ফিচার ডেস্ক
বর্তমানে পুরো বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ এক আতঙ্কের নাম করোনা ভাইরাস। সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (সার্স) এবং মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোমের (মার্স) পর এই ভাইরাস আতঙ্কিত করে তুলেছে বিশ্বকে।
২০১৯-এনসিওভি ভাইরাসটি করোনা ভাইরাস পরিবারেরই। কিন্তু কেন এই ভাইরাসের নাম করোনা হলো?
নতুন বছরের শুরু থেকে গুগলে ‘করোনা বিয়ার ভাইরাস’ নিয়ে ‘সার্চ’ বেড়ে চলেছে। মানুষ হয়তো ধারণা করেছে জনপ্রিয় মেক্সিকান বিয়ার ‘করোনা এক্সট্রা বিয়ার’ থেকেই ছড়িয়েছে এই ভাইরাস, আর তাই এই নামকরণ।
‘গুগল ট্রেন্ড’ অনুযায়ী, গত ১৮ জানুয়ারি থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ‘করোনা বিয়ার ভাইরাস’ নিয়ে গুগল সার্চ বেড়ে যায় ২৩০০ শতাংশ। ‘বিয়ার ভাইরাস’ লিখে খোঁজ বেড়েছে ৭৪৪ শতাংশ। আর ‘বিয়ার করোনা ভাইরাস’ লিখে খুঁজেছিলেন ৩২৩৩ শতাংশ উৎসুক মানুষ।
এমন পরিস্থিতিতে ঐ বিয়ার কোম্পানি বাধ্য হয়েই জানান যে ওই ভাইরাসের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।
বিজনেস ইনসাইডারের মতে, করোনা একটি লাতিন শব্দ। স্প্যানিশ ভাষাতেও এ শব্দটি রয়েছে। আর করোনা বিয়ারের উৎপত্তি মেক্সিকোতে। আর তাই এই বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে।
প্রাচীন গ্রিক শব্দ করোন থেকে সপ্তদশ শতকের দিকে লাতিন ভাষায় করোনা শব্দটির আগমন ঘটে। এর অর্থ পুষ্পমাল্য বা পুষ্পমুকুট। সূর্যের চারপাশে উজ্জ্বল যে আলোর বলয় (সাধারণভাবে পূর্ণগ্রাস গ্রহণের সময়ই কেবল দেখা যায়) রয়েছে, তা দেখতে ওই মুকুটের মতো বলে জ্যোতির্বিদরাও একে করোনা বলেন।
আরও পড়ুন : করোনায় চীনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯০
ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্রে দেখলে করোনা ভাইরাস পরিবারের সব সদস্যের মূল কাঠামো ঘিরে ট্রাম্পেট বা ফানেলের মতো অসংখ্য কাঁটা দেখা যায়। দেখে মনে হয় যেন রাজমুকুটের ওপর থরে থরে সাজানো রয়েছে দণ্ড।
আর এ সবমিলিয়েই এই ভাইরাসের নাম করোনা ভাইরাস রাখা হয়েছে। ১৯৩০ এর দশকে এই ভাইরাসের সন্ধান মেলে।
বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নাল সায়েন্সডাইরেক্ট ডটকমে ২০১২ সালের এক নিবন্ধে বলা হয়, মানুষের দেহে প্রথমবারের মতো করোনা ভাইরাস সংক্রমণের তথ্য পাওয়া যায় ষাটের দশকে। মুরগির ‘অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন’ দেখা দিলে জানা যায় ইনফেকশাস ব্রঙ্কাইটিস ভাইরাসের (আইবিভি) কারণে তা হয়েছে।
ওডি/এনএম