শিক্ষা ডেস্ক
আগামী ১৭ নভেম্বর (রবিবার) থেকে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা শুরু হতে যাচ্ছে। আর এই পরীক্ষা গ্রহণে প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। এ প্রস্তাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে বলে জানা গেছে।
বিগত সময় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। বোর্ড গঠিত হলে তার অধীনেই পরীক্ষা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এফ এম মনজুর কাদির বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা চলবে। যেহেতু প্রতি বছর বিপুল শিক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে, তাই শুধুমাত্র অধিদপ্তরের পক্ষে এই পরীক্ষা নেয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। এতে অধিদপ্তরের অন্যান্য কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রাথমিকের চেয়ে অনেক কম সংখ্যক পরীক্ষার্থী নিয়েও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে বেশ কয়েকটি (১১টি) শিক্ষা বোর্ড রয়েছে। বিশাল কর্মযজ্ঞের কথা বিবেচনা করেই ‘প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড’ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।’
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সরকারের ‘বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ইউনিটকে’ বিলুপ্ত করে এর জনবল ‘প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডে’ একীভূত করা হবে। কারণ, দেশের ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি করা হয়েছে।’
বর্তমানে সারা দেশে প্রায় ৬৬ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। প্রতিবছর প্রায় ৩০ লাখের মতো শিক্ষার্থী প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেয়। ২০০৯ সালে অনেকটা আকস্মিকভাবেই সারা দেশে পঞ্চম শ্রেণি শেষে কেন্দ্রীয় ভাবেই সমাপনী পরীক্ষা চালু হয়। কিন্তু শুরু থেকেই এই পরীক্ষা নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। এমনকি ২০১০ সালে করা জাতীয় শিক্ষানীতিতেও কেন্দ্রীয় ভাবে এই পরীক্ষা নেয়ার সমর্থন করেনি।
শিক্ষক ও অভিভাবকেরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার নামে শিশুদের ওপর ‘বোঝা চাপিয়ে’ দেয়া হয়েছে। কোচিং-প্রাইভেট টিউশন ও সহায়ক বইয়ের ওপর নির্ভরশীলতা বেড়েছে।
ওডি/এমএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড