ভিন্ন খবর ডেস্ক
৫২ বছরেরও বেশি সময় অনুসন্ধানের পর আমেরিকার সবচেয়ে কুখ্যাত ব্যাংক ডাকাতির নেপথ্যে থাকা এক পলাতককে শনাক্ত করা হয়েছে। ওহাইয়ো রাজ্যের ক্লিভল্যান্ডের সোসাইটি ন্যাশনাল ব্যাংকে টেলার হিসেবে কাজ করতেন টেড কনরাড। ১৯৬৯ সালে তিনি ব্যাংকটিতে ডাকাতি করে ফেরারি হন। গত মে মাসে ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান কনরাড। খবর বিবিসি'র।
ডাকাতির সময় তার বয়স ছিল মাত্র ২০ বছর। ব্যাংকের ঢিলেঢালা নিরাপত্তার সুযোগ কাজে লাগিয়েছিলেন তিনি। ১৯৬৯ সালে একদিন সন্ধ্যায় যখন ব্যাংক বন্ধ হয়ে যায়, তখন একটি ব্যাগে করে অর্থ নিয়ে বেরিয়ে যান। তিনি দুই লাখ ১৫ হাজার মার্কিন ডলার নিয়ে উধাও হয়ে যান। বর্তমানে তা ১৭ লাখ ডলারের সমমূল্যের। যুক্তরাষ্ট্রের মার্শালস সার্ভিসের তদন্তকারীরা বলছেন, ডাকাতির পরে তিনি শান্ত ও সাদাসিধে জীবনযাপন করেছেন।
কনরাড অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার দুদিন পর ব্যাংকের অন্যান্য কর্মীরা জানতে পারেন যে ব্যাংকের অর্থ লুট হয়েছে। এরপর গত অর্ধশত বছর ধরে তাকে তন্নতন্ন করে খোঁজা হয়েছে।
মার্শাল সার্ভিস বলছে, ডাকাতির আগে বন্ধুদের তিনি ব্যাংক ডাকাতির ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন। এরপর তিনি এতটাই আত্মমগ্ন ছিলেন যে, ১৯৬৮ সালে ম্যাককুইনের ডাকাতি নিয়ে বানানো থমাস ক্রাউন অ্যাফেয়ার চলচ্চিত্রটি এক ডজনেরও বেশি বার দেখেছেন। এ সিনেমা দেখেই তিনি ডাকাতির প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। অর্থ নিয়ে উধাও হওয়ার পর কনরাড তার নাম পরিবর্তন করে রাখেন থমাস র্যানডেলে। ওয়াশিংটন ডিসি ও লস অ্যাঞ্জেলেসে পালিয়ে যান বেড়ান তিনি। এরপর ঘটনাস্থল থেকে ৬২১ মাইল দূরে বোস্টনের উপকণ্ঠে থিতু হন।
আরর পড়ুন : শতাব্দীর দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বিশ্ববাসী
পরে শান্ত ও নিরীহ জীবন যাপনের পথ বেছে নেন টেলার। চল্লিশ বছর ধরে ব্যবহৃত গাড়ির ডিলার হিসেবে কাজ করেন। যুক্ত ছিলেন গলফ ক্লাবেও। গত কয়েক দশক ধরে তার ডাকাতির মামলাটি নিরুত্তাপ ছিল। কিন্তু কনরাডের মৃত্যুর পর তার শোকসংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত হলে তদন্তকারীরা সচেতন হয়ে ওঠেন। ১৯৬০ সালে পত্রিকায় প্রকাশিত তার ছবির সঙ্গে মিলিয়ে তাকে শনাক্ত করা হয়।
ওডি/জেআই
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড