শিক্ষা ডেস্ক
এমপিওভুক্তির দাবিতে আন্দোলনরত ননএমপিও শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ সময় আন্দোলন বিষয়ে যৌক্তিক জবাব দিতে পারেননি শিক্ষকরা।
রবিবার (২০ অক্টোবর) রাত আটটার পর রাজধানীর সেগুন বাগিচার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এ বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে আন্দোলন বিষয়ে দীপু মনির করা কিছু প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেনি শিক্ষক নেতারা। যুক্তি খণ্ডানোর বদলে শিক্ষক নেতারা কথা বলেছেন আবেগপ্রবণ হয়ে। তারা বলেন, এমপিও না দিলে না খেয়ে মারা যাবেন, স্ত্রী-সন্তানের কাছে মুখ দেখাতে পারেন না ইত্যাদি।
বৈঠকের শুরুতেই বক্তব্য রাখেন ননএমপিও শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ গোলাম মাহমুদুন্নবী ডলার। রাস্তা থেকে শিক্ষকদের আলোচনায় ডাকার জন্য মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
ডলার বলেন, ‘সরকার যেহেতু আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো স্বীকৃতি দিয়েছে তাই সবগুলো একযোগে এমপিওভুক্ত করতে হবে।’
শিক্ষামন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন, ‘স্বীকৃতি দেয়ার মানে এই নয় যে এমপিওভুক্ত করতে হবে। স্বীকৃতির সাথে এমপিওর কোনো সম্পর্ক নেই। স্বীকৃতি দেওয়ার মানে হলো, পাঠদান করার যোগ্যতা থাকার স্বীকৃতি, একাডেমিক স্বীকৃতি এক ধরনের ট্রেড লাইসেন্স, প্রতিষ্ঠান শুরু করার অনুমতি।’
শিক্ষকদের যোগ্যতা প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘পাঠদানের অনুমতি আর স্বীকৃতি দেওয়ার সময় মন্ত্রণালয় বলেনি যে এমপিও দেওয়া হবে। বরং এমপিও নেবেন না এই মর্মে লিখিতভাবে দিয়েছেন অনেক প্রতিষ্ঠান প্রধান।’
পড়ানো বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বছরের বেশিরভাগ সময় তো আপনারা আন্দোলনে ব্যস্ত থাকেন। তাহলে পড়ান কখন? আপনি ডক্টরেট ডিগ্রি নিয়ে শিক্ষকতা করেন নিজের সিদ্ধান্তে। আপনি ননএমপিও শিক্ষক এটা জেনেই আপনার স্ত্রী আপনাকে বিয়ে করেছেন।
নেতারা তাদের বক্তৃতায় যেসব প্রতিষ্ঠান যোগ্য হিসেবে দাবি করেছেন, পাসের হার অমুক তমুক বলেছেন, সেসব প্রতিষ্ঠান নিয়ে টু দি পয়েন্টে প্রশ্ন করেন মন্ত্রী।
একটি প্রতিষ্ঠানের উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এই প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষা দিয়েছে ১৭ জন পাস করেছে ১৪ জন। আপনারা দেখাচ্ছেন পাসের হার অনেক বেশি। কিন্তু বাস্তবে এমপিওর নীতিমালা অনুযায়ী কাম্যসংখ্যক পরীক্ষার্থী ও শিক্ষার্থী সংখ্যার ধারেকাছেও নেই আপনাদের পরীক্ষার্থী সংখ্যা। এখন আপনার যদি পাসের হার দেখিয়ে এমপিও পেতে চান তা তো বাস্তবসম্মত হবে না।’
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি শিক্ষক নেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘এখন থেকে প্রতিবছরই এমপিওভুক্ত করা হবে। এবার যে তালিকাটা করা হয়েছে। এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন করেছেন তা নীতিমালা অনুযায়ী করা হয়েছে।’
এর জবাবে নেতারা মন্ত্রীকে অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানগুলোর এখনই প্রজ্ঞাপন জারি না করতে। এর জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা অপেক্ষা করতে চাচ্ছেন না অথচ নীতিমালার আলোকে যারা যোগ্য বিবেচিত হয়েছে তাদের নীতিমালা সংশোধন করা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলছেন।’
কয়েকজন নেতা মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘আমরা ১৮/২০ বছর ধরে এমপিও পাই না।’ এর জবাবে মন্ত্রী বলেন, ২০০৪, ২০০৬ ও ২০১০ সময়ে এমপিও দেওয়া হয়েছে আপনারা কেন ওই সময়ে পাননি? কোনো জবাব দিতে পারেননি নেতারা।
ওডি/জেআই
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড