ভিন্ন খবর ডেস্ক
একটি পোশাকের দোকানের পাশে কাঁচের ভেতর সাজানো রয়েছে বিয়ের সাজে দাঁড়িয়ে থাকা অদ্ভুত সুন্দর একটি ম্যানিকুইন বা পুতুল। আজকাল নয়, গত ৮৯ বছর ধরে সেখানে রয়েছে পুতুলটি। আর তাকে রহস্যেরও শেষ নেই। তাকে দেখে দেশ-বিদেশ থেকে হাজারো পর্যটকের কৌতুহল যেন ফুরাতেই চায় না। আর তার কারণ হলো, অদ্ভুত এই ম্যানিকুইনটির ত্বক থেকে শুরু করে নখ— সব একেবারের জীবন্ত মানুষের মতো।
মেক্সিকোর চিহুয়াহুয়ার বিখ্যাত পোশাকের দোকান ‘লা পাসকুয়ালিতা’-এর ম্যানিকুইন এটি। যাকে ঘিরে রয়েছে এক অদ্ভুত কাহিনী আর বিশ্বাস।
১৯৩০ সালের ২৫ মার্চ থেকে এই দোকানের শোকেসে রয়েছে এই ম্যানিকুইনটি। প্রচলিত রয়েছে, ১৯৩০-এ ওই দোকানের তত্কালীন মালিক পাসকুয়ালা এসপারজা-এর মেয়ের সঙ্গে এই ম্যানিকুইনটির মুখের অবিকল মিল। এই ম্যানিকুইনের ত্বক, নখ, শিরা-উপশিরা সবকিছু জীবন্ত মানুষের মতোই। আর তাই একে ঘিরে মানুষের কৌতুহল আর কাহিনী যেন শেষই হয় না।
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, এটি মোটেও কোনো ম্যানিকুইন নয়। এটি আসলে এই দোকানের তৎকালীন মালিক পাসকুয়ালা এসপারজার মেয়ের মমি বা সংরক্ষিত মৃতদেহ। শোনা যায়, দোকানে ম্যানিকুইনটি বসানোর কিছুদিন আগেই নাকি বিষাক্ত মাকড়সার কামড়ে এসপারজার যুবতী মেয়ের মৃত্যু হয়েছিল। তার স্মৃতিকে আগলে রাখতেই মেয়ের দেহকে মমি করে রাখেন পাসকুয়ালা এসপারজা।
তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিশ্বাস যাই হোক না কেন, মেয়ের দেহকে ম্যানিকুইন বানিয়ে দোকানে রাখার বিষয়টি বরাবর অস্বীকার করেছেন পাসকুয়ালা এসপারজা ও তার স্ত্রী। বিশেষজ্ঞদের মতে, মেক্সিকোর আবহাওয়ায় এত দিন ধরে মমি সংরক্ষণ করা সম্ভব নয়।
তবে ‘লা পাসকুয়ালিতা’-এর এই ম্যানিকুইনটি এতটাই নিখুঁত যে আজও মানুষ তা অবাক হয়ে দেখে আর রহস্য নিয়ে ভাবে।
ম্যানিকুনটির ভিডিও দেখতে পারেন আপনিও-
ওডি/এনএম
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড