• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৪ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

এক মাস বেঁচে থাকে যে গ্রাম

  ফিচার ডেস্ক

১১ জুন ২০১৯, ২০:১৯
গ্রাম
প্রতি বছর মে মাসে পানির নিচ থেকে ভেসে ওঠে গ্রামটি। (ছবি : বিবিসি)

এক সময় সেটি ছিল একটি সমৃদ্ধশালী গ্রাম। একই সাথে বেশ প্রতাপ নিয়েই চলতো এই গ্রামের মানুষজন। তবে এখন আর সেই গ্রামের অস্তিত্ব হুট করে কেউ বের করতে পারবে না। বছরের ১১ মাসই পানির নিচে থাকে গ্রামটি। মাত্র এক মাসের জন্য ভেসে উঠে আলোর মুখোমুখি হয় একটি হারিয়ে যাওয়া জনপদ। তবে এই একটা মাস গ্রামের বাসিন্দারা ফিরে এসে উৎসব মুখর করে তোলেন গ্রামটিকে।

ভারতের পশ্চিমের প্রদেশ গোয়া। সেখানকার একটি গ্রাম কারদি। ১৯৮৬ সালে গোয়া প্রদেশে প্রথম বাঁধ নির্মাণ করা হয়। আর এই বাঁধের কারণেই পানির নিচে চলে যায় কারদি গ্রামটি। তখন থেকেই অবশ্য এই গ্রামের মানুষরা জানতেন এমনটা ঘটবে। গ্রামের সবাইকে পাশের একটি গ্রামে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাদের বেশ সুযোগ সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে।

গ্রামটি সারা বছর পানির নিচে থাকলেও মে মাসের শেষের দিকে ভেসে ওঠে প্রতি বছরই। পানি সরে গেলে দেখা যায় গ্রামের অনেককিছুই এখনো রয়ে গেছে খণ্ড খণ্ড হয়ে। গাছের গুড়ি, ক্ষয় হয়ে যাওয়া বাড়িঘর, ভেঙে যাওয়া মন্দির, নানান তৈজসপত্র, আর পরিত্যক্ত বিরান একটা গ্রাম।

প্রায় হাজার তিনেক মানুষের বসতি ছিল গ্রামটিতে। এই গ্রামে ফসল হতো খুব বেশি। এখানকার মানুষজন তাই বেশ সচ্ছ্বল জীবন যাপনই করতেন। হিন্দু, মুসলমান আর খ্রিস্টান ধর্মের মানুষ ছিল গ্রামটিতে। নানা রকম ফলের গাছে ঘেরা গ্রামটিকে দেখতে বেশ সুন্দরই লাগতো।

সেই সুন্দর গ্রামটির স্মৃতিচারণ করতেই যেন প্রতি বছর সেখানে ছুটে যান গ্রামের প্রাক্তন অধিবাসীরা। নিজেদের বাড়ি ঘরের ধ্বংসাবশেষ দেখে পুরনো স্মৃতি হাতড়ে বেড়ান কেউ কেউ। কেউবা ভেঙে যাওয়া প্রার্থনালয়গুলোতে প্রার্থনা করেন।

সূত্র : বিবিসি

ওডি/এসএম

আপনার চোখে পড়া অথবা জানা অন্যরকম অথবা ভিন্ন স্বাদের খবরগুলোও আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তাই সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড