প্রশ্নপত্রে সেফুদার নাম দেওয়ায় বরখাস্ত শিক্ষক

রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের (স্কুল শাখা) প্রশ্নপত্রের উদ্দীপকে সেফাত উল্লাহ মজুমদারের (সেফুদা) চরিত্র অন্তর্ভুক্ত করে প্রশ্ন তৈরি করায় প্রতিষ্ঠানটির ধর্ম শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) কলেজের উপাধ্যক্ষকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটির তদন্তের ভিত্তিতে বুধবার (১০ জুলাই) আলোচিত ওই শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে।

রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আলোচিত বিষয়টি নিয়ে ধর্ম শিক্ষক জাহিনুল হাসানের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। তিনি দায়সারা জবাব দিয়েছেন। এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা। তার আচরণ শিক্ষকসুলভ না হওয়ায় তাকে আজ সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত সোমবার (৮ জুলাই) প্রতিষ্ঠানটির দশম শ্রেণির প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় ইসলাম শিক্ষা প্রশ্নপত্রে সেফাত উল্লাহ মজুমদারকে (সেফুদা) নিয়ে করে একটি সৃজনশীল প্রশ্ন তৈরি করা হয়।

প্রশ্নপত্রের উদ্দীপকটি হলো, ‘অদ্ভুত এক ধরনের মানুষ সেফাতুল্লাহ সেফুদা। সোশ্যাল মিডিয়ায় সে বিভিন্ন ধরনের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে। তরুণদের উদ্দেশে সে বলে, ‘মদ খাবি মানুষ হবি, দেখ আমি আরও এক গ্লাস খাইলাম‘ তার কথার প্রতিবাদ করে একজন বিজ্ঞ আলেম বলেন, ‘তার মধ্যে যদি ইমানের সর্বপ্রথম ও সর্বপ্রধান প্রভাব পরিলক্ষিত হতো, তাহলে সে হয়ে উঠত একজন আত্মসচেতন ও আত্মমর্যাদা এক ব্যক্তি।’

এবং এই উদ্দীপকটির আলোকে করা প্রশ্ন গুলো হচ্ছে,‘আকাইদ কী?, ‘ইসলামের নাম ইসলাম রাখা হয়েছে কেন?’, ‘বিজ্ঞ আলেমের বক্তব্যে যে বিষয়টি ফুটে উঠেছে, তা আমাদের জীবনে কী প্রভাব ফেলতে পারে তা ব্যাখ্যা করো’। ‘ঘ’ নম্বর প্রশ্নে বলা হয়েছে, তরুণদের উদ্দেশে দেওয়া সেফুদার বক্তব্য কিসের শামিল? এর ফল বিশ্লেষণ কর।

ওডি/এসএসকে