• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

নিশ্চিত ক্যারিয়ার গড়তে পড়ুন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং

  শিক্ষা ডেস্ক

২৮ অক্টোবর ২০২০, ১২:০৭
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং
সিভিল ইঞ্জিনিয়ার (ছবি : সংগৃহীত)

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং হল ইঞ্জিনিয়ারিং পেশার প্রাচীনতম ও অন্যতম শাখা যার বাংলা পুরকৌশল বিদ্যা। সঙ্গত কারণেই সারা পৃথিবীর প্রকৌশল বিদ্যায় আগ্রহী শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় থাকে এ শাখাটি। স্বপ্ন যাদের দেশ গড়ার তাদের জন্যই পুরকৌশল।

বিষয়টির চাহিদার কথা বলতে গেলে এটা বলতেই হয় যে, এর চাহিদা সেই প্রাচীন কালেও ছিল, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। আসলে পুরকৌশল এমনি একটি বিষয়। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ হলো নকশা এবং নির্মাণ করা আর সেই কাজ এর ক্ষেত্রগুলো হল রাস্তাঘাট, বিমানবন্দর, সেতু, সুড়ঙ্গ, পানি সরবরাহ এবং নিষ্কাশন ব্যবস্থা, বাধ, পোতাশ্রয়, রেলপথ, ফেরিঘাট, বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা, ভবন এমনকি নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্টও এই শাখার বাইরে নয়।

কী পড়ানো হয়

আমরা যা কিছু দেখছি—সবই আসলে পুরকৌশলের অংশ। পুরকৌশলীরাই আমাদের সভ্যতার কারিগর। মানুষের বসবাসের অনুপযোগী একটি জায়গাকে বাসোপযোগী করে তোলার মূল কাজ পুরকৌশলীদের। মূলত চারটি ভাগে পড়ানো হয় এই বিষয়—স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং, জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ট্রান্সপোর্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং এবং এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং।

একটি ভবনের নকশা করা থেকে শুরু করে নকশা বাস্তবায়ন—সবকিছু শেখানো হয় স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। এই নকশা করার ক্ষেত্রে নানা বিষয় মাথায় রাখতে হয়। এ বিষয়গুলো সব হাতে-কলমে শেখানোও সম্ভব হয় না। সে জন্য একজন স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থীকে সফটওয়্যার সম্পর্কেও জানতে হয়। এরপর জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংও বড় জায়গা। একটা স্থাপনার ভিত্তি কীভাবে করতে হয়, ভবনের স্থায়িত্ব থাকবে কি না, এসব বিবেচনায় নিয়ে জায়গার উন্নয়ন করার বিদ্যা শেখানো হয় এই কোর্সে।

সহজ ভাষায় বললে এই চারটিই হলো পুরকৌশলের মূল বিষয়। চতুর্থ বর্ষে গিয়ে একজন শিক্ষার্থী যেকোনো একটি বিষয় মূল বা মেজর হিসেবে বেছে নেন। তারা সেই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হয়ে ওঠেন। এ ছাড়া প্রথম দুই বছরে সরকার ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সমাজবিজ্ঞান, অর্থনীতি, হিসাববিজ্ঞানও পড়ানো হয়। এ ছাড়া থাকে যোগাযোগ উন্নয়নের মতো বিষয়।

ভবিষ্যৎ কোথায়

উন্নয়নশীল দেশ হওয়ায় সিভিলের চাহিদা ভবিষ্যতে বাড়বেই। জলবায়ু পরিবর্তন সংশ্লিষ্ট সমস্যার কারণে পরিবেশ প্রকৌশলের প্রয়োজন বাড়ছে। পৃথিবী ধ্বংসের আগ পর্যন্ত নির্মাণ কাজ যেমন চলতেই থাকবে, পুরকৌশলীদের চাহিদাও ঠিক সেদিন পর্যন্ত থাকবেই!

বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের রাষ্ট্র। আমরা যেভাবে একটু একটু করে উন্নত হচ্ছি, সেটা বেশ আশাব্যঞ্জক। আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও ভালো। যেভাবে উন্নয়ন প্রকল্প গৃহীত হচ্ছে, আগামী ১০০ বছরেও আমাদের দেশে অনেক কাজ হবে। তাই পুরকৌশলের স্নাতকদের বেকার থাকার সুযোগ নেই। এই মুহূর্তে যত বেশি মেধা পাওয়ার প্রয়োজন, আমরা তা পাচ্ছি না। যার কারণে বাইরের দেশ থেকে আনতে হচ্ছে। এখানে বড় একটি সুযোগ রয়েছে এ দেশের শিক্ষার্থীদের। এর বাইরে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পুরকৌশলীদের পদ রয়েছে। আছে অনেক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান, এছাড়াও অনেক নির্মাণ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানতো আছেই। এর বাইরেও পুরকৌশল পড়ে অনেকেই উদ্যোক্তা হচ্ছেন। সব মিলিয়ে আমাদের দেশের বাস্তবতায় শীর্ষ তিন পেশার মধ্যে পুরকৌশল অন্যতম।

কারা পড়তে পারবে

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা পুরকৌশলে পড়তে পারবেন। এর বাইরে যারা পুরকৌশলে পড়তে চান, তাদের বেশ কিছু বিষয়ে এখন থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। এর মধ্যে গণিত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, আমাদের সব নতুন নতুন সমস্যার সমাধান করতে হয়। সে ক্ষেত্রে যারা গণিতে ভালো, তারা ভালো করবেন।

কোথায় পড়বেন

বাংলাদেশের প্রায় সব প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েই সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ রয়েছে। এগুলো হলো- বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শুধুমাত্র ডিপ্লোমা ব্যাকগ্রাউন্ড দের জন্যে, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মিলিটারি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি।

তবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে যদি কম খরচে এবং শিক্ষাবান্ধব পরিবেশে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়তে চান তাহলে বেছে নিতে পারেন রাজধানীর অন্যতম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি। ঢাকার গ্রিন রোডে প্রতিষ্ঠানটির মূল ক্যাম্পাস। দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০১২ সালে যাত্রা শুরু করে সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি। বিশ্ববিদ্যালয়টি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত।

যেসব সুবিধা পাবেন

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয় সম্পর্কে মানুষের যে সাধারণ ধারণা আছে, সেই ধারণাকে উচ্চতর পর্যায়ে পৌঁছে দিতে এবং বাংলাদেশের বুকে নিরাপদ স্থাপনা তৈরির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপনের লক্ষে সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এসেছে আন্তর্জাতিক মানের সিলেবাস, আধুনিক যন্ত্রপাতি আর অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলীর এক অপূর্ব সমন্বয়। বর্তমান পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনা করে সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়ে ফল -২০২০ সেমিস্টারে ভর্তি ইচ্ছুক সকল ছাত্র-ছাত্রীর ভর্তি ফি ৩০০০/- টাকা এবং টিউশন ফির ৫০% ছাড় এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে অনলাইন ক্লাস ও পরিক্ষার সু-ব্যবস্থা রয়েছে।

এখানে পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে প্রফেশনাল ফিল্ডের জন্য উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়। যেমন- প্রত্যেক সেমিস্টারে বাধ্যতামূলক অ্যাসাইনমেন্ট, প্রেজেন্টেশন এবং বিভিন্ন ধরনের ওয়ার্কশপ, সেমিনার ও ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। এতে শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস অনেকাংশেই বেড়ে যায়। এছাড়া এখানে টিউশন ফি কম হওয়ায় গরিব মেধাবীদের লেখাপড়ার সুযোগ রয়েছে। রয়েছে প্রতিটি বিভাগে অত্যাধুনিক ল্যাবের সুব্যবস্থা। শিক্ষার্থীদের জন্য আছে ফ্রি যানবাহনের ব্যবস্থা।

শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়নে প্রতিষ্ঠানটি গবেষণা খাতে বিপুল অর্থ ব্যয় করে থাকে। ২০১৮ সালে গবেষণা খাতে ব্যয়ের দিক থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চতুর্থ স্থান অর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে কর্পোরেট জবে যোগ্য করে গড়ে তুলতে ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে হাতে-কলমে শিক্ষা দিয়ে থাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্যে রয়েছে- ক্যারিয়ার গোলস, পাবলিক স্পিকিং, সিভি ও রিজিউম রাইটিং, জব ইন্টারভিউ, কোয়ানটেটিভ অ্যানালাইসিস ও অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি, আইকিউ, লেখার দক্ষতা ও লিখিত পরীক্ষা, কাস্টমার সার্ভিস স্কিল এবং ডেমো ইন্টারভিউ ও অ্যাসেসমেন্ট ইত্যাদি। এছাড়া আরও রয়েছে বিষয় সংশ্লিষ্ট পাঠ্যবইয়ে সমৃদ্ধ গ্রন্থাগার, অত্যাধুনিক ক্লাসরুম, ডিবেটিং ক্লাব, কালচারাল ক্লাব ও স্পোর্টস ক্লাব।

সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে অধ্যয়নের ক্ষেত্রে চতুর্থ বিষয় ব্যতীত আপনার যদি এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ ৫ থাকে তবে আপনি ১০০ ভাগ ওয়েভার পাবেন। যদি ৪.৮০ স্কোর থাকে তবে আপনি ওয়েভার পাবেন ৫০ ভাগ। এভাবে ক্রমান্বয়ে ৩.৫ পর্যন্ত আপনি ওয়েভার পেতে পারেন। এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব (http://www.su.edu.bd/) ওয়েবসাইটে।

সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির সেশন : এখানে স্প্রিং (জানুয়ারি-এপ্রিল), সামার (মে-আগস্ট) ও ফল (সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর) এ তিনটি সেশনে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়।

যোগাযোগ :

ক্যাম্পাস-১ : ১৪৭/১, গ্রিন রোড, তেজগাঁও, ঢাকা-১২১৫। ফোন : ৪৮১১২২৪৭ মোবাইল : ০১৯৫৫৫২৯৭১৫, ০১৯৫৫৫২৯৭১৬, ০১৯৫৫৫২৯৭১৭, ০১৯৫৫৫২৯৭২০, ০১৯৫৫৫২৯৭০৯

ক্যাম্পাস-২ : জিপি জেএ -১৪৬ ওয়ার্লেস গেট, মহাখালি ঢাকা। মোবাইল : ০১৯৫৫৫২৯৭০২, ০১৯৫৫৫২৯৭০৮, ০১৯৫৫৫২৯৭২২, ০১৯৫৫৫২৯৭২১

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড