• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

রাঙ্গামাটিতে ফলাফল প্রত্যাখ্যানের দাবি ঊষাতন তালুকদারের

  রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি

০১ জানুয়ারি ২০১৯, ১৮:২৯
নির্বাচন
স্বতন্ত্র প্রার্থী ঊষাতন তালুকদার

৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ২৯৯-পার্বত্য রাঙ্গামাটি আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী দীপংকর তালুকদারের বিরুদ্ধে অস্ত্রের মুখে ভোটকেন্দ্র দখল করে অবাধ জালভোট প্রদান ও ভোট ডাকাতিসহ ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন, জনসংহতি সমিতির সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য ঊষাতন তালুকদার।

তিনি অবিলম্বে ফলাফল বাতিল দাবি করে বলেন, অন্যথায় পার্বত্য চট্টগ্রামে যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির দায় নিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। এ সময় নির্বাচন কালীন আটক করা তার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান তিনি।

মঙ্গলবার (১ জানুয়ারি) বিকাল ৪টায় শহরের রাজবাড়ির সাবারাং রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব দাবি জানান, আসনটির সিংহ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ঊষাতন তালুকদার। এ সময় জনসংহতি সমিতির উপদেষ্টা ধীর কুমার চাকমা, কেন্দ্রীয় নেতা চাইথোয়াই মারমা, সৌখিন চাকমা, উদয়ন ত্রিপুরা, জেলা কমিটির সহ-সভাপতি কিশোর কুমার চাকমা, সাধারণ সম্পাদক নীলোৎপল খীসা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতির সভানেত্রীয় জয়ীতা চাকমাসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ঊষাতন তালুকদার অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনে প্রশাসন এবং আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে ব্যাপক কারচুপি করা হয়েছে। বেশিরভাগ কেন্দ্র দখল করে জাল ভোটের ছড়াছড়ি ছিল নজিরবিহীন ও অস্বাভাবিক। প্রতিপক্ষের পোলিং এজেন্টদের ওপর হামলা করে তাদেরকে কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। যারা ঢুকেছিলেন তাদেরকে বের করে দেওয়া হয়েছে। ভোট দেওয়া হয়ে গেছে বলে ভোটারদের ভোটদানে বাধা দেওয়া হয়েছিল।

বিভিন্ন জায়গায় ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দিয়ে ফেরত পাঠায় আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বাহিনী। পরিচয়পত্র না থাকার অজুহাতে কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দিয়েছে। নজিরবিহীন এই ভোট ডাকাতির নির্বাচন কখনোই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এটা রাঙ্গামাটি জেলা বাসী কখনোই মেনে নেবেন না। তাই দেশের গণতান্ত্রিক শাসনের বৃহত্তর স্বার্থে এবং রাঙ্গামাটি জেলা বাসীর ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে অবিলম্বে ২৯৯-রাঙ্গামাটি আসনের ঘোষিত ফলাফল বাতিল করতে হবে। আমি ঘোষিত ফলাফল প্রত্যাখ্যান করছি।

ঊষাতন বলেন, আওয়ামী লীগ ও নিরাপত্তা বাহিনী অবৈধ অস্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেও আমার বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য তাতিন্দ্র ও সুদর্শন চাকমার নেতৃত্বাধীন সংস্কারপন্থী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের নানাভাবে মদদ দিয়ে থাকে। আওয়ামী লীগ ও নিরাপত্তা বাহিনীর ছত্রছায়ায় ২১ ডিসেম্বর ওইসব সশস্ত্র সন্ত্রাসীদেরকে জেলার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান তৈরি করে দেওয়া হয়। প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন, আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বাহিনী এবং তাতিন্দ্র ও সুদর্শন চাকমার নেতৃত্বাধীন সংস্কারপন্থীদের সহায়তায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ভোট ডাকাতির মাধ্যমে আমার নিশ্চিত বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে।

নির্বাচনের দিন সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরুর প্রাক্কালে আওয়ামী লীগের কর্মীরা প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সহায়তায় লংগদু উপজেলার ১৭টি, বাঘাইছড়ির ১৭টি, কাপ্তাইয়ে ৬টি, কাউখালীতে ১৩টি, নানিয়াচরে ২টি, বিলাইছড়িতে ২টি এবং রাজস্থলীতে ১টি ভোটকেন্দ্রে আমার পোলিং এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি। ওই সময় জেলা রিটার্নিং, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েও প্রশাসনের পক্ষে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড