• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

আপনার সন্তান কি সব সময় অন্যকে তিরস্কার করছে?

  নাবিলা বুশরা

১২ এপ্রিল ২০১৯, ১২:৫৭
তিরস্কার
আপনার সন্তান অন্য কোনো শিশুকে তিরস্কার বা উপহাস করছে কিনা লক্ষ্য রাখুন (ছবি: দ্য লিস্ট)

রোহানকে রোজ তার বাবা স্কুলে নামিয়ে দিয়ে অফিস যায়। সে বাড়ি ফেরে মায়ের সাথে। এ দুই সময়ের মাঝে তারা কেউ কখনো বুঝতে পারেননি তাদের সন্তান স্কুলে জড়িয়ে আছে এমন একটি কাজে যা কেউ ভালো চোখে দেখে না। রোহান প্রায় সময়ই স্কুলে অন্য বাচ্চাদের তিরস্কার করে। তার মাঝে জনপ্রিয় হবার ব্যাপারটা চোখে পড়ার মত। এমনকি সে অন্য বাচ্চাদের একেক সময় একেক নামে ডেকে হয়রানি করে, সেই সাথে হাসাহাসিও। অথচ বাসায় কেউ রোহানকে এমনভাবে চেনেই না। তবে নিজের ঘরে একবার ঢুকলে সে সব সময় একা থাকতে চায়। কারো সাথে সময় দেয় না। এমন ব্যাপার কাল্পনিক চরিত্র শুধু রোহানের সাথেই নয়, ঘটনার বাস্তব চিত্র আরও ভয়াবহ। আমাদের দেশে প্রায় সব স্কুলেই এমন ঘটনা ঘটছে শিশুদের সাথে। আর কিছুদিন পরেই তার এমন আচরণের জন্য স্কুল থেকে আসছে অভিযোগ, বাড়ছে বাবা-মায়ের সাথে সন্তানের দূরত্ব।

কিন্তু কীভাবে আপনি বুঝবেন আপনার সন্তান অন্যকে তিরস্কার করছে? এ বিষয়টি নিয়ে 'দ্য লিস্ট' সাইটে প্রকাশিত হয়েছে একটি প্রতিবেদন। প্রতিবেদনের দেওয়া তথ্যমতে, শিশুরা নানা কারণে এমন করতে পারে। আর সেটি প্রকাশ পেতে পারে তাদের নানা আচরণে। আর শিশুটি অন্যকে তিরস্কার করছে এ বিষয়টি আপনি কীভাবে বুঝবেন-

অন্য শিশুকে উপহাস করছে

আপনি কি কখনও লক্ষ্য করেছেন আপনার সন্তান অন্য বাচ্চাদের উপহাস করছে কিনা? অথবা তারা অন্য কাউকে এমন উপহাস করার জন্য নিজেদের দলে ডাকে কিনা? এগুলো ছাড়াও কখনও ভালো করে লক্ষ্য করেছেন তারা অন্য বাচ্চাদের নাম ব্যঙ্গ করে ডাকছে কিনা? যদি আপনার সন্তান এমন কোনো ঘটনার সাথে জড়িত থাকে তাহলে বুঝবেন এটা শুধু বর্তমান সময়েই নয়, পরবর্তীর জন্যও বেশ বড় একটা সমস্যা হয়ে দেখা দিতে যাচ্ছে।

বুলিং

নিজেকে জনপ্রিয় করে তুলতে অন্যকে উপহাস করতে পারে (ছবি: অটিজম সোসাইটি অব নর্থ ক্যারোলিনা)

আমেরিকার 'ম্যারিন ক্লাইড সেন্টার ফর হলিস্টিক সাইকোথেরাপি'র প্রতিষ্ঠাতা ম্যারিন ক্লাইডের মতে, এই সকল ব্যাপারগুলো বেশিরভাগ সময়েই নজরে নিয়ে আসা হয় না। ধারণা করা হয় এটা বাচ্চাদের একটা স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। বড় হওয়ার সময় এমন দুষ্টুমি অনেকেই করে। কিন্তু অন্যকে ছোট করে নিজেকে সবার মাঝে বড়, শক্তিশালী দেখতে চাওয়াটা খুব ভালো কথা নয়। যদি আপনি বুঝতে পারেন আপনার সন্তান এই বিষয়গুলোর প্রতি বেশি আগ্রহী তাহলে বুঝতে হবে সে অন্যকে তিরস্কার করে আনন্দ পাচ্ছে। তখন সেটা আর সীমিতভাবে খেলাধুলার মাঝে থাকে না। অন্য একজন সমবয়সী শিশু এমন উপহাসের শিকার হলে এটা পরবর্তীর জন্য ভয়াবহ পরিস্থিতি বয়ে নিয়ে আসবে।'

এই কথার সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন সাইক্রিয়াটিস্ট ক্যারল লিবারম্যানও। তিনি আরও যোগ করেন, যদি আপনার সন্তান অন্য একটি শিশুকে ব্যঙ্গ করে নাম ধরে ডাকে এবং তাকে দিয়ে নিজের কাজ করিয়ে নিতে চায়- সেটি হতে পারে যে কোনো কিছু (যেমন, বাড়ির কাজ, খাবার আনানো) তাহলে ধরে নিতে হবে সেটিও অন্যকে তিরস্কার করার একটি মাধ্যম।

স্কুলে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে

শিশু যদি অন্যকে তিরস্কার করার কাজ বেশি করে থাকে তাহলে বুঝতে হবে স্কুলে সে কোনো বিষয় নিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। কখনো শিক্ষকদের সাথে এ বিষয় নিয়ে আপনি কথা বলেছেন? আপনি তাদের কাছে কখনো জানতে চেয়েছেন আপনার সন্তান অন্যকে উপহাস করে কিনা? উপহাসের প্রধান কারণটাই আসে মূলত নিজের স্কুলে খাপ খাইয়ে নিতে না পারার কারণে।

দায়িত্বপ্রাপ্তদের কথা মেনে চলাতে এবং বন্ধুত্ব তৈরিতে কোনো সমস্যা হলে এই ব্যাপারটি তৈরি হয়। কাউন্সিলর এবং প্রিজন থেরাপিস্ট ব্রুস ক্যামেরন বলেন, যদি বন্ধুত্বের সম্পর্কে চিড় ধরে আর দায়িত্বপ্রাপ্তদের কথা শুনতে বৈরিতা সৃষ্টি হয় তখনই এই তিরস্কারের ব্যাপারটি চলে আসে।

এটা ছাড়াও শিশুর সব সময় জিততে চাওয়ার মনোভাবকেও এক্ষেত্রে অনেকাংশে দায়ী করেন ক্যালিফোর্নিয়ার সান্টা মনিকার সেইন্ট জনস চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের সাইকোথেরাপিস্ট মায়রা মেন্ডেজ। তিনি বলেন, 'আপনার সন্তান যখন যা চাচ্ছে যদি তা না পায়, অথবা প্রতিটি বিষয়ে তাদেরকে বিজয়ী করা হচ্ছে না বা প্রশংসা করা হচ্ছে না এমনটা হয় তাহলেও এ সমস্যা প্রকট হতে পারে।'

শিশুকে অবশ্যই 'না' শব্দটির সাথে পরিচিত করাতে হবে। তাকে বুঝাতে হবে স্কুলে সব সময় প্রতিটি বিষয়ে সে কখনোই প্রথম হতে পারবে না। যদি আপনার চোখে পড়ে আপনার সন্তানের স্কুলের দিনগুলো একদম নির্ঝঞ্ঝাটভাবে কেটে যাচ্ছে এবং সে কখনোই কোনো সমস্যার কথা বলছে না তাহলে অবশ্যই আপনাকে চোখ কান খোলা রাখতে হবে! খোঁজ নিতে হবে তার কারণে অন্য কেউ উপহাস বা তিরস্কারের শিকার হচ্ছে কিনা।

উপহাস করে এমন শিশুদের সাথে বন্ধুত্ব আপনার সন্তানের

আপনার কাছে আপনার সন্তানের বন্ধুদের কেমন মনে হয়? তারা কি আসলেই ভালো? একসাথে আপনার সন্তান তাদের সাথে বেশ ভালো সময় কাটাচ্ছে? যদি কখনো বুঝতে পারেন সন্তানের বন্ধুরা অন্যদের তিরস্কার করছে তাহলে বুঝতে হবে এ কাজে আপনার সন্তানও জড়িয়ে গেছে।

শিশুদের স্কুলে তিরস্কার করার এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করে এমন একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে আহা (AHA!-Attitude.Harmony.Achievement.)। এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা জেনিফার ফ্রিড বলেন, 'বন্ধুদের সাথে আড্ডা বা গল্পে প্রধান আলোচনার বিষয়ই যদি কে খারাপ, কে কাকে দোষ দিচ্ছে অথবা কার সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা কেমন এইসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় তাহলে বুঝবেন সন্তান এই তিরস্কার করার মাঝে জড়িয়ে গেছে।'

কাউন্সিলর এবং প্রিজন থেরাপিস্ট ব্রুস ক্যামেরন এই বিষয়ে একমত প্রকাশ করে বলেন, 'আপনার সন্তানের এমন বন্ধু থাকলে তারাও অন্যকে ছোট করে দেখে আর বেশ মারমুখো আচরণের হয়ে থাকে।'

আপনার সন্তান অন্য শিশুদের এড়িয়ে চলছে

তিরস্কার করতে চাইলে অন্য শিশু যারা তাদের চেয়ে আলাদা তাদেরকে ছোট করে দেখার একটা মনোভাব কাজ করে। আপনার কাজ শুধু আপনার সন্তান কাদের সাথে মিশছে আর কাদেরকে এড়িয়ে চলছে সেটা লক্ষ্য রাখা। তাদের সংখ্যা কি নির্দিষ্ট?

বুলিং

লক্ষ্য রাখুন আপনার সন্তান কোনো নির্দিষ্ট কাউকে এড়িয়ে চলছে কিনা (ছবি: দ্য কনভারসেশন)

ডক্টর মেন্ডেজের মতে, তিরস্কার করা শিশুরা নিজেরাও জানে না এটা থেকে আসলে কীভাবে পরিত্রাণ পেতে হয়। কিছু শিশু আছে যারা ভিন্নতাকে মেনে নিতে পারে না। আবার কেউ আছে যারা অন্যের ধর্ম, দক্ষতা আর শারীরিক অক্ষমতা নিয়ে তিরস্কার করে।

ক্লাইড বলেন, 'আপনার সন্তান নিয়মিত একেক সময় একেক নামে অন্যদের ডেকে হয়রানি করছে এমন কোনো বিষয় কি কখনো আপনার চোখে পড়েছে? যদি হয়, তাহলে সন্তানের সাথে আলাদা করে কিছুটা সময় দিন। তাদের কাছে জানতে চান এমনটা কেনো হচ্ছে। আপনার সন্তান এমন নয় এটা যে আপনি জানেন সেটা তাকে নিশ্চিত করুন। তাকে কোথাও বেড়াতে নিয়ে যান। কোনো কিছু নিয়ে সে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে কিনা তার কাছে জানতে চান। তাকে জীবনের সত্যতা চিনতে শেখান।'

জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য সে যে কোনো কিছু করতে পারে

সত্যি বলতে জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য যে কোনো কিছু করতে চাওয়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি থাকে হাই স্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে। এ বিষয়ে প্যারেনটিং অ্যান্ড চাইল্ড সেফটি এক্সপার্ট ক্রিস্টাল রজার বলেন, জনপ্রিয়তা পেতে মরিয়া হতে কয়েকজন মিলে আলাদা হয়ত গ্রুপও হয়ে যায় এ সব কারণে। এ সময়ে শিশু নিজেকে অনিরাপদ বোধ করে আর এমন কাউকে খুঁজে বের করে যাদেরকে দমিয়ে রেখে নিজেকে উপরে উঠানো যায়।

দুর্ভাগ্যজনকভাবে, এই জনপ্রিয়তা পাওয়ার অতিরিক্ত প্রবণতা এক সময় নিষ্ঠুরতায় রূপ নেয়। ক্যামেরন বলেন, জনপ্রিয় হতে আপনার সন্তান যে কোনো কিছু করতে পারে। তারা অন্য বাচ্চাদের আকর্ষণ করতে মরিয়া হয়ে থাকে। তারা প্রতিনিয়ত অন্য শিশুকে ছোট করে কথা বলে আর একে অন্যের সাথে কথা বলার সময় অন্য কাউকে নিয়ে বাজে কথা বলে।

অন্যের সাথে মারমুখী হয়ে আচরণ করা

তিরস্কারের অন্যতম বিষয়টি প্রকাশ পায় মারমুখী আচরণের মাধ্যমে। আর এটি আরও বেশি করে প্রকাশ পায় পরিবারের সদস্যদের সাথে ঝগড়া, অন্যের দায়িত্ব না নিতে চাওয়া, জিনিসপত্র নষ্ট করা ইত্যাদির মাধ্যমে।

বুলিং

তিরস্কার করার প্রবণতা থাকলে শিশু অন্যের প্রতি মারমুখী আচরণও করতে পারে (ছবি: দ্য লিস্ট)

ডক্টর ফ্রিড বলেন, এই আচরণ শুধু শারীরিকভাবেই প্রকাশ পাবে তা নয়। এটি প্রকাশ পাবে শিশুর মুখের কথাতেও। তারা প্রায় সময়ই অন্যকে অসম্মান করে কথা বলবে। তাই সব সময় লক্ষ্য রাখুন আপনার সন্তান কীভাবে কথা বলছে। তার কোনো কথায় যদি আপনার মনে হয় সে অন্যকে ছোট করে কথা বলছে অথবা কোনো খারাপ শব্দ উচ্চারণ করছে তাহলে এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিন।

রজার বলেন, তবে হ্যাঁ অবশ্যই মনে রাখবেন তাদের কথায় যদি নিয়মিত খারাপ ভাষা প্রকাশ পায় তাহলে বুঝবেন সে আসলে ভালো-খারাপ কথার মাঝের তফাতটা ধরতে পারছে না। তাকে কঠিনভাবে না বলে ভালো করে বুঝিয়ে বলুন। তারা হয়ত মানসিকভাবে অন্য কোনো সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এটা লক্ষ্য রাখা জরুরি।

আপনার সাথে সন্তানের দূরত্ব বাড়ছে

আপনি লক্ষ্য করছেন বেশ কিছুদিন ধরে আপনার সন্তান আপনাকে এড়িয়ে চলছে। বাড়ি ফিরে সে নিজেকে একটা ঘরে একা বন্দি করে রাখে। এমনটা হলে খোঁজ নিয়ে জানার চেষ্টা করুন তার সাথে কী ঘটছে।

বুলিং

আপনার সাথে দূরত্ব বাড়িয়ে দেবে সন্তান (ছবি: হেলথকেয়ারডেইলি অনলাইন ডট কম)

ডক্টর ফ্রিড বলেন, 'এমন ঘটনায় সে জড়িত থাকলে বেশিরভাগ সময়েই সে পরিবারের কাছ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখবে। সব সময় সে রেগে থাকবে। কোনো কিছুই স্বাভাবিকভাবে সে নেবে না। তা আপনি যখন তার সাথে কিছু সময় কাটাতে চাইবেন সে নিজেকে আপনার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে নেবে। এমনকি এই বিষয় সম্পর্কে আপনি যেন কিছু না জানতে পারেন যে বিষয়ে সর্বাত্মক চেষ্টা সে করবে।

আপনার করণীয়:

আপনার সন্তানের কারণে অন্য একটি শিশু তিরস্কার বা উপহাসের শিকার হচ্ছে এমন কথা কোনো বাবা-মায়ের জন্যই সুখকর নয়। আর জানার পর এটা নিয়ে সন্তানের সাথে কঠিন কোনো ব্যবহারও করা যাবে না। এ বিষয়ে ক্লাইডের মতামত হচ্ছে, 'বিষয়টি জানার পর বেশিরভাগ বাবা-মা সন্তানকে সে অপরাধ করেছে এমন বুঝিয়ে কঠিন শাসন করেন। কিন্তু এ সময়ের প্রথম পদক্ষেপই হচ্ছে আগে তাকে বুঝতে হবে, তাকে খুব কাছ থেকে জানার চেষ্টা করতে হবে।'

বাবা-মায়ের জন্য তার পরামর্শ হচ্ছে, সন্তানকে ভালো বিষয়গুলোর সাথে পরিচয় করান। অন্যের বিপদে তাকে এগিয়ে যেতে শেখান, তাকে খেলনা নিয়ে অন্যের সাথে খেলতে শেখান, অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দিতে শেখান, ছবি আঁকানো বা লেখালেখির মাধ্যমে নিজের সাথে নিজেকে পরিচয় করতে শেখান। চেষ্টা করুন তাকে বাড়ির কাজের সাথে যুক্ত করতে। যেমন, নিজের ঘর নিজে গুছিয়ে রাখা, বাগানে কাজ করা। সম্ভব হলে ঘরের কাজের জন্য তাকে হাতখরচের ব্যবস্থা করে দিন। এতে সে নিজের কাজের মর্যাদা করা শিখবে।

মনে রাখবেন সন্তান আপনার, আর সে জন্য তার ভালো থাকা-না থাকার দায় আপনার উপরেই বর্তাবে। তাকে ভালো রাখতে হলে তার কথার গুরুত্ব দিন। তাকে সময় দেওয়ার চেষ্টা করুন। সন্তানের মনের কথা শুনুন। সর্বোপরি তার বন্ধু হয়ে উঠুন। তাহলেই সে অন্যকে ছোট করে দেখার মনোবাসনা থেকে বের হয়ে আসতে পারবে।

তথ্যসূত্র: দ্য লিস্ট ডট কম

ওডি/এএন

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড