শিক্ষা ডেস্ক
রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগে অর্থ আদান প্রদানের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকেরা। বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার (১৩ জন) শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে চিঠিও দিয়েছেন তারা।
চিঠিতে বলা হয়, ‘দীর্ঘ সময়ের পর স্বনামধন্য এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী অধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য গত ২৬ এপ্রিল একটি প্রহসনমূলক নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়। নিয়োগ কমিটির সঙ্গে একজন অধ্যক্ষ প্রার্থীর বিভিন্ন স্থানে গোপন বৈঠক এবং নগদ লেনদেনের বিনিময়ে অযোগ্য, অসৎ ও দুর্নীতিবাজ প্রার্থীকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। পরে অভিভাবকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সেই নিয়োগ কার্যক্রম ও প্রক্রিয়া স্থগিত ও বাতিলের সুপারিশ করা হয়। সেই সঙ্গে এ অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জড়িত সব দুর্নীতিবাজকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।’
এ ব্যাপারে অভিভাবক নেতা আবদুল মাজিদ বলেন, ‘যোগ্য ব্যক্তিকে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হোক সেটাই আমরা চাই। কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি অধ্যক্ষ নিয়োগের নামে বাণিজ্য করছে। বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় তা বাতিল করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিয়োগের নামে যারা বাণিজ্য করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আর এই দাবিতে আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানে লিখিতভাবে আমাদের অভিযোগ ও দাবি জানিয়েছি।’ এ সময় তিনি অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত শাক্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।
এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্কুল সংশ্লিষ্টরা জানান, ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ নিয়োগ কমিটিতে স্কুল গভর্নিং বডির সভাপতি গোলাম আশরাফ তালুকদার, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ফেরদৌসী বেগম, গভর্নিং বডির অভিভাবক প্রতিনিধি আতাউর রহমান ও ডা. মজিবুর রহমান হাওলাদার এবং সরকারি প্রতিনিধি হিসেবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) প্রশাসন শাখার পরিচালক শায়েদুল খবির চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগ ওঠে যে, নিয়োগ কমিটিতে থাকা সব সদস্য মতিঝিল আইডিয়াল কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুমানা শাহীন শেফাকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষের মাধ্যমে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দিতে সব ধরনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করে ফেলেছিলেন। শেফার স্বামীই তার স্ত্রীকে ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ বানাতে চেয়েছিলেন। তিনি দুদকের উপ-পরিচালক পদে কর্মরত। এজন্য মোট চারজনকে ৩০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছিলেন।
৩০ নম্বরের নিয়োগ পরীক্ষায় সাড়ে তিন পেলেও ভিকারুননিসার পরিচালনা কমিটির কতিপয় সদস্য ও সরকারি প্রতিনিধি অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবিরের যোগসাজশে শেফাকেই অধ্যক্ষ হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়। পরে অভিভাবকদের চাপের মুখে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিষয়টি তদন্ত করে বাতিল করা হয়।
ওডি/এমএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড