ভিন্ন খবর ডেস্ক
বলা হয়, জন্ম, মৃত্যু আর বিয়ে তিনটি বিষয়ই সৃষ্টিকর্তার হাতে থাকে। আবার কেউ কেউ বলেন, বিয়ে হলো সাত জন্মের বাঁধন। এই কথাটিরই যেন প্রমাণ দিলেন ভারতের এক দম্পতি। তামিলনাড়ুর এই দম্পতির সংসার জীবনের দৈর্ঘ্য সুদীর্ঘ ৮০ বছর। হঠাৎ করেই মারা যান বৃদ্ধ স্বামী।
স্বামীর চলে যাওয়া মানতে পারেননি স্ত্রী। প্রিয় মানুষটির বুকে মাথা রেখে কাঁদতে কাঁদতেই জ্ঞান হারান। এরপর আর জেগে ওঠেননি। স্বামীর মৃত্যুর ১ ঘণ্টার মধ্যেই পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে যান শতবর্ষ ছোঁয়া স্ত্রীও।
জানা যায়, ওই দম্পতির নাম ভেট্রিভেল ও পিচাই। তামিলনাড়ুর পুডোকোট্টাইয়ের বাসিন্দা ছিলেন তারা। পেশায় কৃষক ভেট্রিভেলের বয়স ১০৪ বছর। আর স্ত্রী পিচাই তার চেয়ে বছর চারেকের ছোট। প্রায় ৮০ বছর আগে দুজন সংসার পাতেন। এরপর কেউ কখনো আলাদা থাকেননি।
বর্তমানে বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছিলেন দুজনেই, শরীরও তেমন একটা ভালো যাচ্ছিল না। একটার পর একটা রোগ লেগেই ছিল। ১১ নভেম্বর (সোমবার) রাতে হঠাৎ করেই ভেট্রিভেলের বুকের যন্ত্রণা শুরু হয়। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। কিন্তু চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন ভেট্রিভেলকে।
বৃদ্ধের নিথর দেহ নিয়ে ফিরে আসা হয় বাড়ি। প্রিয় স্বামীর মরদেহ দেখে ডুকরে কেঁদে ওঠেন পিচাই। তাকে সামলাতে পারছিল না কেউই। কাঁদতে কাঁদতেই স্বামীর বুকে মাথা রাখেন তিনি। আচমকা ভেট্রিভেলের মৃত্যুতে চোখের পানি বাঁধ মানছিল না সন্তান, নাতি-নাতনিদেরও।
আবেগঘন এই মুহূর্তের মাঝেই আচমকাই জ্ঞান হারান পিচাই। স্বজনরা তার জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করেন। ব্যর্থ হয়ে চিকিৎসককে খবর দেওয়া হয়। চিকিৎসক পিচাইকে মৃত ঘোষণা করেন।
একসঙ্গে পরিবারের দুই জ্যেষ্ঠ সদস্যকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ তাদের ছেলে-মেয়ে, তেইশজন নাতি-নাতনিসহ আত্মীয়-স্বজনরা।
ওডি/এনএম
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড