• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

অভিযুক্ত শিক্ষকের নির্ভার সাফাই

প্রশাসন ডিঙিয়েই চলছে কোচিং বাণিজ্য!

  এসপিআই প্রতিনিধি

২৫ মার্চ ২০১৯, ২১:৫৩
কোচিং
কোচিং সেন্টারে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা, ইনসেটে শিক্ষক মো. খায়রুল (ছবি : সংগৃহীত)

প্রশ্ন ফাঁস সহ শিক্ষা খাতে চলমান দুর্নীতি বন্ধে যেখানে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর সেখানে সিরাজগঞ্জে প্রশাসনের নাকের ডগায় বসে কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন এক শিক্ষক। কোচিং বাণিজ্য বন্ধে সিরাজগঞ্জে কমিটি গঠন করা হলেও সরকারি প্রচারণা ছাড়া তেমন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি প্রশাসন।

সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে দাম্ভিকতার সাথে শহরের শহীদ এম মুনসুর আলী অডিটোরিয়ামের পিছনে পদ্ম পুকুরের সামনে বাসা ভাড়া নিয়ে ম্যাক্স ওয়েল কোচিং সেন্টার পরিচালনা করছেন রায়গঞ্জ উপজেলার মথুরাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. খায়রুল আলম।

রবিবার (২৪ মার্চ) সকালে সরেজমিনে ম্যাক্স ওয়েল কোচিং সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, একটি কক্ষে স্কুলের ন্যায় ১২টি বেঞ্চ নিয়ে প্রতি বেঞ্চে ৩/৪ জন করে শিক্ষার্থী বসিয়ে ৪টি ব্যাচ করে সকাল ও বিকাল প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীকে কোচিং করাচ্ছেন এই শিক্ষক।

এ বিষয়ে শিক্ষক খায়রুল আলম বলেন, আমি শুধু মাত্র ইংরেজি প্রাইভেট পড়াই, লেখালেখি করে লাভ নেই, কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে নিয়মনীতি মেনেই আমি প্রাইভেট পড়াচ্ছি।' প্রতিজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে মাসিক ৬০০ টাকা করে আদায় করেন বলে তিনি স্বীকারও করেন।

ঐ কোচিং সেন্টারের এক অভিভাবক বলেন, 'শিক্ষক খায়রুল আলম প্রতিদিন সকালে ৫০জন শিক্ষার্থী নিয়ে ২টি ব্যাচ ও বিকালে একই কায়দায় আরও ২টি ব্যাচ করে মোট চারটি ব্যাচে ২শজন শিক্ষার্থীকে কোচিং করিয়ে থাকেন এবং শিক্ষার্থী প্রতি তিনি ৮শ টাকা মাসিক বেতন হিসেবে আদায় করেন। আমার সন্তান ৪র্থ শ্রেণীতে পড়ে, আমিও ৮০০ টাকা মাসিক বেতন দিয়ে থাকি।'

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা কোচিং বাণিজ্য বন্ধ কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা শিক্ষা অফিসার মো. শফী উল্লাহ বলেন, 'কোন শিক্ষক বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গড়ে ওঠা কোচিং সেন্টারে নিজে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত হতে পারবেন না বা নিজে কোনো কোচিং সেন্টারের মালিক হতে পারবেন না অথবা কোচিং সেন্টার গড়ে তুলতে পারবেন না। কোন শিক্ষক কোচিং সেন্টারের নামে বাসা বাড়ি ভাড়া নিয়ে কোচিং করাতে পারবেন না।

তিনি আরও বলেন, 'তবে একজন শিক্ষক অভিভাবকের চাহিদানুসারে প্রধান শিক্ষকের পূর্বানুমতিক্রমে নিজ প্রতিষ্ঠানের বাইরের সর্বোচ্চ ১০ জন শিক্ষার্থীকে একটি বিষয়ের উপর মাসিক ২০০ টাকা হারে (জেলা শহরের মধ্যে) বেতন হিসেবে আদায় করতে পারবেন। তবে শিক্ষক খায়রুল আলম যদি এমনটি করে থাকেন তাহলে শীঘ্রই তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'

ওডি/এমএ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড