অধিকার ডেস্ক ২১ নভেম্বর ২০১৮, ১৩:৩৯
নেশার উপকরণ হিসেবে মাদক, ড্রাগ, গাঁজা, অ্যালকোহল ইত্যাদি ব্যবহার হয়ে আসছে অনেকদিন ধরেই। নিম্ন আয়ের অনেকে জুতা মেরামতে ব্যবহৃত ঝাঁঝালো ঘাম দিয়েও নেশা করেন। এবার এ তালিকায় যুক্ত হলো ‘স্যানিটারি ন্যাপকিন’ এর নাম।
সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ায় এমন দৃশ্যই চোখে পড়ছে। স্যানিটারি ন্যাপকিন দিয়ে নেশা করা এখন সেখানকার টিনেজারদের ট্রেন্ড বলা চলে। জানা গেছে, স্যানিটারি ন্যাপকিন এবং কটনপ্যাডের সেদ্ধ করা জুস খেয়ে নেশা করছে সে দেশের কিশোররা। এতে নাকি ভালো নেশা হয়, আর সে নেশাতেই মজেছে তারা।
দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এ বিষয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে এই ধরনের আসক্তির ট্রেন্ড ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে ইন্দোনেশিয়ায়। ইতোমধ্যে বেশকিছু টিনেজারকে গ্রেফতারও করা হয়েছে এ কারণে।
নেশার জন্য এমন ফর্মুলা কেন ব্যবহার করা হচ্ছে সে বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে উঠে এসেছে একাধিক তথ্য।
ইন্দোনেশিয়া ন্যাশানাল ড্রাগ এজেন্সির (বিএনএন) এক রির্পোটে জানায়, বিশেষ এই জুসে থাকে ক্লোরিন। এই উপাদানটি মানবদেহে এক ধরনের হ্যালুসিনেশন ও তীব্র নেশার অনুভূতি সৃষ্টি করে। আর এই নেশাতেই বুদ হয়ে আছে দেশটির টিনএজাররা।
স্যানিটারি প্যাডের সেদ্ধ জুস খেয়ে নেশা করা ১৪ বছরের এক কিশোর গণমাধ্যমকে জানায়, প্রথমে আধা ঘণ্টা স্যানিটারি প্যাডকে পানিতে ফোটানো হয়। তারপর সেটি থেকে তরল অংশকে আলাদা করা হয়। সেই তরল কন্টেইনারে ভরে রেখে দেওয়া হয় কিছু সময়। এরপর তা জুসের মতো পান করতে হয়। স্বাদে কিছুটা তেতো এই জুস প্রায় সারাদিনই পান করতে থাকে কিশোররা।
দেশটির গণমাধ্যমগুলো জানাচ্ছে মূলত দরিদ্র ও পথে বসবাসকারী ছেলেমেয়েরাই এ নেশাতে বেশি আসক্ত হয়ে পড়ছে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড