শিক্ষা ডেস্ক
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়েছে এমপিওভুক্তির আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষক-কর্মচারীরা।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) চতুর্থ দিনের মতো জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন দাবি আদায়ে অনড় থাকা শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষক নেতারা।
শিক্ষক নেতারা বলেন, ‘এমপিওভুক্তির (বেতনের সরকারি অংশ) নীতিমালা অনুসরণ করে এমপিও তালিকা প্রকাশ হলে দেশের বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সরকার ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়বে। আমরা সেটা চাই না। আমরা স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ এমপিওভুক্তির আওতায় আসতে চাই।’
ননএমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ড. বিনয় ভূষণ রায় বলেন, ‘এমপিওভুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত হলেও ভুলে ভরা নীতিমালা তৈরি করে নতুন সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে। ভুল ও অসঙ্গতিগুলো সংশোধন করার অনুরোধ করেছি। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা সংশোধন না করে এপিওভুক্তির নতুন তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এর আগেও আন্দোলন করেছি। দাবি আদায় হয়নি। গত মার্চেও আমরা আন্দোলন করেছি। আশ্বাসে ফিরেছি কর্মস্থলে। কিন্তু দাবি বাস্তবায়ন হয়নি।’
সূত্রে জানা যায়, এমপিও নীতিমালা-২০১৮ পরিশিষ্ট ‘খ’ এ নিম্ন-মাধ্যমিক (৬ষ্ঠ-৮ম) শ্রেণি পর্যন্ত ১৫০ জন শিক্ষার্থী চাওয়া হয়েছে। কিন্তু ‘খ’ তে নিম্ন-মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ও ফল চাওয়া হয়নি। এ স্তরে কোন মানদণ্ডে এমপিও করা হবে সে বিষয়টি আমদের কাছে স্পষ্ট নয়। পরিশিষ্ট ‘ক’ তে মাধ্যমিক পর্যায়সহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩০০ জন এবং মফস্বলে ২০০ জন আবার বালিকা বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে শহরে ২০০ জন, সফস্বলে ১০০ জন চাওয়া হয়েছে। উভয় প্রতিষ্ঠানের জন্য পরীক্ষার্থী চাওয়া হয়েছে ৪০ জন, ২০০ জনে ৪০ জন পরীক্ষার্থী হলে ১৫০ জনে ২৬ জন হওয়ার কথা থাকলেও উভয়ক্ষেত্রে ৪০ জন চাওয়া হয়েছে।
নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ১২০ জনের মধ্যে চাওয়া হয়েছে ৪০ জন, আবার ১৫০ জনের মধ্যেও ৪০ জন চাওয়া হয়েছে। স্নাতক পর্যায়েও এমন জটিলতার তথ্য রয়েছে।
ওডি/জেআই
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড