দ্বীপ বিশ্বাস
সারা বছর প্রচুর ঘোরাঘুরি করা হয়। কোথায় যেন পড়েছিলাম, কোনো নতুন দেশে গিয়ে সেখানকার বইয়ের দোকান, কাঁচা বাজার এবং সেখানকার মানুষ কী খায় সেটা জানতে এবং দেখতে পারলে সেই দেশের মানুষের জীবনযাপন এবং দেশের পরিস্হিতি সম্পর্কে একটা মোটামুটি ধারনা পাওয়া যায়। দেশে কিংবা দেশের বাইরে যেখানেই ঘুরতে যাই সেখানকার খাবারগুলো খাওয়ার চেষ্টা করি। বইয়ের দোকান এবং কাঁচা বাজারও ঘুরে দেখি। বেশ ভালোই লাগে। বেশ কয়েকবার ইন্ডিয়া যাওয়া হয়েছে। যে যে রাজ্যে গিয়েছি সেই সেই রাজ্যের খাবারগুলো খাওয়ার চেষ্টা করেছি।
কয়েকটি এলাকার খাবারের নাম রইলো ছবিসহ:
রাজস্থানী ডাল বাটি চুরমা
জয়পুর রাজস্থানের মজার একটি খাবার ডাল বাটি চুরমা। এটি পরিবেশন করা হয় রাজস্হানী থালিতে।
রাজস্থানী ডাল বাটি চুরমা (ছবি: লেখক)
কাশ্মীরি ওজওয়ান
বাংলাদেশ থেকে প্রচুর লোক কাশ্মীর বেড়াতে যান। ঘোরাঘুরির পাশাপাশি কাশ্মীরের ঐতিহ্যবাহী ওজওয়ান খেয়ে দেখতে পারেন। অসাধারণ খেতে। ওজওয়ান প্লেটারের দাম ৩৬০০ রুপি। এক প্লেটার ওজওয়ান ৭-৮ জন খাওয়া যায়।
কাশ্মীরি ওজওয়ান (ছবি: লেখক)
কাশ্মীরের ওজওয়ান এর মধ্যে সবচেয়ে ভালো ওজওয়ান পাওয়া যায় হোটেল মুঘল দরবারে। শ্রীনগর শহরে দুইটা মুঘল দরবার আছে। একই বিল্ডিং এর নিচ তলায় একটা। আর দুই তলায় একটা। স্হানীয়দের মতে দুই তলার মুঘল দরবার এর ওজওয়ান এখন পুরানো ঐতিহ্যবাহী ওজওয়ান এর মান ধরে রেখেছে।
পাঞ্জাবের আলু পরোটা
ভারতে আলু পরোটা খুব পরিচিত একটা খাবার। তবে আলাদা করে গেলে বলতে হয় পাঞ্জাবের অমৃতসরের আলু পরোটার কথা। পরোটার উপর মাখন মাখানো খাবারের স্বাদে এনে দেয় ভিন্ন এক মাত্রা।
পাঞ্জাবের আলু পরোটা (ছবি: লেখক)
ফেয়ারলি প্লেস, কলকাতা
কলকাতার ফেয়ারলি প্লেস এর ঠিক বিপরীত পাশে এই মাটির ভাঁড়ের চায়ের দোকান। এই জায়গা থেকেই বিদেশীরা ট্রেনের টিকিট কাটতে পারে।
কলকাতার ফেয়ারলি প্লেসের মাটির ভাঁড়ের চায়ের দোকান (ছবি: লেখক)
শিমলার টাংরি কাবাব
শিমলার হিমাচল প্রদেশে পাওয়া যায় মজাদার এই টাংরি কাবাব।
শিমলার টাংরি কাবাব (ছবি: লেখক)
মানালির কেশার দুধ এবং জিলাপী
মানালি বিয়াস নদীর উপত্যকায়, ভারতের হিমাচল প্রদেশের পর্বতশ্রেণীর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এক হিল-স্টেশন, কুল্লু উপত্যকার উত্তর প্রান্তের নিকটে এর অবস্থান। মানালির মল রোডে পাওয়া যায় মানালির কেশার দুধ এবং জিলাপী।
মানালির কেশার দুধ এবং জিলাপী (ছবি: লেখক)
অমৃতসরের ক্ষীর
অসাধারণ খেতে। এতে ভালো ক্ষীর এর আগে কখনও খাওয়া হয় নাই। শুধু খাওয়ার জন্য হলেও সবার একবার পান্জাব যাওয়া উচিত। গোল্ডেন টেম্পল এর পাশে ব্রাদার্স ধাবায় পাবেন।
অমৃতসরের ক্ষীর (ছবি: লেখক)
অমৃতসরের লাচ্ছি
অসাধারণ খেতে। গোল্ডেন টেম্পল এর পাশে ব্রাদার্স ধাবায় পাবেন। শুধু লাচ্ছি খাওয়ার জন্য হলেও আবার পান্জাব যাবো। পান্জাব গিয়েছিলাম শীতের সময়। প্রচুর ঠান্ডা সাথে বৃষ্টি ছিল। এতো ঠান্ডার মধ্যেও সকাল-দুপুর-রাতে লাচ্ছি খেয়েছি। এখনো লাচ্ছির স্বাদ মুখে লেগে আছে।
অমৃতসরের লাচ্ছি (ছবি: লেখক)
রাজস্থানের সরষো দা শাক অওর মাক্কি দি রোটি
রাজস্থানের পুষ্করে পাওয়া যায় সরষো দা শাক অওর মাক্কি দি রোটি। মাক্কি মানে মকাই। যাকে আমরা ভুট্টা বলে চিনি। ভুট্টার দানা পিষে আটা তৈরি হয়। সেটাকে গরম জল দিয়ে মেখে রুটি তৈরি করা হয়।
রাজস্থানের সরষো দা শাক অওর মাক্কি দি রোটি (ছবি: লেখক)
কেরালার আলেপ্পি ব্যাকওয়াটার
কেরালার দুপুরের খাবার আলেপ্পি ব্যাকওয়াটার। পরিবেশনটা সুন্দর। খেতেও অসাধারণ। কলা পাতায় রান্না আলেপ্পি ব্যাকওয়াটারের মাছ।
কেরালার আলেপ্পি ব্যাকওয়াটার (ছবি: লেখক)
কাশ্মীরের রুটি
এইটা রুটি টাইপ কিছু একটা। শ্রীনগর কাশ্মীর এর হযরত বাল দরগাহ এর পাশেই এই দোকান। হালুয়া দিয়ে খেতে হয়। অসাধারণ খেতে। কাশ্মীর গেলে খেয়ে দেখতে পারেন।
কাশ্মীরের রুটি (ছবি: লেখক)
যে কোনো এলাকাকে জানতে হলে সে এলাকার খাবার না খেলে অজানা থেকে যায় অনেককিছুই। আর ভারত তো বিখ্যাত তাদের নানা স্বাদের খাবারের জন্য। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের খাবারের স্বাদ ভিন্ন ভিন্ন। যদি ভারতের কোনো এলাকায় ঘুরতে যান তাহলে অবশ্যই সে এলাকার বিখ্যাত মজাদার খাবারগুলো খেয়ে আসবেন।
ওডি/এএন
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড