• শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩০  |   ২১ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

দেশি বরইয়ের দুর্দিন

  সাইফুল্লাহ হাসান, মৌলভীবাজার

১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৪:২৩
টক বরই
গাছে ঝুলছে দেশি বরই (ছবি : দৈনিক অধিকার)

এমন দিন আসলে গাছে গাছে দেশি বরই ঝুলে থাকতো। ছোট্ট শিশুরা এসব বরই গাছে ঢিল দিতো খাওয়ার জন্য। এমনকি বড়রাও। এখন আর সেই দৃশ্য চোখে পড়ে না। ক্রমেই যেন বিলুপ্ত হতে চলেছে এই দেশি বরই। তবে ছিটেফোঁটা যেটুকু টিকে আছে, কোনো রকম পরিচর্যা ছাড়াই সেসব গাছে দেশি বরইর ব্যাপক ফলন হয়েছে।

এক সময় মৌলভীবাজার জেলার বিভিন্নস্থানে উঁচু জমিতে, সড়কের পাশে অনেকটা অবহেলায় বিচ্ছিন্নভাবে ‘টক বরই’ গাছ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতো।

নানা কারণে কৃষকরা এই বরই গাছগুলোকে আগাছা হিসেবে মনে করতো। মানুষের আগ্রহ না থাকায় পাখিদের খাবার যোগাতো এই টক বরই। অবহেলার কারণে কয়েক বছরের ব্যবধানে টক বরই বিলুপ্তির তালিকায় চলে গেছে। তবে এখনও অনেকের আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে এই টক বরই।

স্থানীয় পরিবেশ প্রেমিক খুরশেদ আলম বলেন, ‘দেশি বরইয়ের বিকল্প নেই। আমাদের মৌলভীবাজারের বিভিন্নস্থানে এ পর্যন্ত কিছু দেশি বরই গাছ টিকে আছে। এসব বরই বাজারে বিক্রি করে কৃষকরা ভালো দাম পাচ্ছেন। অন্যদিকে দেশি বড়ই খেতে টক হলেও তার উপকারিতা বেশি।’

মোকামবাজার এলাকার আল আমিন বলেন, ‘দেশি বরই গাছে কোনো প্রকারের ওষুধ দিতে হয় না। কোনো রকম পরিচর্যা করা হয় না। এমনিতেই ফল আসে। মানুষের কাছে এখনো দেশি বরইর চাহিদা রয়েছে। লোকজনও বেশি দামেই দেশি বরই কেনে।’

আরও পড়ুন : ফুলে ফুলে সুশোভিত ইবি ক্যাম্পাস

জুড়ী উপজেলার ভবানীগঞ্জ বাজারের বাসিন্দা মেহেদী হাসান মারুফ জানান, তাদের বাসায় দুটি দেশি বরই গাছ রয়েছে। তাতে ভাল ফলনও হয়েছে। আচার তৈরিতে টক বরই প্রয়োজন। তাই তিনি জানিয়েছেন বরইগুলো শুকিয়ে সংরক্ষণ করা হচ্ছে।

ওডি/এমএ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড