ইকবাল হাসান ফরিদ
ছবিটি বক শিকারের ফাঁদ। শিকারিরা পোষা বক ব্যবহার করে এভাবেই বক শিকার করেন। আবার পোষা বকটির যখন আর শিকার ধরায় সহযোগিতা করার মতো সক্ষমতা থাকেনা, তখন কিন্তু পোষা বকটির গলায় ছুরি চালান নিষ্ঠুর শিকারি। তেমনি কিছু চতুর লোক আছেন. তারা নিজের স্বার্থ হাসিলে কিছু বলদকে ব্যবহার করেন। স্বার্থ হাসিলের পর তারা ওই বলদকে কোরবানী কিংবা কোন বিশেষ দিনে জবাই করেন…।
যাই হোক, বক শিকারের এই ফাঁদ পাততে চিকন বাঁশের বাঁকানো তিনটি খুঁটি তিন কোনাকৃতি করে পোঁতা হয়। এক পাশ খোলা রেখে প্রতিটি খুঁটির সঙ্গে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে টানা দিয়ে মানুষের সমান উচ্চতায় একটি ঘর তৈরি করা হয়। ওই ঘরের চারপাশ সবুজ কলাপাতা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। ওপরের ফাঁকা অংশটি সন্ধি বেত বা নিশিন্ধাগাছের ডাল-পাতা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়। এই ফাঁদ দূর থেকে দেখতে গাছের মতো মনে হয়। এই ফাঁদের কাঠামোর পাশে একটি খুঁটি পুঁতে তাতে পায়ে রশি বাঁধা শিকারির পোষা বকটি রাখা হয়। আকাশে কোনো বক উড়তে দেখলে পোষা বকটি উড়ার চেষ্টা করে। ফাঁদের ওই কাঠামোর ভেতর থেকে শিকারি পোষা বকের রশি ধরে টানতে থাকেন। বকটি তখন শব্দ করে ডেকে ওঠে। অনেক সময় শিকারি নিজেও বকের শব্দ করে ডাকেন। উড়ন্ত বকগুলো ওই শব্দ শুনে কাছে আসে। আশপাশে বসার জায়গা না থাকায় ওই ফাঁদে বসামাত্রই ভেতরে অবস্থান করা শিকারি হাত বাড়িয়ে বকের পা ধরে টেনে নেন।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড