্পেনের ম্যাচ। কিন্তু ১০৪ মিনিটে ম্যাচের সবচেয়ে সহজ সুযোগটা মিস করে মরক্কো। উনাহি ডি বক্সের ভেতর উনাই সিমনকে একা পেয়েও তার গায়ে বল মারেন ফলে গোলবঞ্চিত হয় মরক্কো।

ম্যাচের একদম অন্তিম মুহূর্ত বদলি হিসেবে নামা পিএসজির তারকা পাবলো সারাবিয়ার শট গোলবারে লেগে বাইরে চলে গেলে গোলশূন্য অবস্থাতেই শেষ হয় ১২০ মিনিট।

পেনাল্টি শুটআউটে প্রথম তিনটি শট থেকেই গোল করতে ব্যর্থ হন স্পেনের পাবলো সারাবিয়া, কার্লস সোলার ও বুসকেতস। অন্যদিকে মরক্কো প্রথম দুটি শটে গোল দিলেও তৃতীয় শটটি মিস করে তারা। কিন্তু ৪র্থ শটে গোল করে দলের বিজয় নিশ্চিত করেন আশরাফ হাকিমি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড