• সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩, ১৮ আশ্বিন ১৪৩০  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন

সর্বশেষ :

sonargao

এ যেন অন্য রকম দৃশ্য!  

  মো. আজাদ হোসেন

১৫ এপ্রিল ২০২২, ১৬:০৪
তিতুমীর কলেজ
তিতুমীর কলেজ ক্যাম্পাসে ইফতারে শিক্ষার্থীরা (ছবি : সংগৃহীত)

সরকারি তিতুমীর কলেজে ভর্তি হওয়ার আগে বাবা বাজার থেকে ইফতার কিনে আনতেন। মা ইফতার পরিবেশন করতেন। পরিবারের সবাই একসঙ্গে ইফতার করা হতো। কিন্তু এ বছর কলেজ খোলা থাকায় বন্ধুদের সঙ্গে ক্যাম্পাসে বসে ইফতার করার অনুভূতিটাই অন্য রকম। বন্ধুদের সঙ্গে ইফতার করলে মনে হয় পরিবারের সঙ্গে ইফতার করছি।কথাগুলো বলেছিলেন সরকারি তিতুমীর কলেজের ২য় বর্ষের সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আসাদুজ্জামান।

তিতুমীর কলেজে অধ্যয়নরত ৩য় বর্ষের ব্যবস্থাপনা বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী মো. সোহানুর রশিদ বলেন, প্রতি বছর ক্যাম্পাসের একটা রূপ আমরা সকল শিক্ষার্থীরাই দেখি, ক্লাস শুরু হওয়ার আগেই ক্যাম্পাসে এসে সারিবদ্ধ হয়ে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া ছোট বেলার স্কুলের দিন গুলো মনে করিয়ে দেয়। আর ক্লাস শেষে বন্ধুদের সাথে আড্ডা চায়ের দোকানে বসে গল্পের ঝুড়ি খোলা তো আছেই। কিন্তু রমজান মাসে ক্যাম্পাসটাকে একটা ভিন্ন রূপে দেখতে পাই, ক্লাসে উপস্থিতি কিছুটা কম হলেও ঠিক ইফতার এর আগ মূহুর্তে শত শত তিতুমীরিয়ানের পদচারণায় মুখরিত হয় সরকারি তিতুমীর কলেজ ক্যাম্পাস। একসঙ্গে কয়েকশত শিক্ষার্থী একই মাঠে খোলা আকাশের নিচে বসে ইফতার করার একটা অসাধারণ অনুভূতি রয়েছে। আমি নিজে দু'দিন ইফতার করেছি, একদিন ব্যবস্থাপনা বিভাগের বন্ধুদের সঙ্গে আরেকদিন আমাদের তিতুমীরস্থ ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের পক্ষ থেকে। দুদিনের অনুভূতিটা দুই ধরনের ছিল। বন্ধুদের সাথে যেমন হাসাহাসি দুষ্টুমি করে ইফতার করা হয় অপর দিকে আবার বড় ভাই, সহপাঠী, ছোটদের সাথে ইফতার করার মজাটাও অনেক। বাড়ির বাইরে থেকে পরিবারের যে কমতিটা আমরা অনুভব করি ঠিকই কিন্তু ক্যাম্পাসে এসে বন্ধু, বড় ভাই, ও ছোটদের পাশে পেয়ে সেই অভাব বোধটা অনেকাংশেই কমে যায়।

রমজান শুরুর পর তিতুমীর কলেজের ক্যাম্পাস পরিণত হয় প্রাণের মিলনমেলায়। তিতুমীর কলেজ ক্যাম্পাসের মূল ফটকে, শাকিল চত্বরে, বেলায়েত চত্বরে, শেখ রাসেল পুষ্পকাননের পাশে, কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে, শহিদ বরকত মিলনায়তনে, ক্যাম্পাসের প্রায় প্রতিটি স্থানে শিক্ষার্থীরা ইফতার করার জন্য সমবেত হয়। সবাই গোল হয়ে বসে মেতে ওঠে ইফতার আনন্দে।

সূর্য পূর্ব থেকে পশ্চিমে অস্ত যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব জায়গায় শিক্ষার্থীদের আনাগোনা শুরু হয়। যে যার মতো বন্ধু-সহপাঠীদের নিয়ে পছন্দের জায়গায় ইফতারের আয়োজনে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সাধারণত প্রতি বছর রমজানে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকে কিন্তু এবার করোনা মহামারীর কারণে দুই বছর যাবত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার ঘাটতি পুষিয়ে নিতে সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখেছেন।

সরকারি তিতুমীর কলেজে ক্যাম্পাসে প্রতিটি জায়গা জুড়ে প্রথম রমজান থেকে দেখা মিলেছে ইফতার মাহফিলের আয়োজন। তিতুমীর কলেজের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট, রাজনৈতিক সংগঠন, সামাজিক সংগঠন,সাংস্কৃতিক সংগঠন। এর বাইরেও বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের ফ্রেন্ড সার্কেল মিলে ক্যাম্পাসে ইফতারের আসর জমাতে দেখা যায়। ইফতারিতে শিক্ষার্থীদের বুট, বুন্দিয়া বেগুনী, ভাজা জিলাপি, এ ছাড়া লেবুর শরবত, বেলের শরবত ও অন্যান্য ঠাণ্ডা পানীয় পছন্দের তালিকার শীর্ষে।

ওডি/ইমা

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড