সৈয়দ মিজান
বলা হয়ে থাকে ছাত্রদের সঠিক শিক্ষাদানের জন্য একজন শিক্ষককে অভিনেতার মতো হতে হয়। শিক্ষকের নানা গুণ ধীরে ধীরে শিষ্যদের মাঝে ছড়িয়ে দিতেই দিনের পর দিন নিরলস চেষ্টা করেন অনেক শিক্ষকই। কেউ কেউ চেষ্টা করেন শিক্ষার্থীদের মাঝে জ্ঞানের আলো পৌঁছে দিতে একটু ভিন্ন উপায়ে। তবে কখনো কখনো জ্ঞানদানের জন্য এমন কিছু করে বসেন যা দেশ-কালের পাত্র পেরিয়ে বহুদূরেও প্রশংসা কুড়ায়। সম্প্রতি থাইল্যান্ডে তেমনই এক শিক্ষকের সন্ধান পাওয়া গেল।
থাইল্যান্ডের একটি স্কুলের ইংরেজির শিক্ষক তিরাফঙ মিসাত শিক্ষার্থীদের কাছে নানান অদ্ভুত সাজে হাজির হন প্রতি ক্লাসেই। এভাবেই তিনি তার শিক্ষার্থীদের উজ্জীবিত করেন নতুন নতুন বিষয় জানতে। বিশেষ করে ইংরেজির প্রতি শিশুদের অনীহা কাটাতেই তিনি এমন একটি পদ্ধতি খুঁজে বের করেছেন।
২৯ বছর বয়সী এই শিক্ষক থাইল্যান্ডের রাহাতাবুরি প্রদেশের প্রসারত্রাতপ্রাচাকিত বিদ্যালয়ের ইংরেজি পড়িয়ে থাকেন। প্রতিদিন এই স্কুলে আসেন বিচিত্র এক সাজে। সারা শরীরে নানা রকম উল্কি আঁকা থাকে তার। চোখের পাপড়ি হিসেবে ব্যবহার করেন কুড়িয়ে পাওয়া পাখির পালক। জনপ্রিয় ব্যান্ড কে-পপ এর তারকা লিসার মতো ধূসর একটি পরচুলা ব্যবহার করেন এই শিক্ষক।
ছাত্রছাত্রীদের কাছে তিনি 'বেলি' নামেও পরিচিত। থাই এই শব্দটির অর্থ হারানো সম্মান ফিরিয়ে দেয় যে। তিরাফঙ জানান, "একটা সময় ছিল এখানকার শিক্ষার্থীরা ইংরেজি শিখতে পছন্দ করতো না। আমার এই নতুন ধারণাটি তাদের মধ্যে বেশ প্রভাব ফেলেছে। বিশেষ করে যারা ইংরেজি শিখতে গিয়ে ভুল করে বিব্রত বোধ করতো তাদের এই অভ্যাসটি দূর হয়ে গেছে।"
তিনি আরও জানান, "কিছু শিক্ষার্থী ছিল খুবই ভীত। কিন্তু বর্তমানে তারা খুবই আগ্রহী ইংরেজি শেখার ব্যাপারে।" তিরাফঙ এর শিক্ষার্থীদের থেকেও জানা গেল এমনই তথ্য। তারা জানায় আমাদের 'বেলি' ক্লাসকে মাতিয়ে রাখেন। তার ক্লাস একটু বোরিং না। তিনি আমাদের প্রশ্ন করতে দেন। এতে আমরা আত্মবিশ্বাস পাই।"
সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা
ওডি/এসএম
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড