ভিন্ন খবর ডেস্ক
চারপাশে হিম শীতল আবহাওয়া, হাড় কাঁপুনি শীত। ঠিক এমন পরিবেশে গেলেন একটি ঝর্ণার কাছে। ওমা! পানি কোথায়? ঝর্ণা গড়িয়ে পড়ছে রক্ত! না, কোনো ভৌতিক সিনেমার গল্প বলছি না। বাস্তবেই রয়েছে এমন দৃশ্য। প্রকৃতির সে এক অদ্ভুত খেয়াল।
বলছিলাম অ্যান্টার্কটিকাতে অবস্থিত দ্য ব্লাড ফলসের কথা। সবচেয়ে শীতলতম এ মহাদেশের পূর্বাঞ্চলের ম্যাকমার্দোর ভিক্টোরিয়া ল্যান্ডে রয়েছে শুষ্ক উপত্যকা। সেখানকার টেইলর হিমবাহ থেকে টেইলর ভ্যালির তুষারে ঢাকা ওয়েস্ট লেক বনির ওপর দিয়ে বয়ে যায় রক্ত লাল রঙের ঝর্ণা! কিন্তু কী রহস্য লুকিয়ে আছে এই ঝর্ণার পেছনে?
১৯১১ সালের কথা। অস্ট্রেলিয়ার ভূবিজ্ঞানী গ্রিফিথ টেলর আবিস্কার করেন বিস্ময়কর এই প্রাকৃতিক স্থানটি। তার ধারণা অনুযায়ী, শ্যাওলা কিংবা অন্য কোনো জলজ উদ্ভিদের কারণে হয়তো পানির এমন রং হয়েছে। তবে টেলরের সেই অনুমান কখনো যাচাই করে দেখা হয়।
অ্যান্টার্কটিকার এই ব্লাড ফলস্টিকে ঘিরে রহস্য বেশ পুরোনো। এই রহস্যের জট খোলে ইউনিভার্সিটি অব আলাস্কা ফেয়ারব্যাঙ্কস্ এর করা একটি গবেষণা! জানা যায়, এই ঝর্ণার পানি গাঢ় লাল হওয়ার পেছনে দায়ী সমুদ্রের লোনা পানিতে থাকা অক্সিডাইজড্ আয়রন।
লোহার কোনো বস্তুতে মরিচা ধরলে যেমন লাল রং হয়ে যায়, ঠিক সেভাবেই সেই পানি লাল রং ধারণ করে। আয়রনযুক্ত লোনা পানি যখন অক্সিজেনের সংস্পর্শে আসে, তখন আয়রন অক্সিজেনের সাথে রাসায়নিকভাবে জারিত হয়ে লাল রঙের হয়ে যায়।
প্রকৃতির এই অদ্ভুত ঝর্ণা সম্পর্কে কি জানা ছিল আপনার? চাইলে ঘুরে আসতে পারেন অ্যান্টার্কটিকা আর দেখে আসতে পারেন রক্ত লাল ঝর্ণা।
ওডি/এনএম
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড