• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

দৈনিক অধিকার ঈদ সংখ্যা-১৯

রংতুলি 

  অদ্বিতীয়া রায়হান

০৮ জুন ২০১৯, ১৬:০৫
গল্প
ছবি : প্রতীকী

আকাশ জুড়ে ভেসে বেড়াচ্ছে দলা দলা কালো ময়লা মেঘ। মনে হচ্ছে যেন কালি গুলো সাদা মেঘ টুকরোগুলোকে কালো বানানো হয়েছে।হালকা ঠাণ্ডা বাতাসে একটু আগের ভ্যাপসা গরমে ভেজা কাপড় একটু একটু করে শুকচ্ছে। কিছুটা দূরে বড় বড় নারকেল গাছের পাতাগুলো মৃদুমন্দ দুলছে। দুপুরের এ অলস সময়ে সহজেই একটা ভাতঘুম দেয়া যায় কিন্তু কাজলা এখনো জেগে আছে। বারান্দায় বিছানো পাটির ওপর হাত পা ছড়িয়ে ঠাণ্ডা বাতাস গায়ে লাগাচ্ছিলো হয়ত একটু ঝিমুনি ভাব চলেও এসেছিল কিন্তু কলিং বেলের তীক্ষ্ণতা অলস দুপুরের নিস্তব্ধতাকে ফালা ফালা করে কোথায় যেন পালিয়ে গেল।কাজলা দরজার কাছে জোরে জোরে হাঁক দিলো, - কে? - আমি তোর বড়াপু, কাজলা। দরজাটা খোল আপু।

কণ্ঠস্বরটা শোনার পরেই মুখে হাসি ফুটে উঠল কাজলার।দরজা খুলতেই এক তরুণী মেয়ে ভেতরে ঢুকলো। কাজলার মাথায় এক হাত রেখে জিজ্ঞেস করল, - ঘুম এসেছিলো না রে? বড্ড কষ্ট দিচ্ছি তোকে। সরি রে ছোট আপুটা আমার। - ধুর, বড়াপু, কিসব বল তুমি! মোটা মোটা বই পড়তে পড়তে মাথা খারাপ হইছে তোমার। হাত মুখ ধুয়ে আসো তো, আমি ভাত দিচ্ছি।

মোটা কাঠের বড় একটা টেবিলের উপরে কালো গজ কাপড় মাপমতো কেটে ঢেকে দেয়া হয়েছে।খাবার টেবিল হিসেবে এটা কাজে লাগে কিন্তু মাঝে মাঝে এটাকে সমাপ্তি পড়ার টেবিল বানিয়ে ফেলে।

সমাপ্তি সরকার, এই নামটা কাজলার জীবনে যেন একটা খুব সুন্দর আর কখনো না শেষ হওয়া মিষ্টি স্বপ্ন হয়ে এসেছিল বছর তিনেক আগে। কাজলা তখন খুব খারাপ সময় পার করছিল সৎ মায়ের সংসারে। ছোট ছোট ভুলের জন্য বেদম মারধোর,সারাদিনে একবেলা খেতে পেয়ে কাজলা তখন হাড্ডিসার, রঙজ্বলা একটা চেহারা মাত্র। একদিন সৎ মায়ের ব্যাগ থেকে দু'হাজার টাকা হারিয়ে গেল আর তার দায় পড়ল কাজলার ঘাড়ে। মার খেয়ে যখন রক্তাক্ত হয়ে মেঝেতে মরার মতো পড়ে থাকল কাজলা তখন দয়া দেখিয়ে রহিমা কাকি সদর হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল কাজলাকে। বাকিটা ও আর কিছু জানে না। শুধু মনে আছে যখন চোখ মেলে এদিক ওদিক দেখছিল ও তখন চশমা চোখে একজন কমবয়সী আপু ওকে বুকে টেনে নিয়ে বলেছিল, ‘আজ থেকে আমি তোর বড়াপু। আর কাউকে লাগে না তোর।থাকবি আমার সাথে?’ এতগুলো বছরে কাজলার কখনো মনে হয়নি সে সমাপ্তির আশ্রিতা বরং উল্টো মনে হয়েছে সমাপ্তি একটা মায়াজাল যে জালে একবার জড়িয়ে পড়লে আর নিজেকে ছাড়ানো যায় না।

মেলামাইনের একটা ছোট প্লেটে ভাত নিয়ে তাতে মুরগির ঝোল দিয়ে ভালো করে মেখে নীল সমাপ্তি। ঝোলমাখা ভাতে আলুভর্তা দিয়ে পরম তৃপ্তিতে ভাত খেতে শুরু করলো। কাজলার মুখে হাসি দেখে ভাতের প্লেট থেকে মুখ তুলে ইশারায় কি হয়েছে জানতে চাইল। - এভাবে কেউ ঝোলভাত আর ভর্তা খায়?এক টুকরা মাংস দেই? - আরে না, রাখ তো। এভাবেই খেতে মজা। আমার ভালোলাগে। - তোমার সব পছন্দই উল্টাপাল্টা বড়াপু।ভালো ভালো খাবার সব বাদ দিয়ে তোমার পছন্দ হয় পটলের খোসার ভর্তা,মিষ্টি কুমড়োর বিচি ভাজা,পানি লাউয়ের সবুজ খোসা দিয়ে ছোট চিংড়ি ভাজি, আলু আর পটলের মিক্সড ভর্তা,কাঁচা কলা ভর্তা,ঢেঁড়সের ভর্তা,মাছ আর শাক দিয়ে একসাথে বানানো শাঁকালু আরো কত কি! উফফ এসব যে কই থেকে শিখছো তুমি বড়াপু - এসব আমার সুখস্মৃতি রে পাগলি। এসব আমার বড় আবদারের রান্না। যখন মা কাছে ছিলো তখন এসব উল্টোপাল্টা রেসিপি ট্রাই করতাম আমি আর মা। - সরি, বড়াপু। তোমার মন খারাপ করে দিলাম। - ধুর বাদ দে। শোন কাল আমার একটা জরুরী কাজ আছে ফিরতে একটু দেরী হবে। তুই দরজা খুলবি না সন্ধ্যার পর কেমন? আমি দরজায় এসে তোকে ফোনে কল দিয়ে খুলতে বললে তবেই খুলবি। ওকে? - ঠিক আছে।

দুপুর গড়িয়ে বিকেল,বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে অবশেষে রাতের চাদরে প্রকৃতিকে মুড়ে দিন রাতের ক্রম ঠিকঠাক চলতে থাকে।কত শত ব্যস্ততা,মিথ্যে হাসি আর নিখুঁত অভিনয়ের আড়ালে কিছু মানুষ নিজেদের সুখী প্রমাণ করার ব্যর্থ প্রচেষ্টায় দিন পার করে। বিকেলের নরম রোদ সমাপ্তিকে মনে করিয়ে দেয় ধোঁয়া ওঠা গরম চা, ডিমের চপ, পিঁয়াজি আর ফুলে ওঠা ডালপুরির কথা। মায়ের এসব ভাজাভুজির কথা মনে হতেই চোখটা আনমনে ভিজে ওঠে ওর।বুকের ভেতরটা মোচড় দেয়। একটা অদৃশ্য ব্যথা সমস্ত শরীরজুড়ে মুহূর্তেই ছড়িয়ে যায়। কিছু আদুরে স্মৃতি কড়া নাড়ে মনের দরজায়।এক পুরনো অস্থিরতায় এদিক ওদিক চায় সমাপ্তি। এক সেগুন কাঠের কারুকার্যময় দরজায় নিজের বাম হাত দিয়ে বারকয়েক আঘাত করে। - কে আপনি? কার কাছে এসেছেন? - আপু একটু পানি খাওয়াবেন প্লিজ? আসলে আপনাদের লিফটটা আজ কেন যেন কাজ করছে না। আমার শরীরটা বেশি ভালো নেই তাই নয় তলায় উঠতে উঠতে একটু...

বাকি কথা শেষ করতে পারে না সমাপ্তি তার আগেই ঢলে পড়ছিল সে।দরজায় দাঁড়ানো মধ্যবয়সী মহিলাটি দু'হাতে জাপটে ধরে সমাপ্তিকে। কোনোমতে ওকে চেয়ারে বসিয়ে চোখে মুখে পানি দেয়। সমাপ্তি একটু সময় নেয় স্বাভাবিক হতে। সামনে বসা মানুষটির দিক থেকে প্রশ্ন আসে, - তুমি কে মেয়ে? এখানে কার কাছে এসেছ? - আপনার কাছে - আমি! আমার কাছে কেন এসেছ?তোমাকে ঠিক চিনতে পারছি না তো আমি। - আমি আপনাকে চিনি আপু। আপনি আগে গার্লস স্কুলে পড়াতেন। - হ্যাঁ, সে তো ঠিক আছে। কিন্তু আমি পড়ানো ছেড়ে দিয়েছি এখন। - আমি আপনার বিল্ডিং এর অ্যালোটিদের সবার সাথে কথা বলতে চাই একটু। খুব দরকারি কাজে এসেছি আপু। প্লিজ আমায় ফেরাবেন না। - তুমি কে বলোতো? - আমি সমাপ্তি সরকার।মেয়েদের নানা সমস্যা নিয়ে কাজ করি। - ওহহ আচ্ছা, বুঝেছি। ক’দিন আগে শ্রিপা নামের যে মেয়েটি এসেছিল অ্যাওয়ারনেস নামের যে প্রোগ্রামটা নিয়ে কথা বলতে তুমি ওদেরই লোক, না? - জ্বি, আপু। - ঠিক আছে। আমি আমার অ্যালোটি ফিমেলদের ডেকে দিচ্ছি। কিন্তু সময় বেশি নেবে না কেমন? আর তুমি তো অসুস্থ মনে হচ্ছে। কথা বলতে পারবে সবার সাথে? - জ্বি আপু পারবো। আমার মাঝে মাঝে এমন হয়।এটা কোনো ব্যাপার না। আপনি কষ্ট করে উনাদের সবাইকে ডাকুন একটু তাহলেই হবে। - আচ্ছা বোসো তবে একটু। প্রাক্তন স্কুল টিচার সারথির বড় ড্রয়িংস্পেস প্রায় ভরে গেল আধ ঘণ্টার মাঝে। মোট তের জন অ্যালোটি মহিলা এসেছেন। বাকি দু'জন শহরের বাইরে গিয়েছেন দিন তিনেক হলো। সমাপ্তি সবার উপরে একবার চোখ বুলিয়ে নিচ্ছে। আধঘণ্টা আগের অসুস্থ ভাবটা একটু কমতে শুরু করেছে।সে যে কাজে এসেছে তা করতেই হবে তাকে। শ্রিপা জানিয়েছে তাকে এখানকার অ্যালোটিরা যথেষ্ট স্মার্ট ভাবে নিজেদের তাই অন্যদের কোনো কথা তারা শুনতে রাজি নয়।শরীরটা খুব খারাপ না থাকলে এ কাজটা করতে খুব একটা বেগ পেতে হতো না সমাপ্তিকে। তবুও পরিস্থিতি বুঝে কাজ করাটাই বুদ্ধিমানের লক্ষণ।সামনে বসা সবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য সমাপ্তি বলে উঠল, - দিপ্তী আপু, আপনার কামিজের ডিজাইনটা দারুণ। লেটেস্ট কালেকশান বুঝি? - জ্বি, তিনদিন হলো কিনেছি। বাই দ্যা ওয়ে আপনি আমার নাম জানলেন কিভাবে? - আমি জানি আপু। সীমা আপু আপনি এত অস্থির হবেন না প্লিজ। আজ আপনার প্রিয় সিরিয়াল টিভিতে সম্প্রচার হবে না। শো তে থাকা কে যেন মারা গিয়েছে তাই।এজন্য নিশ্চিন্ত মনে বসুন।

সমাপ্তি উপস্থিত আরো কয়েকজনের সম্পর্কে কিছু কথা বলে তাদের কিছুটা ভড়কে দিল প্রথমে।নিজের অ্যাসাইনমেন্ট বেশ ভালোভাবে করে এসেছে সে। শুধু মাথাটা হালকা ঘুরছে তার। কিন্তু সেটা পাত্তা দিলে চলবে না। সমাপ্তি বেশ আয়েশ করে একটা সিঙ্গেল চেয়ার ভালো করে দখল করে বসলো। সবার সাথে টুকটাক কথা বলতে বলতে মূল কথায় এসে পড়ল সে। - দীপা আপু আপনার মেয়েটা তো খুব চটপটে। নিজে নিজে প্রায় সবকিছু ম্যানেজ করে আপনি ব্যস্ত থাকলে। একটু পার্টি কমিয়ে ওর দিকে খেয়াল তো রাখতে পারেন, তাইনা? - আমার কি করতে হবে না হবে তা তুমি শেখাবে? - মাথা ঠাণ্ডা রাখুন আপু। আপনার ভালো ভেবেই কথাগুলো বলছি আমি।

দেখুন যেসব মায়েরা ওয়ার্কিং পার্সন তারা বাচ্চাদের তেমন সময় দিতে পারেন না।কিন্তু আপনারা যারা নন ওয়ার্কিং মাদার আছেন তারা যদি সিরিয়াল, শপিং, পার্লার, পার্টি, আড্ডা এসব নিয়েই ব্যস্ত থাকেন তবে নিজেদের অজান্তেই বাচ্চাদের কাছ থেকে দূরে সরে যাবেন আপনারা।

এখানে অনেকেই আছে যারা মোটা টাকা পকেটমানি দিয়ে আসছেন সন্তানদের কিন্তু একটু সময় যা টাকা দিয়ে কিনতে পাওয়া যায় না, সেই সময়টুকু নিজেদের সন্তানদের দিতে পারেন না আপনারা।

আপনাদের সন্তান কি নিয়ে হতাশায় ভোগে, তারা কোন সাবজেক্টে দুর্বল,তাদের প্রিয় লেখক কে,তাদের প্রিয় খেলা,হবি, প্রিয় রং,বেস্ট ফ্রেন্ড কে তা আপনারা অনেকেই জানেন না। আচ্ছা কখনো মনে প্রশ্ন আসে না আপনাদের যে নিজেদের সন্তানরা কেন আপনাদের সাথে আড্ডা দেয়না,কেন কোনো সমস্যা খোলাখুলি আলোচনা করে না। আপনাদের যদি সন্তানদের দেবার মতো সময় নাই থাকে হাতে তবে দুনিয়াতে কষ্ট করে এনেছিলেন কেন? কাজের খালাদের কাছে মানুষ করার জন্য?

পুরো রুমের এতক্ষণের নীরব পরিবেশটাকে গমগম শব্দে ভরিয়ে তুলে একজন অভিযোগ করলেন, - আচ্ছা মানলাম তোমার কথা কিন্তু যেসব মায়েরা ঘরোয়া তাদের কাছে কেন বাচ্চারা সহজ হয় না? আছে এ প্রশ্নের জবাব? এখনকার জেনারেশনই এমন উচ্ছন্নে যাবার প্রতিযোগিতা সবখানে। সমাপ্তি শান্ত কণ্ঠে জবাব দেয়, - আপনি তো ঘরোয়া মা তাইনা? রান্না,ঘর গোছানো,নামায রোজা এসব নিয়ে থাকেন তবুও আপনার সন্তান আপনার সাথে কিছু শেয়ার করে না তাইতো? তাহলে আপু আপনাকে একটা কথা বলি। আপনি ক’দিন মেয়েকে কাছে ডেকে বলেছেন যে আয় তোর চুলে তেল লাহিয়ে দেবো, আমার কাছে এসে বোস। আপনি কখনো মেয়েকে বলেছেন যে ওর পরীক্ষার রেজাল্ট যেমনই হোক না কেন আপনি ওর সাথে আছেন। ওর হোম ওয়ার্কের খাতায় করা ভুলগুলো দেখে বকাঝকা না করে নরম সুরে সেগুলো বারবার শুধরে দিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে সাহস যুগিয়েছেন? কত বার এমন করেছেন বলুন তো? ওর কাছে জানতে চেয়েছেন কেউ ওর সাথে খারাপ আচরণ করে কিনা? ওকে বিরক্ত করে কিনা? কেউ ওকে বিরক্ত করলে এর জন্য ওকে দায়ী না করে সাহস দিয়েছেন যে অন্যায়ের, খারাপ পরিস্থিতির কিভাবে মোকাবেলা করতে হবে? পুরো ঘরজুড়ে নীরবতার চাদর ছড়ানো। সমাপ্তি নিজে থেকেই সে চাদর সরায়, - মা এমন একজন মানুষ যে সব পারে আপু। সন্তানের জন্য মমতাময়ী, রণচণ্ডী, রক্ষক, শিক্ষক,পথ প্রদর্শক সে। কিন্তু মা অনেক সময় অতিরিক্ত শাসন, কিছু ভুল ধারণা পোষণ, কিছুটা নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ততা আর কখনো নিজেদের বিলাসিতায় হা ভাসিয়ে একথা ভুলতে বসেন যে তার সন্তানের তাকে কতটা দরকার। সন্তানের কাছে সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু হয়ে উঠতে হলে আপনাকে আগে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে, ওদের বিশ্বাস জিতে নিতে হবে।তাহলেই সন্তানের প্রিয় বন্ধুর নাম টিনা, মিনা, রিনা না হয়ে, হয়ে উঠবে মা। বন্ধুবান্ধবের ভিড়ে মা সবসময়ই হবে সবচেয়ে আস্থা ভাজন মানুষ। - সবই বুঝলাম।কিন্তু এ বিষয়ে যদি কখনো কোনো পরামর্শের দরকার হয় তখন কি করবো? - আমাদের " ব্লু স্কাই " এর মতো এমন অনেক সংস্থা আছে,কাউন্সিলর আছেন অনেক যারা এসব বিষয়ে সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করেন।আপনাদের নিজেদের চেষ্টায় কিন্তু সন্তান আর মা বাবার মাঝের কমিউনিকেশন গ্যাপটা ফিল আপ করা সম্ভব। - শুনেছি ‘ব্লু স্কাই’ তুমি প্রথম শুরু করেছিলে। এমন কাজ শুরু করলে কেন? - ডাতে আমার মতো কেউ নিজেদের মাঝে কমিউনিকেশন গ্যাপের কারণে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে না যায়। আপনাদের অনেক সময় নষ্ট করেছি সেজন্য আমি ক্ষমা প্রার্থী।কিন্তু আমার কথাগুলো ভেবে দেখবেন একবার সবাই।

সমাপ্তি বিল্ডিং থেকে বেরিয়ে এলো। পশ্চিম আকাশ লালচে আভায় ভরে উঠেছে। পাখিরা ফিরছে নীড়ে।মনে হচ্ছে যেন রংতুলিতে খুব যত্নে আঁকা একটা ছবি। সবার জীবনটা যেন এমনই রঙের স্পর্শে রঙিন হয়ে ওঠে, নিজেদের পরিবার, পরিবারের ভালোবাসা থাকতেও কোনো সন্তান যেন একাকীত্বে ভুগে ভুল সিদ্ধান্ত না নেয়। নিজেদের অসহায়, অযাচিত প্রাণী ভেবে কেউ যেন ধ্বংসের পথে পা না বাড়ায়। সবার সারাটা দিন, সমস্ত সময়টা যেন মমতাময়ী মা আর প্রিয় বাবার উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে এমনটাই সমাপ্তিদের প্রত্যাশা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড