• বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

কোয়ারেন্টাইন : ইতিহাস বেশ পুরনো

  ফিচার ডেস্ক

১৬ মার্চ ২০২০, ১৩:৫৮
কোয়ারেন্টাইন
ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই ‘কোয়ারেন্টাইন’ ও ‘আইসোলেশন’ শব্দ দুটি অনেক বেশি সামনে আসছে। আমাদের দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর শব্দ দুটি নিয়ে মানুষের মনে আরও বেশি কৌতূহল জন্মেছে।

অসুস্থ ব্যক্তিকে পরিবার থেকে আলাদা স্থানে রেখে যত্ন নেওয়া বা চিকিৎসা নেওয়ার ইতিহাস কিন্তু বেশ পুরনো। এ সংক্রান্ত সবচেয়ে পুরাতন দালিলিক প্রমাণ হিসেবে ধরা হয় ‘বুক অব লেভিটিকাস’ বইটিকে। এই বইটি খ্রিস্টপূর্ব ৫৩৮-৩৩২ এই সময়ে লেখা হয়েছে। সেখানকার তথ্য অনুযায়ী, যেসব ব্যক্তির লেপ্রসি বা কুষ্ঠরোগ হতো তাদের সমাজ ও পরিবার থেকে আলাদা করে রাখা হতো।

কোয়ারেন্টাইন শব্দের আগমন

ইতালীয় শব্দ কোয়ারান্টা জিওরনি থেকে কোয়ারেন্টাইন শব্দটি এসেছে। এর অর্থ ৪০ দিন। নির্দিষ্ট সংখ্যার দিন কেন এমন প্রশ্ন থাকতেই পারে। এর পেছনেও একটি গল্প রয়েছে।

পৃথিবীতে কোয়ারেন্টাইনের প্রচলন শুরু হয় চতুর্দশ শতকে। সমুদ্র উপকূলবর্তী শহরগুলোতে যেন প্লেগের আক্রমণ না হয় তার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্লেগ আক্রান্ত এলাকা থেকে ইতালির ভেনিসে যেসব জাহাজ আসত তাদের ৪০ দিন অপেক্ষা করতে হতো বহিনোঙরে। সেখান থেকে কোয়ারেন্টাইন শব্দটির আগমন হয়।

বিশেষ এই পদ্ধতি এতটাই কার্যকর ছিল যে পরবর্তী ৩০০ বছর কোয়ারেন্টাইনের সময়সীমা ৪০ দিন বহাল ছিল।

পরবর্তীকালে ১৯১৮ সালে যখন বিশ্বজুড়ে স্প্যানিশ ফ্লু মহামারি আকার ধারণ করল, তখন আমেরিকা ও ইউরোপের স্বাস্থ্যকর্মীরা একযোগে দাবি করল যে আক্রান্ত ব্যক্তিদের আলাদা রাখতে হবে। কারণ, ভাইরাস বাতাস, কফ ও থুতুর মাধ্যমে ছড়ায়।

সেই সময় আমেরিকার জনস্বাস্থ্য অ্যাসোসিয়েশন সিদ্ধান্ত নিল যে যাদের অবস্থা গুরুতর তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হবে আর যাদের অবস্থা গুরুতর নয় তারা বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিবে। এরপর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কোয়ারেন্টাইনকে আইনের মধ্যে নিয়ে এসে একে বাধ্যতামূলক করে এবং যদি কেউ এই আইন ভঙ্গ করে তার জন্য শাস্তির বিধান রাখে।

কোয়ারেন্টাইন আইন ও বিধান

আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিধি (আইএইচআর -২০০৫)-এর ৩২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুসারে, যেসব দেশে করোনা ভাইরাসের স্থানীয় সংক্রমণ ঘটেছে, সেসব দেশ থেকে দেশি-বিদেশি যাত্রী যারা এসেছেন এবং আসবেন তাদের প্রত্যেককেই হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। ইতোমধ্যে যারা আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেছেন তাদের ক্ষেত্রেও একই ব্যবস্থা নিতে হবে।

আরও পড়ুন : কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশনের পার্থক্য জানেন কি?

বাংলাদেশে ‘সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন ২০১৮’-এর ২৬ ধারা অনুযায়ী যদি কেউ সংক্রামক রোগ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা থাকা সত্ত্বেও তা গোপন করে, ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা বা ভুল তথ্য দেয়, তাহলে সেটি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এজন্য অভিযুক্ত ব্যক্তির দুই মাসের কারাদণ্ড বা ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।

এছাড়াও কোনো এলাকাকে সংক্রমিত এলাকা ঘোষণা, যানবাহন নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি বিষয়ও আছে এই আইনে।

সূত্র- উইকিপিডিয়া

ওডি/এনএম

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড