ফিচার ডেস্ক
স্কুলের শ্রেণীকক্ষের কথা বললেই আমাদের কল্পনায় ভেসে ওঠে এমন একটি ঘর যেখানে পরিপাটি করে সাজানো রয়েছে বেঞ্চ, চেয়ার। তবে ডেনমার্কের কোপেনহেগেন শহরের গ্রিন ফ্রি স্কুলে গেলে দেখতে পাবেন ভিন্ন এক দৃশ্য। অন্যসব বিদ্যালয় থেকে একেবারে আলাদা এই স্কুলটি।
সারিসারি বেঞ্চ, চেয়ারের বদলে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে চেয়ার, টেবিল। শিক্ষার্থীরাও এলোমেলো হয়ে আছে। মূলত এই বিদ্যালয়টিতে একটু ভিন্ন উপায়েই শিক্ষা দেওয়া হয়। সেখানকার শিক্ষার্থীরা বসে কিংবা দাঁড়িয়ে নিজেদের ইচ্ছামতো শিক্ষা নেয়।
গ্রিন ফ্রি স্কুলে শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয় মজার ছলে। তারা যেন টেকসই উন্নয়নের অংশ হতে পারে আর আরও ভালোভাবে বাঁচতে পারে সেভাবেই শেখানো হয় তাদের। সেসঙ্গে শেখানো হয় প্রকৃতিকে ঠিক রাখার কৌশল।
এখানে শিক্ষার্থীরা কেবল বইয়ের পড়ায় আটকে থাকে না। তাদের শেখানো হয় সেলাই মেশিনের কাজ, কাঠের জিনিসপত্র তৈরি, মোমের কাজ। এছাড়াও কী করে প্লাস্টিকের পুনর্ব্যবহার ও অন্যান্য ধাতব বস্তুকে কাজে লাগানো যায়, সেই কৌশলও শেখানো হয়।
এখানেই শেষ নয়। স্কুলটিতে শেখানো হয় প্রকৃতি গড়ে তোলা, জৈব সার তৈরি, বাই-সাইকেল সারানো এবং বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করার উপায়। গুরুত্ব দেওয়া হয় শহরে কৃষিকাজের ওপরও। কারণ, এখানকার বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই শহরের।
আরও পড়ুন- মান্ধাতার আমল : কে এই মান্ধাতা?
২০১৪ সালে ডেনমার্কের চলচ্চিত্রনির্মাতা ফাই অ্যামবো তার মার্কিন বন্ধু কারেন ম্যাকলিয়ান মিলে স্কুলটি চালু করেন। ফাই অ্যামবো বলেন, ‘এখানে শিক্ষার্থীদের মানুষ হয়ে ওঠার ব্যাপারে নৈতিক শিক্ষা দেওয়া হয়। সেসঙ্গে শিক্ষার্থীদের শেখানো হয়, কীভাবে সবাইকে নিয়ে বাঁচা যায়। নিজের দ্বারা যেন অন্যের কোনোরকম ক্ষতি না হয়, সেই ব্যাপারেও শিক্ষা দেওয়া হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুরুতে আমরা শঙ্কায় ছিলাম। যদিও এখন ধীরে ধীরে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। এখন আমরা আশাবাদী। যারা এখানে শিখতে আসছে তারা আনন্দ নিয়ে শিখছে। তাদের পরিবারের মানুষও সন্তুষ্ট।’
ওডি/এনএম
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড