ভিন্ন খবর ডেস্ক
যত দূর দেখা যায় চোখজুড়নো প্রবাল সারি। সমুদ্রের তলদেশে এ প্রবালগুলি অনেকটা গোলাপ আকৃতির। প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে আছে নয়নাভিরাম এই প্রবালগুলো।
পরিবেশবিদদের কাছে সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো, বৈশ্বিক উষ্ণায়নের এই বিশ্বে গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরেও অক্ষত রয়েছে এসব প্রবাল।
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, সমুদ্রের গভীরে অবস্থানের কারণেই এগুলি সুরক্ষিত রয়েছে। প্রশান্ত মহাসাগরের তাহিতি দ্বীপে এই প্রবালপ্রাচীরের সন্ধান পাওয়া গেছে।
প্রবালপ্রাচীরটির খোঁজ পান সাঁতারুদের একটি দল। তাদের নেতৃত্ব দিয়েছেন অ্যালেক্সিস রোজেনফিল্ড নামের এক ফরাসি আলোকচিত্রী। চোখের সামনে প্রবালপ্রাচীরটি দেখে অভিভূত তিনি।
বিস্মিত রোজেনফিল্ডের ভাষায়, বিশাল আকারের অপরূপ গোলাপ প্রবালগুলি প্রত্যক্ষ করার বিষয়টি মোহনীয়। দৃষ্টিসীমার শেষ প্রান্ত পর্যন্ত সেগুলি ছড়িয়ে ছিল। যেন এক শিল্পকর্ম।
সারা বিশ্বেই সমুদ্রের তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে হারিয়ে যাচ্ছে প্রবালের নজরকাড়া রঙ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ। ২০১৬ সাল থেকে সেখানকার ৮০ শতাংশ প্রবাল নষ্ট হয়েছে!
ইউনেসকোর তথ্য বলছে, উষ্ণ জলে প্রাচীরগুলির অবস্থান সাধারণত সর্বোচ্চ ২৫ মিটার গভীর পর্যন্ত হয়। তবে তাহিতির প্রবালপ্রাচীরটির গভীরতা ৩০-১২০ মিটারের মধ্যে। এই গভীরতায় আলো ভালো ভাবেই পৌঁছাতে পারে। যা প্রবালের বেড়ে ওঠা ও তার টিকে থাকার জন্য যথেষ্ট।
তাহিতির এই প্রবালপ্রাচীরের আবিষ্কার এমন বড় প্রবালপ্রাচীর থাকতে পারে বলেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। কারণ ইউনেস্কোর বিজ্ঞানীদের হিসাব মতে, সাগরের তলদেশের মাত্র ২০ শতাংশ এখন পর্যন্ত সামনে এসেছে। আগামী দিনে এরকম আরও অনেক আসবে।
ওডি/জেআই
সম্পাদক: মো: তাজবীর হোসাইন
সহযোগী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118241, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড