• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

মেয়াদোত্তীর্ণের পর কি ওষুধ পচে যায়?

  অধিকার ডেস্ক    ২৭ মার্চ ২০১৯, ১০:০৮

মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ
ছবি : সংগৃহীত

নানারকম অসুস্থতা থেকে মুক্তি পেতে আমাদের ভরসা হয়ে দাঁড়ায় ওষুধ। তবে তা কেনার সময় সতর্কতার সঙ্গে দেখে নিতে হয় মেয়াদ আছে কি না। কারণ মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ খেলে হিতের বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

খেয়াল করে দেখবেন, যেকোনো ওষুধের গায়ে কোথাও না কোথাও মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ বা এক্সপায়ারি ডেট থাকে। কখনো কি মনে প্রশ্ন জেগেছে কেন থাকে এ তারিখ? এরপরই বা কী হবে? পাউরুটির মতো কি ওষুধেও ছত্রাক জমবে? নাকি মাছ, মাংস বা চকলেটের মতো ওই তারিখের পর ওষুধ পচে যাবে?

ব্যাপরটি আসলে তেমন কিছু নয়। বরং ওই তারিখ পর্যন্ত ওষুধটি শতভাগ নিরাপদ ও কার্যকর থাকবে বলে নিশ্চয়তা দিচ্ছে প্রস্তুতকারক কোম্পানিটি। তবে একটি ওষুধ ঠিক কতদিন নিরাপদ ও কার্যকর থাকবে তা নিয়ে রয়েছে নানা মতভেদ।

ইনসুলিন, নাইট্রোগ্লিসারিন এবং লিকুইড অ্যান্টিবায়োটিক ইত্যাদি ওষুধ খুব দ্রুতই কার্যকারিতা হারায়। কেননা এসব ওষুধে থাকা অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস বা সক্রিয় উপাদান খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। আবার অনেক ওষুধ রয়েছে যেগুলোর শেলফ লাইফ বেশি। সময়ের সঙ্গে এদের কার্যকারিতা কমলেও, ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি অতটা থাকে না।

ক্যালিফোর্নিয়া পয়জন কন্ট্রোল সিস্টেম কয়েক বছর আগে পুরানো ওষুধ নিয়ে একটি পরীক্ষা চালায়। একটি ফার্মেসির পেছনে প্রচুর পুরোনো ওষুধ খুঁজে পান তারা। এসবের মধ্যে ছিল অ্যান্টিহিস্টামিন, পেইনকিলার ও ডায়েট পিল ইত্যাদি। এসব ওষুধের বেশ কিছু তৈরি করা হয়েছিল ৪০ বছর আগে। তারপরও এদের মধ্যে থাকা বেশ কিছু ওষুধ পুরোপুরি কার্যকর ছিল।

ওষুধের মেয়াদ নিয়ে এমন গবেষণা আরও বেশি করা দরকার। কিন্তু ওষুধ কোম্পানিগুলো এক্ষেত্রে তেমন একটা খরচ করে না।সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের এক সরকারি গবেষণায় দেখা যায়, সঠিক তাপমাত্রা ও পরিবেশে সংরক্ষণ করা হলে মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখের পরও ৪ বছরের মতো ভালো থাকে বেশিরভাগ ওষুধ।

তবে এ সত্ত্বেও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ খাওয়া একদমই উচিত নয়। কেননা কিছু ওষুধের মেয়াদ চলে গেলে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে যা খেলে সুস্থ হওয়ার বদলে রোগী আরও বেশি অসুস্থ হয়ে যেতে পারে।

তথ্যসূত্র : আইএফএলসায়েন্স

ওডি/এনএম

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড