নিজস্ব প্রতিবেদক
ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের বাণিজ্যিক সংগঠন ‘ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)’-এর কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন আগামী ১৮ জুন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে অংশ নিয়েই সাড়া ফেলেছেন উদ্যোক্তা এবং সংগঠক হিসেবে সুপরিচিত ও ‘যাচাই.কম’-এর প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল আজিজ। ই-ক্যাবের ভোটারদের মধ্যে আব্দুল আজিজকে নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে; গণমাধ্যমেও এর প্রভাব পড়েছে। দেশের প্রায় সব স্যাটেলাইট টেলিভিশন ও অন্যান্য সংবাদমাধ্যমে তাকে নিয়ে খবর প্রকাশ হচ্ছে।
ই-ক্যাব ও সদস্যদের উন্নয়নে আব্দুল আজিজের দেওয়া প্রতিশ্রুতিও নির্বাচনে তাকে নিয়ে ভোটারদের আগ্রহ বাড়াচ্ছে। তার প্রতিশ্রুতির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- তিনি নির্বাচিত হলে ই-ক্যাবের নিজস্ব ও স্থায়ী কার্যালয়ের ব্যবস্থা করে দেবেন এবং যেসব সদস্যের কার্যালয় নেই তাদের কার্যালয়ের ব্যবস্থা করে দেবেন।
ই-কমার্স সাইটের নামে প্রতারণাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জটিলতা নিরসনে তিনি কার্যকরী ভূমিকার প্রতিশ্রুতির দিয়েছেন। ‘যাচাই.কম’-এর প্রতিষ্ঠাতা বলেন, আমাকে নিয়ে ভোটারদের যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে এবং এত ভালোবাসা পাচ্ছি, আমি সত্যিই অবাক। আশা করছি, ভোটাররা আমাকে তাদের সেবার জন্য নির্বাচিত করবেন ইনশাআল্লাহ। আমি বিজয়ী হলে ই-কমার্স সাইটের নামে প্রতারণাসহ সংশ্লিষ্ট জটিলতাগুলো নিরসনে কাজ করব। এতে করে ই-কমার্স ব্যবসা শক্তিশালী হবে।
২০১৪ সালে ই-ক্যাব বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতের উন্নয়ন, সমস্যা নিরসন ও কল্যাণের লক্ষ্য নিয়ে একটি বাণিজ্যিক সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। ই-ক্যাবের বর্তমান সদস্য প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৭০০। আগামী ১৮ জুন ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের জাতীয় সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- ই-ক্যাবের ২০২২-২৪ সালের ৪র্থ দ্বি-বার্ষিক কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন।
আব্দুল আজিজ পরিষ্কার বুঝতে পেরেছিলেন, অনেক ছোট ছোট প্রতিষ্ঠান দক্ষ জনশক্তির অভাবে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এবং এই কারণে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই সরকারি চাকরি ছেড়ে দেওয়ার সাহসী সিদ্ধান্ত তিনি নেন। দেশের কল্যাণে এবং অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখার সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছিলেন। বৈদেশিক রিজার্ভ রক্ষার জন্য এবং বিদেশি দক্ষ জনশক্তির উপর নির্ভরশীলতা কিছুটা কমিয়ে আনতে তিনি দক্ষ জনশক্তি তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন।
আব্দুল আজিজ ছোট আকারে একটি গার্মেন্টস বায়িং হাউজ দিয়ে ব্যবসায়ী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। কিন্তু ওই ব্যবসায়ের দায়িত্বে নিয়োজিত দক্ষ জনশক্তির অভাবে কর্মজীবনের শুরুতে তিনি বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছিলেন। ধাক্কা সামলে ধৈর্য্যর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি আজ সফল।
অনেক সফল প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল আজিজ। এগুলোর মধ্যে অন্যতম- ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন টেকনোলজি (এনআইএফটি), সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (এনআইইটি), ন্যাশনাল প্রফেশনাল ইনস্টিটিউট (এনপিআই), বিজিআইএফটি ইনস্টিটিউট অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (বিআইএসটি), ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল টেকনোলজি (এনআইএমটি), অগ্রণী মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, ভাওয়াল গাজীপুর মেডিক্যাল ইনস্টিটিউট (বিজিএমআই), আমিষ ব্র্যান্ডের এগ্রো খামার, অর্গানিক এবং প্রসেসিং ফুড ব্র্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ ‘টেস্ট্রি’ এবং ‘সতেজ’, মেট্রো সুপারশপ। পাশাপাশি বিনিয়োগ করেছেন অটোমোবাইল, সফটওয়্যার কোম্পানি, রিটেইল বিজনেস, মিডিয়া, লজিস্টিকস কোম্পানি এবং আবাসন খাতের বিজনেসগুলোতে।
আব্দুল আজিজ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানের সংগঠনের সদস্যদের অধিকার আদায়ের জন্য ‘টেকনিক্যাল এডুকেশন কন্সোর্টিয়াম অব বাংলাদেশ (টেকবিডি)’-এর কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। তাছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতাদের অধিকার আদায়ের জন্য প্রতিষ্ঠিত সংগঠন ‘প্রফেশনাল ইনস্টিটিউট অ্যাসোসিয়েশন অব ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (PIANU)’-এর প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্বরত আছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের জন্য ডিজিটাল যুদ্ধের সৈনিক হিসেবে ভূমিকা রাখতে প্রতিষ্ঠা করেন ‘যাচাই ডট কম’।
ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) কে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের বিকল্প নেই মন্তব্য করে ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল আজিজ বলেন, ‘যেকোনো খাত গড়ে তুলতে বাণিজ্যিক সংগঠন অসাধারণ ভূমিকা পালন করে। আর ডিজিটাল শিল্পখাত প্রতিষ্ঠায় ই-ক্যাবের ভূমিকা ও গুরুত্ব অনস্বীকার্য বলে আমি মনে করি। ই-ক্যাবের আসন্ন নির্বাচনে ই-ক্যাব সদস্যদের সমর্থন এবং সহযোগিতা পেলে সদস্যদের অধিকার আদায়ের জন্য তাদের পক্ষে তাদের কথাগুলোই বলতে চাই। আমি কথা দিচ্ছি, ইনশাআল্লাহ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হলে নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে সকল ই-ক্যাব সদস্যর অধিকার আদায়ের কণ্ঠস্বর হিসেবে নিজেকে সবসময় নিয়োজিত রাখবো।’
প্রকৌশলী আব্দুল আজিজ ই-ক্যাবের ভোটারদের উদ্দেশে আরও বলেন, ‘আপনাদের মেধা এবং বিচক্ষণতা দিয়ে বিবেচনা করে আমার সাংগঠনিক দক্ষতা, যোগ্যতা, অভিজ্ঞতার বিচারে যদি মনে করেন, আমি ই-ক্যাব এবং ই-ক্যাবের সম্মানিত সদস্যদের কল্যাণে কাজ করতে পারবো, তবে আপনি অবশ্যই আপনার মূল্যবান ব্যালটের মাধ্যমে আপনার পছন্দের নয়জনের একজন হিসেবে আমাকে বিবেচনায় রাখার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করছি। কারণ আপনার প্রতিটি ভোট মূল্যবান। প্রতিটি মূল্যবান ভোট অনেক কিছু বদলে দিতে পারে। আপনার দোয়া, ভালোবাসা এবং সমর্থন প্রত্যাশা করছি।
ইনশাআল্লাহ আপনার পাশে আছি। আপনার পাশে থাকবো।’
ওডি/এসএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড