ভিন্ন খবর ডেস্ক
ছোট একটি দ্বীপ। স্থানীয়রা তাকে ডাকে ‘ভুতুড়ে দ্বীপ’ নামে। মাঝ সমুদ্রে থাকা নির্জন ওই সবুজ অঞ্চল দেখলে গা ছমছম করে উঠবে যে কারোর। এই দ্বীপ সম্পর্কে আশেপাশের মানুষ যা বলে তাতে আপনি ভুলেও এর ছায়াও মাড়াতে চাইবেন না।
প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝে অবস্থিত এই পরিত্যক্ত দ্বীপ সম্পর্কে শোনা যায়, সেখানে কেউ একরাত থাকলেই তার মৃত্যু ঘনিয়ে আসবে। কারণ, রাত হলেই এই দ্বীপের চেহারা পুরোই বদলে যায়। দ্বীপের নাম ‘নান মাদোল’। প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে মাইক্রোনেশিয়ার পনফেই দ্বীপের পাশে ছোট এই দ্বীপের অবস্থান।
এই দ্বীপের ভেতরে থাকা প্রাচীন শহরকে পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্যের তকমাও দেওয়া হয়। এর অবস্থান এতটাই প্রত্যন্ত এলাকায় ছিল যে, কারোর পক্ষে সেখানে যাওয়া প্রায় অসম্ভব ছিল। গবেষকরা ঐ দ্বীপে গিয়ে দেখেছেন সেখানে ৯৭টি আলাদা আলাদা ব্লক রয়েছে। সরু খালের মতো জলাশয় সেই ব্লকগুলোকে একে অপরের থেকে আলাদা করে রেখেছে। তবে এই ধরনের ব্লক কী কারণে তৈরি হয়েছে তা স্পষ্ট নয়।
কী কারণে কেউ এমন এক মাঝ সমুদ্রে দ্বীপ তৈরি করলেন সেই কারণ আজও অজানা। আশেপাশে সভ্যতার চিহ্নও নেই বললেই চলে। অস্ট্রেলিয়া থেকে ১৬০০ মাইল দূরে ও লস অ্যাঞ্জেলস থেকে ২৫০০ মাইল দূরে রহস্যময় এই দ্বীপ অবস্থিত।
স্যাটেলাইট ইমেজে ঘন জঙ্গল ছাড়া তেমন কিছুই চোখে পড়ে না। কিন্তু দ্বীপে নামলে দেখা যায় সেখানে অনেক প্রাচীর রয়েছে। এর দেয়াল ২৫ ফুট লম্বা আর ১৭ ফুট মোটা। নান মাদোল শব্দটির অর্থ, দুটি জিনিসের মাঝে থাকা কোনো বস্তু। পনফেই দ্বীপের বাসিন্দারা এই দ্বীপের ধারে কাছেও যান না।
তাদের দাবি, ওই দ্বীপে ভূত রয়েছে। অনেকে পর্যটকদের নিয়ে সেখানে যান কিন্তু তা শুধুমাত্র দিনের বেলাতে। কেননা, রাতের অন্ধকারে সেখানে আলোকোজ্জ্বল অদ্ভুত সব বস্তু ঘোরাফেরা করতে দেখেছেন তারা। আর তাই তারা বিশ্বাস করেন, এই দ্বীপে কেউ রাতের বেলা গেলে তার মৃত্যু অনিবার্য।
ওডি/এনএম
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড