• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

পাইকারি দামে পণ্য : ঢাকার যেখানে মিলবে যা

  ফিচার ডেস্ক

২২ জুন ২০১৯, ১৫:৪৪
ঢাকা
ছবি : সম্পাদিত

ঢাকার বাইরের জেলায় বাস করা অনেক ব্যবসায়ীই প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে ঢাকায় আসেন। কিন্তু কোন জায়গায় কোন পণ্যের পাইকারী বাজার রয়েছে তা হয়ত জানেন না। ফলে হোঁচট খেতে হয় ব্যবসায়ে চলার পরে। নতুন ব্যবসায়ী অনেকসময় পাইকারি পণ্যের বাজার খুজেই পান না।

ঢাকার কোন মার্কেটে কি পণ্য পাইকারি দরে বিক্রি হয়? চলুন জেনে নিই- বঙ্গবাজার :

গেঞ্জি, প্যান্ট, শার্ট শুরু করে জামা, প্যান্ট, জ্যাকেট, সোয়েটার, গেঞ্জি, জাঙ্গিয়া ইত্যাদি পাইকারি দরে পাওয়া যায় এখানে। রয়েছে পাদুকা সামগ্রী ও শাড়িও। এখানে এসব পণ্য খুচরা ও পাইকারি হারে বিক্রয় হয়।

নবাবপুর :

ফেব্রিকস, গার্মেন্টস এক্সেসরিজ, কৃষি যন্ত্রপাতি, শিল্প যন্ত্রপাতি, ইলেকট্রনিকস সামগ্রী ইত্যাদি পাওয়া যায় এখানে। নিমতলী পেট মার্কেটে পাবেন পশু পাখির বাচ্চা, খাবার পানির পাত্র, খামারের যন্ত্রপাতি ব্রুডার ইত্যাদি। স্টেডিয়াম মার্কেটে পাবেন নতুন পুরাতন মোবাইল, কম্পিউটার ও অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক্স। বঙ্গবন্ধু জাতীয় ষ্টেডিয়ামে থাকা দেশের নামকরা ইলেক্ট্রনিক্স মার্কেটে প্রায় ৮০০টি ইলেক্ট্রনিক্সের দোকান রয়েছে। শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাতের ৮টা পর্যন্ত মার্কেট খোলা থাকে।

এয়ার কন্ডিশনার, রেফ্রিজারেটর, কালার টেলিভিশন (লিড, এলসিডি ও সিআরটি), সিলিং ফ্যান, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ওয়াশিং মেশিন, রাইস কুকার, টোস্টার, ওয়াটার ফিল্টার, আয়রন, ষ্টীল ক্যামেরা, মুভি ক্যামেরা, মেমোরী কার্ড, মোবাইল ফোন, চার্জার, টিভি কার্ড, ডিস এন্টেনা, রিসিভার, ভিসিডি প্লেয়ার, ডিভিডি প্লেয়ার, সিসি টিভি, নিরাপত্তা সরঞ্জাম ও গ্যাসের চুলা পাবেন এখানে।

বায়তুল মোকাররম মার্কেট :

প্রায় সব ধরণের পণ্যই পাওয়া যায় এখানে। দোতলায় রয়েছে দেশের প্রসিদ্ধ বিভিন্ন জুয়েলারী দোকান। ক্যামেরা, সিডি, ডিভিডি প্লেয়ার, টিভিসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য পাওয়া যায় এখানে। পাশাপাশি পাবেন ব্যাগ, ল্যাগেজ, ঘড়ি, চশমা, ক্রোকারিজ, জামা-কাপড়, জুতা, খেলনা ইত্যাদি।

এই মার্কেটে ইসলামী ফাউন্ডেশন এর বই বিক্রয় কেন্দ্রসহ কয়েকটি আতর, টুপি, পাঞ্জাবী, বোরকা, জায়নামাজ প্রভৃতির দোকানও রয়েছে। মসজিদ প্রাঙ্গণে পাবেন ইসলামী বই, সিডি, ডিভিডি ইত্যাদি।

ধোলাইখাল :

যত ধরণের নতুন পুরাতন ইলেক্ট্রনিক্স ও ধাতব যন্ত্রপাতি রয়েছে সব পাবেন এখানে। পুরান ঢাকার নবাবপুর রোডের মোড় থেকে শুরু করে নারিন্দা পর্যন্ত এর বিস্তৃতি। ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় হাজার পাঁচেক খুচরা যন্ত্রাংশের দোকান রয়েছে এখানে। পার্টসের দোকান ছাড়াও রয়েছে ড্রাম শিট, লেদ মেশিন, পুরনো লোহা লক্কড়ের দোকান।

চীন, জাপান, মধ্যপ্রাচ্য, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর থেকে রিকন্ডিশন্ড এই খুচরা যন্ত্রাংশগুলো তারা আমদানি করে। এখানে প্রায় সব মডেলের গাড়ির বিশেষ টয়োটা, নিশান, হোন্ডা, মিৎসুবিশি, সুজুকি, মারুতির যন্ত্রাংশ বেশি পাওয়া যায়। বাস এবং ট্রাকের মধ্যে বেড ফোর্ড, ইসুজু, নিশান, হিনো, ভলভো, টাটা, অশোক লেল্যান্ড, টারসেল, আইয়ার, ক্যান্টার প্রভৃতি গাড়ির যন্ত্রাংশ পাওয়া যায়।

আগেই জেনে রাখুন দাম- যন্ত্রাংশের দাম সম্পর্কে ধারণা না থাকলে এ বাজারে ক্রেতাকে পড়তে হতে পারে বিপাকে। সেক্ষেত্রে দাম জেনে রাখা ভালো। যেমন- সেলফ ১৫শ’ থেকে ২ হাজার ৫শ’, ডায়নামো ১৫শ’ থেকে ২ হাজার, ডিস্ট্রিবিউটর ২ হাজার থেকে ৫ হাজার, কার্বোরেটর ২ হাজার ৫শ’ থেকে ৬ হাজার, ফ্যান মটর ১ হাজার থেকে ২ হাজার ৫শ’, রেডিয়েটর ২ হাজার ৫শ’ থেকে ৭ হাজার, গিয়ার বক্স ২ হাজার থেকে ৭ হাজার, ইঞ্জিন ব্লক ১৫শ’, থেকে ৩ হাজার, পিস্টন সেট ১ হাজার থেকে ২ হাজার ৫শ’ বাল্ব সেট ৫শ’ থেকে ১৫শ’ ক্লাচ প্লেট ৫শ’ থেকে ১ হাজার, প্রেশার প্লেট ১ হাজার ৫শ’ থেকে ২ হাজার, অয়েল পাম্প ১ হাজার ৫শ’ থেকে ২ হাজার, এসি পাম্প ৫শ’ থেকে ৮শ’, প্লাগ ১ হাজার থেকে ৩ হাজার, মবিল চেম্বার ৫শ’ থেকে ১ হাজার।

বিভিন্ন মডেলের ইঞ্জিনও পাবেন ধোলাইখানে। যেমন; হানড্রেড ভাইভ এ ৩০ হাজার, ফোর ই ২৭ হাজার, নাইন টি ৫০ হাজার, নাই টি ফাইভ এ ৩০ হাজার, ফাইভ কে লাইটএজ ৬০ হাজার, ক্রাউন এক্স ১ লাখ, কোরোনা ফোর এক্স এ্যান্ড থ্রি এক্স ৩৫ হাজার টাকা।

কীভাবে যাবেন ধোলাইখাল?

গুলিস্তান থেকে ধোলাইখালে রিকশায় আসতে খরচ হয় ১৫ টাকা আর বাসে খরচ ২ টাকা। মতিঝিল থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে ধোলাইখালের অবস্থান। মতিঝিল থেকে এখানে বাসে আসা না গেলেও রিকশায় আসা যায় সহজেই। ভাড়া ১৫-২০ টাকা। সদরঘাট থেকে পায়ে হেঁটে এখানে আসতে সময় লাগে পনের মিনিট ও রিকশায় খরচ হয় ১০/১৫ টাকা।

জিঞ্জিরা :

ধোলাখালের মতো এখানেও পাবেন নতুন পুরাতন ইলেক্ট্রনিক্স ও ধাতব যন্ত্রপাতি।

জিঞ্জিরায় তিনটি পৃথক এলাকায় তৈরি করা পণ্যের নামানুসারে তিনটি স্থান আছে। যেখানে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন কারখানা। তাওয়াপট্টিতে আছে ছোট-বড় প্রায় ৭০০ হালকা শিল্প-কারখানা আর এখানে মূলত তৈরি হয় গ্রিল কারখানা, তালা, ছাতার জালা, কব্জা, পাওয়ার প্রেস, প্লেঞ্জার, কেলাম, শিট, কয়েল, ওয়াশার, নাট-বোল্ট, স্ক্রু, তারকাঁটা, তোপকাটা, বালতি, অ্যালুমিনিয়ামের হাঁড়ি-পাতিল, কড়াই ইত্যাদি। টিনপট্টিতে তৈরি হয় টিন, শিট, কয়েল। এখানে ১৫-২০টি কারখানা আছে।

জিঞ্জিরায় খুব স্বল্পমূল্যের সামগ্রী ব্যবহার করে কারিগরেরা তৈরি করতে পারেন মানসম্পন্ন অনেক পণ্য। এমনকি তাঁদের দাবি মাত্র ২০-৩০ হাজার টাকা মূল্যমানের যন্ত্রে যে প্লেনশিট থেকে যে ঢেউটিন তাঁরা তৈরি করতে পারেন, তার গুণগত মান যথেষ্ট ভালো। লোহার সরঞ্জাম তৈরিতেও জিঞ্জিরার সুনাম রয়েছে।

জিঞ্জিরার কারখানায় উৎপাদিত বিভিন্ন সামগ্রীর মধ্যে ঢেউটিন, স্ক্রু, নাট-বল্টু, ক্লাম, তারকাটা, জিআই তার, আলতালা, হ্যাসবোল্ট, কব্জা, দা-বটি, শাবল, বালতি, চাপাতি, কুড়াল, কোদাল, কুন্নি, বিভিন্ন বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, ডেকোরেটর সামগ্রী, ওয়াশিং টব, পিতলের বার্নার(কেরোসিন চুলা), তামা ও পিতলের ডেগ, কলসি, ক্রোকারিজ, তাওয়া, টিফিন ক্যারিয়ার, চাইনিজ সাইলেন্সার/ডাব্বু, আশকল ডুম্বরি, নিক্তিকাঁটা, সাটার, কেচি গেট, লোহার জানালা, দরজা, অ্যালুমিনিয়ামের জগ-মগ ইত্যাদি অন্যতম।

ঢাকারইনবাবপুর, নারায়ণগঞ্জ, ফতুল্লা, পুরোন ঢাকা প্রভৃতি এলাকা থেকে এসব পণ্য তৈরির কাঁচামাল আসে। তাওয়াপট্টিতে তৈরিকৃত গ্রিল কারখানা, তালা, ওয়াসার, নাট-বোল্ট ইত্যাদি তৈরিতে নিজেদের তৈরি পাওয়ার প্রেসের মাধ্যমে বানানো হয়।

লোহার বিভিন্ন সামগ্রী ছাড়াও এখানে পাবেন মেলামাইন, আলকাতরা, নারিকেল তেল, শাড়ি-লুঙ্গি ইত্যাদি। এছাড়া জিঞ্জিরার কালিগঞ্জ দেশীয় গার্মেন্টস সামগ্রী, বিশেষত জিন্স প্যান্ট তৈরিতে সুনাম অর্জন করেছে। দেশীয় বাজারের জিন্সের প্রায় ৮৫ শতাংশ চাহিদা কালিগঞ্জ থেকে পূরণ হয় বলে স্থানীয়দের অভিমত পাওয়া যায়। এসবের পাশাপাশি রয়েছেও রোহিতপুরের লুঙ্গি, জয়পাড়ার শাড়ি।

ইসলামপুর :

পাইকারি দরে কাপড় কিনতে চলে যান ইসলামপুর।

শ্যামবাজার :

ঢাকার পুরোনো বাজারগুলোর মধ্যে শ্যামবাজার একটি। ব্রিটিশ শাসনামল থেকে ঢাকাবাসীর বিভিন্ন দ্রব্যের যোগান দিয়ে আসছে এটি। সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে পূর্ব দিকে ৮–১৫ গজ দূরে শ্যমবাজারের সীমানা শুরু।

সাধারণত ফজরের নামাজের পর থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত এখানে বেশি ভিড় হয়। প্রতিদিন ভোর বেলা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাভাবিক লেনদেন হয়ে থাকে এখানে, নেই কোনো সাপ্তাহিক বন্ধ। সাধারণত প্রায় দৈনন্দিন খাদ্য তালিকার সব কাঁচা বাজার ও ফলমূল পাওয়া যায়। যেমন– আলু, পেঁয়াজ, মরিচ, বেগুন, মাছ, সবজি, পটল, করলা ইত্যাদি। ফুলমূলের মধ্যে রয়েছে– আম, জাম, কলা, লিচু, তেঁতুল, আনারস, পেয়ারা ইত্যাদি। এছাড়া তেল, লবণ, মসলাও পাওয়া যায়।

বাংলাবাজার :

বাংলাদেশের মধ্যে বইয়ের বৃহত্তম মার্কেট বাংলাবাজারে। বাংলাদেশের প্রকাশনা ব্যবসা আবতির্ত হচ্ছে এই এলাকা ঘিরে। বাংলাদেশের বড় বড় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর অফিসও বাংলাবাজারেই অবস্থিত। পাঠ্যবই থেকে শুরু করে গল্পের বই সবই পাবেন এখানে। রয়েছে পোশাক সামাগ্রীও।

এলিফ্যান্ট রোড :

জুতা, ব্যাগ, সিরামিকস/চীনামাটির বাসনপত্র, কাপড়, পর্দা, দর্জা জানালার পর্দা, বেডিং সামগ্রী নতুন পূরাতন কম্পিউটার, ক্রয় বিক্রয় ও মেরামত ইত্যাদি কাজের জন্য চলে যান এলিফ্যান্ট রোড।

মাল্টিপ্লান :

এলিফ্যান্ট রোডে অবস্থিত এই মার্কেটে পাবেন কম্পিউটার, ইলেক্ট্রনিক্স, ক্যামেরা ইত্যাদি।

নিউমার্কেট :

আজিমপুরে অবস্থিত এই মার্কেটের পূর্বদিকে রয়েছে মিরপুর রোড, উত্তরে ঢাকা কলেজ, পশ্চিম পার্শ্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা এবং দক্ষিণে পিলখানা রোড।

মার্কেটটির পাশেই খুচরা দোকানের একটি কেন্দ্র আছে। সেখানে কাপড়-চোপড়, ঔষধ, টয়লেট সামগ্রী ও গৃহস্থালি ব্যবহারের টুকি-টাকি দ্রব্যাদি বিক্রয় হয়। এছাড়া, বেশ কয়েকটি দোকানে বিক্রয় হয় প্রসাধনী সামগ্রী, স্যুভেনির ও শোপিস সামগ্রী, তৈজসপত্র, হালকা বৈদ্যুতিক দ্রব্য ও আসবাবপত্র। মার্কেটটির উত্তর দিকে মুদির দোকান এবং মাছ, মাংস, ফল-মূল ও সবজির বাজার রয়েছে। পাশেই রয়েছে গাউসিয়া আর চন্দ্রিমা সুপার মার্কেট যেখানে পাবেন পোশাক সামগ্রী।

নীলক্ষেত : ঢাকা শহরের স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী এবং তাদের অভিভাবকদের নিকট নীলক্ষেত অত্যন্ত পরিচিত এবং অতি প্রয়োজনীয় মার্কেট। স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছেও এ মার্কেট গুরুত্ব বহন করে। কেননা, দেশি-বিদেশি বিভিন্ন লেখকদের বই তথা প্রয়োজনীয় সকল বই-পত্রের জন্য নীলক্ষেত বই মার্কেটের বিকল্প নেই ঢাকা শহরতো বটেই, সারা দেশেও। বইয়ের মার্কেটের ক্ষেত্রে নীলক্ষেত বই মার্কেট তাই একচ্ছত্র আধিপত্য ভোগ করছে।

বইয়ের পাশাপাশি রয়েছে ফটোকপির দোকান, বাইন্ডিং অর্থাৎ বাঁধাইয়ের দোকান, কম্পিউটারে বিবিধ কাজ করার দোকান, ছাপাখানা, সাইবার ক্যাফে, অটো ক্যাড প্রিন্টিংয়ের দোকান, টেইলার্সের দোকান ও খাবার দোকান। ৫টি মার্কেটের সমন্বয় হচ্ছে নীলক্ষেত বই মার্কেট। এখানে নতুন ও পুরাতন বোর্ড বই, রেফারেন্স বুক, ম্যাগাজিন প্রভৃতি সকল ধরনের বই পাওয়া যায়।

মোতালেব প্লাজা হাতির পুল :

মোবাইল ফোন সামগ্রী বিক্রয় মেরামত ও পাইকারি বিক্রয় শপিং মলটি আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন, এস্কেলেটর সুবিধা, নিজস্ব স্ট্যান্ডবাই জেনারেটর সুবিধাসহ শীতাতপ নিয়ন্ত্রীত এবং টাইলস সজ্জিত নতুন ভবনে অবস্থিত। এখানে মোট দোকান সংখ্যা ১২০০টি। মালিক সমিতি কর্তৃক শপিং মলটি পরিচালিত হয়।

হাতিরপুল বাজার :

সিরামিক টাইলস, বাথরুম ফিটিংস সামগ্রী, কাঁচাবাজার ইত্যাদি রয়েছে এখানে।

গাউসুল আজম মার্কেট :

নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সাথে অবস্থিত। এখানে রয়েছে ২০০ এর অধিক দোকান। ফটোকপি, সাইবার ক্যাফে, মুদ্রন ও প্রিন্টিং, টেইলার্স, ছবি বাঁধাইয়ের দোকান, কম্পিউটারের বিভিন্ন কাজ করাতে পারবেন এখানে। রাস্তার সামনের অংশটিকে বলা হয় সিটি কর্পোরেশন মার্কেট। এখানে রয়েছে খাবার দোকান, ফটোকপির দোকান A3, A4 অটো ক্যাড প্রিন্টিং এর দোকান।

কারওয়ান বাজার :

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার ও ঢাকা শহরের সবচেয়ে বড় কেন্দ্রীয় পাইকারী ও খুচরা বাজার। ঢাকা শহরের অন্যতম বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে এখানে অনেক বড় বড় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। দৈনিক প্রথম আলো, দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ), দি ইন্ডিপেন্ডেন্ট এবং আরও অনেক খবরের কাগজের প্রধান অফিস কাওরান বাজারে অবস্থিত। রয়েছে একুশে টেলিভিশন, এনটিভি, এটিএন বাংলা, এটিএন নিউজ বাংলাভিশন আরটিভি টেলিভিশনের প্রধান কার্যালয় এবং স্টুডিও কাওরান বাজারে অবস্থিত।

ফার্মগেট :

বিভিন্ন কোচিং প্রতিষ্ঠান, কৃষি সামগ্রী, যন্ত্রপাতি, বইপত্র, কমদামী কাপড়, জুতা ইত্যাদি,

বেনারশী পল্লী :

বেনারশী পল্লী একসময় শুধুমাত্র বেনারশী শাড়ির জন্যই বিখ্যাত ছিল। গত বছর কয়েক ধরে মিরপুর বেনারশী পল্লিতে বেনারশী শাড়ি ছাড়াও অন্যান্য সব ধরনের শাড়ি পাওয়া যায়। বেনারশী শাড়ি-Old + New, টাঙ্গাইল তাঁতের শাড়ি (কটন), টাঙ্গাঈল হাফ সিল্ক, রাজশাহী সিল্ক, ধুপিয়ান, ঢাকাই মসলিন, কাতান, কোটা শাড়ি, জামদানী শাড়ি। জর্জেট শাড়ি ইত্যাদি। এ ছাড়াও আরো নতুন নতুন কালেকশন পল্লীতে তৈরী হচ্ছে।

গুলিস্তান :

কাপড়, জুতা, খেলনা, ক্রোকারিজ, ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রীসহ সব ধরণের জিনিসপত্র সুলভমূল্যে পাবেন এখানে।

এখন থেকে তবে সঠিক স্থানে চলে যান কেনাকাটা করতে।

ওডি/এনএম

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড