ভিন্ন খবর ডেস্ক
আধুনিক সভ্যতার এই যুগে এসেও একটা কথার এখনো প্রচলন রয়েছে- মাথায় মাথায় একবার ঠোকা লাগলে নাকি শিং গজায়! তাই একবার কোনো কারণে একজনের মাথার সঙ্গে ঠোকা লাগলে তার মাথায় আরেকবার নিজেই ঠোকা নিয়ে ‘দোষ’ কাটিয়ে নিতে হয়। এটাই ‘নিয়ম’! এটা না করলেই মাথায় শিং গজাবে। ছোট বেলায় আমরা এই কুসংষ্কারের সঙ্গে অনেকেই পরিচিত হয়েছি। যদিও এ কথার বৈজ্ঞানিক কোনো ব্যাখ্যা নেই।
এখন যদি ছোট বেলার সেই কুসংষ্কারের কথা মনে পড়ে তাহলে প্রচণ্ড হাসি পায়। কীভাবে মানুষের মাথায় শিং গজাতে পারে! কিন্তু এমনই অবিশ্বাস্য একটি ঘটনা সামনে চলে এসেছে। দেখা মিলেছে শিং মাথার একজন মানুষের।
জানা গেছে, ওই ব্যক্তির নাম শ্যামলাল যাদব। পেশায় সে কৃষক। ভারতের মধ্যপ্রদেশের রহলি গ্রামের বাসিন্দা তিনি।
সম্প্রতি ৭৪ বছর বয়সী শ্যামলাল যাদব নামে এক কৃষক মাথায় ৪ ইঞ্চি লম্বা শিং নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভারতের মধ্যপ্রদেশের সাগরের ভাগ্যদয় তীর্থ হাসপাতালে আসেন।
কৃষক শ্যামলাল চিকিৎসকদের জানান, পাঁচ বছর আগে আঘাত লেগে মাথা ফেটে গিয়েছিল তার। পরে তা সেরে যায়। কিন্তু এরপর থেকে মাথা ফেটে যাওয়ার ওই অংশ একটু একটু করে ফুলে বেড়ে থাকে। প্রথম দিকে মাথার চাঁদিতে গজানো শক্ত, অসাড় আঙুলের মতো অংশটি স্থানীয় সেলুনে গিয়ে চেঁচে আসতেন শ্যামলাল। ফলে গজানো শক্ত অংশ আরও দ্রুত আকারে বাড়তে লাগল। সেটি এখন বাড়তে বাড়তে গত কয়েক বছরে ৪ ইঞ্চি লম্বা শিংয়ের চেহারায় রুপ নিয়েছে।
চিকিৎসকরা তার শিং পরীক্ষা করে জানান, শ্যামলাল যাদবের মাথায় ‘কটেনিয়াস হর্ন’ বা ‘ডেভিলস হর্ন’ গজিয়েছে। ডাক্তারদের মতে, এটি এক ধরনের স্কিন টিউমার। মানব শরীরে চুল, নখ গঠনকারী কেরাটিন প্রোটিনের মাত্রাতিরিক্ত ক্ষরণের ফলে এই ‘কটেনিয়াস হর্ন’ তৈরি হয়।
ওই হাসপাতালে ১০ দিন থাকার পর শিং মানব শ্যামলাল যাদবকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সাগরের ভাগ্যদয় তীর্থ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. বিশাল গজভিয়ে অস্ত্রোপচারে তার শিং অপসারণ করেন।
চিকিৎসক বিশাল গজভিয়ে জানান, শ্যামলালের মাথায় গজানো ‘কটেনিয়াস হর্ন’ অস্ত্রপচার করে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার চিকিৎসা এখনো বাকি আছে। শ্যামলালের মাথায় গজানো ‘কটেনিয়াস হর্ন’ নির্মূল করতে রেডিয়েশন থেরাপি বা কেমোথেরাপির প্রয়োজন হতে পারে। ফের শ্যামলালের মাথায় অস্ত্রপচারেরও প্রয়োজন হতে পারে বলেও জানান তিনি।
ওডি/টিএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড