• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

শিক্ষার্থীদের চীনা ভাষা শিক্ষা বাধ্যতামূলক!

  শিক্ষা ডেস্ক

১৫ জুন ২০১৯, ১৯:০২
নেপালী শিক্ষার্থী
ছবি : সংগৃহীত

নেপালের অধিকাংশ স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য চীনা ভাষা (ম্যান্ডারিন) শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যে সকল শিক্ষকরা চীন ভাষা শিক্ষা দেবেন চীন সরকার তাদের বেতন দেবে এমন অফারের লোভে নেপালের স্কুল কর্তৃপক্ষ এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

নিজেদের স্কুলে ম্যান্ডারিন শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এমন অন্তত দশটি প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকরা এমনটাই জানিয়েছেন।

ম্যান্ডারিন ভাষা শিক্ষা চালু করা স্কুলগুলো হলো- অ্যাপেক্স লাইফ, মাতৃভূমি, রাজশ্রী গুরুকুল, শূভতারা, রাতো বাঙালা, লার্নিং রিল্ম ইন্টারন্যাশনাল (এলআরআই), মালপি সিটি, পাঠশালা নেপাল-এর বাগডল ও বানেশ্বরের দুই শাখা এবং ইউনাইটেড স্কুল।

এছাড়াও পোখারা, ঢুলিখেলসহ দেশটির বিভিন্ন অংশের আরও অনেক স্কুলে ম্যান্ডারিন শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এলআরআই স্কুলের বোর্ড অব ট্রাস্টি, প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান শিব রাজ পান্ট।

দেশটির স্কুল পর্যায়ে অ্যাকাডেমিক কারিকুলাম নির্ধারণকারী সরকারি সংস্থা, কারিকুলাম উন্নয়ন সেন্টার-এর তথ্য কর্মকর্তা গনেশ প্রসাদ ভট্টরায় বলেন, ‘স্কুলগুলো বিদেশি ভাষা শিক্ষা দিতে পারে, কিন্তু তারা শিক্ষার্থীদের জন্য ওই সব ভাষা শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে পারে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘কেবল সরকারই কোনো বিষয়কে বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নিতে পারে, কোনো স্কুলের সেই অধিকার নেই।’

যেসব স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে, তারাও সরকারি এই বিধি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল; তারপরও তারা বিধিটি এড়িয়ে গেছে। কারণ তাদেরকে ম্যান্ডারিন শিক্ষাদানকারী শিক্ষকদের বেতন দিতে হচ্ছে না।

ইউনাইটেড স্কুলের অধ্যক্ষ কুলদিপ নিউপেন বলেন, ‘দুই বছর আগে যখন চীনা দূতাবাস শিক্ষকদের বেতন বহনের ব্যাপারে রাজি হয়, তখন থেকেই আমরা ম্যান্ডারিন শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেছি।’

ম্যান্ডারিন শিক্ষাদানকারী শিক্ষকদের বেতন কাঠমান্ডুর চীন দূতাবাস থেকে দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে অন্যান্য স্কুলও।

অ্যাপেক্স লাইফ স্কুলের অধ্যক্ষ, হরি দহল বলেন, ‘ম্যান্ডারিন শিক্ষকদেরকে আমরা শুধু আবাসন ও খাবার খরচের জন্য অর্থ দিয়ে থাকি।’

এ ব্যাপারে চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র জি গুয়াংজি কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং দূতাবাসের শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। তবে শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারাও এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হন নি।

ওডি/এমএ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড