ভিন্ন খবর ডেস্ক
সাহিত্য-সিনেমা থেকে শুরু করে লোকজ সংস্কৃতিতে উপস্থিত ‘মৎস্যকন্যা’ নিয়ে কখনো কি ভেবেছেন? শরীরের উপরিভাগ নারীর অবয়ব এবং নিচের অংশ মাছের শরীরের মতো দেখতে জলরাজ্যের অসম্ভব সুন্দর এই জলপরীদের অস্তিত্ব আসলেই কি পৃথিবীতে আছে?
ডাইনোসরের মতো মৎস্যকন্যারাও কি হাজার বছর আগে পৃথিবীতে বাস করতো? সত্যিই কি এই জলপরীরা জীবন্ত কোনো প্রাণী?
জানা যায়, মানুষ এবং মাছের বৈশিষ্ট্য নিয়ে সৃষ্ট এই প্রাণীটি দেখতে নারীর মতো। যার আছে কোমর অব্দি সোনালি চুল। শরীরের উপরিভাগ নারীদের মতো এবং নিচের দিক মাছের মতো লেজযুক্ত। সমুদ্রের উপরিভাগে ভেসে বেড়ানো এবং বসবাসরত এই জলপরীরা মাছের মতোই দীর্ঘসময় পানি ছাড়া থাকলে নিস্তেজ হয়ে যায়।
মারমেইড বা মৎস্যকন্যা নামক প্রাণীটি আলোচনায় এসেছে মেরফোক বা মের্পিপলের গল্প থেকে। মেরফোক নামের রহস্যময় এই জলজ প্রাণীদের পুরুষ অবয়বের নাম মেরম্যান ও নারীদের বলা হয় মারমেইড। সমগ্র বিশ্বের সব লোককাহিনি ও পৌরাণিক কাহিনিতে কমবেশি মারমেইড তথা জলজগতের এই রহস্যময় প্রাণীটি আলোচনায় এসেছে।
যদিও এসব শুধুই গল্প, তবে এবার বাস্তবজীবনের মৎস্যকন্যার খোঁজ পাওয়া গেল ব্রিটেনে। নাম তার নাওমি ট্রট। এই নারী পানির নীচে ৪ মিনিট পর্যন্ত থাকতে পারেন। তবে সেটা একদিনে হয়নি। দীর্ঘদিন ট্রেনিংয়ের পরে তিনি এটা করতে পেরেছেন। দেশটির ব্রিস্টল নগরীতে বাস করেন নাওমি। ৩৪ বছরের এই তরুণী পেশায় একজন আর্কিওলজিস্ট।
পেশায় আর্কিওলজিস্ট হলেও নাওমি নেশায় একজন মৎস্যকন্যা। সপ্তাহের শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত মৎস্যকন্যা হিসেবে পারফর্ম করেন তিনি। বাকি দিনগুলো চাকরি করেন। তিনদিন মৎস্যকন্যা হয়ে বাচ্চাদের আনন্দ দেন নাওমি। পানিতে মৎস্যকন্যার সাজে অন্য জলজ প্রাণীদের সঙ্গে সাঁতার কাটেন।
২০১৯ সাল থেকে মৎস্যকন্যা হিসেবে পারফর্ম করে আসছেন নাওমি। প্রতি শিফটে সাধারণত ২০ মিনিট পারফর্ম করতে হয় তাকে।
ওডি/জেআই
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড