• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

শত গুণের সূর্যকন্যা ফুল

  ফিচার ডেস্ক

১০ জুলাই ২০১৯, ১৭:২১
সূর্যকন্যা
পথের পাশে ফুটে থাকা এই ফুলটির রয়েছে নানা ওষুধি গুণ। (ছবি : সংগৃহীত)

শৈশবে এই গাছের ফুল দিয়ে খেলার স্মৃতি হয়তো এখনো অনেকের মনেই জ্বলজ্বলে। রাস্তার ধারে, দেয়াল ঘেঁষে, পুকুর পাড়ে কিংবা কোন পতিত জমিতে আপনাতেই বেড়ে ওঠে এই গাছটি। তবে ইদানিং এই গাছটিকে অনেকেই বাড়ির শোভা বর্ধক হিসেবে লাগিয়ে থাকেন। তবে এই গাছের নানা ওষুধি গুণও রয়েছে। কিন্তু জানেন কী নাম এই গাছের? বিভিন্ন জনের কাছে এই গাছ বিভিন্ন নামে পরিচিত। কেউ কেউ হয়তো জানেনই না এই ছোট্ট সুন্দর ফুলটির নাম।

এটিকে মূলত ডাকা হয় রশুনিয়া নামে। এছাড়াও এই গাছের আরও বেশ কয়েকটি নাম রয়েছে। বিশেষ করে সূর্যকন্যা, মারহাটিটিগা এবং হাংফোইক নামগুলোই বেশি প্রচলিত। এই গাছটির ইংরেজি নাম ইলেক্ট্রিক ডেইজি। এই ছোট্ট সুন্দর ফুলের গাছটি সাধারণত ৩০ থেকে ৪০ সেন্টিমিটার অবধি লম্বা হতে পারে। এই গাছে সারাবছরই ফুল ফুটে থাকে। যেকোন জায়গাতেই বেড়ে উঠতে পারে এই গাছ নিজে নিজেই।

তবে এই গাছ পথের ধারে অবহেলায় ফুটে থাকলেও এর ওষুধি গুণও কিন্তু কম নয়। কাশি, দাঁত ব্যথা, মশা নিধন, শরীর ব্যথা, জিহ্বায় ঘা সহ এটি অনেক রোগের ক্ষেত্রেই বেশ কাজে দেয়। এমনকি এই গাছ চেতনা নাশক হিসেবেও কাজ করে। মজার ব্যাপার হলো গরু ছাগল এই গাছ খায় না। এটি খেলে তৃণভোজী প্রাণীদের মুখের ভেতরের চেতনা কাজ করে না। ফলে এই মারাত্মক গাছটি একরকম এড়িয়েই চলে এইসব প্রাণী। আধুনিক গবেষণা বলছে এই গাছটি মূত্রথলির পাথর নিরাময় করতেও বেশ কার্যকর।

এই গাছটি শুধু ওষুধি গুণের জন্যই সমাদৃত নয়। এর আরও ভিন্ন কিছু গুণ রয়েছে। এটি একইসাথে খাদ্য, মশলা এবং প্রসাধনী হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে বিশ্বের অনেক দেশেই। চীন দেশে এই গাছের কাঁচা পাতা সালাদ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। স্যুপ বানানোর বেলাতেও এই গাছটি বেশ জনপ্রিয় অনেক গৃহিণীর কাছেই। তবে বর্তমানে অনেক দেশেই এই গাছের ছোট্ট হলুদ ফুলটিকেও খাবারের ভিন্ন স্বাদ আনার জন্য মশলা হিসেবে ব্যবহার করা শুরু হয়েছে।

এই গাছের আরেকটি গুণ হচ্ছে এটি হারবাল উপাদান হিসেবেও কাজ করে। মুখের রুক্ষতা দূর করে আকর্ষণিয় এবং সজীব করে তুলতে এই গাছের রসের কোন জুড়ি নেই। এটি একইসাথে মুক্ষের বলীরেখাও দূর করে দেয়। সূর্যকন্যা ফুলের নির্যাস তুলায় ভরিয়ে নেইল পালিশ রিমুভারের কাজ করতে পারেন। তবে তিন বছরের কম বয়সীদের এই গাছের রস নখে না লাগানোই ভালো।

ওডি/এসএম

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড