বাংলাদেশের ভিসা পাচ্ছে কাশ্মীরের শিক্ষার্থীরা

বাংলাদেশে প্রবেশের ভিসা পেতে যাচ্ছে প্রায় সাড়ে তিনশ কাশ্মীরি শিক্ষার্থী। দিল্লি, কলকাতা, গৌহাটি ও আগরতলায় এক মাস অপেক্ষমাণ থাকার পর ভিসা পাচ্ছে তারা। জরুরি ভিত্তিতে তাদের ভিসা ইস্যু করার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে ‘কাশ্মীরিরা বাংলাদেশের ভিসা পাচ্ছে না’ মর্মে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে সরকারের তরফ থেকে সংশ্লিষ্ট মিশনগুলোতে জরুরি ওই নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

দিল্লির বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার ফরিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, কাশ্মীরি শিক্ষার্থীদের কারও ভিসা আবেদন বাতিল করা হয়নি। মূলত মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ভর্তি সংক্রান্ত কিছু কাজ ঢাকাতে বাকি ছিল। সেখানকার কাজ শেষ না করে আমরা ভিসা ইস্যু করতে পারছিলাম না। এখন তাদের ভর্তির কাজ সম্পন্ন হলেই ভিসা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

এ দিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, আপাতত বিদেশি সব শিক্ষার্থীদের ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সনদের যথার্থতা পরে যাচাই করা হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশে পড়তে আসা বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এককভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। এ ক্ষেত্রে পররাষ্ট্রসহ স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয়ের প্রয়োজন হয়। ফলে পুরো প্রক্রিয়াতে কিছুটা সময় লাগে।

বিষয়টি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে আসার পর থেকেই ঢাকা জানিয়ে আসছে, খবরটি যেভাবে এসেছে বিষয়টি তেমন নয়। এ সংক্রান্ত রিপোর্ট মিথ্যা বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন।

আরও পড়ুন : বিদেশে উচ্চশিক্ষার প্রস্তুতি

ফরিদ হোসেন বলেন, এবার বিদেশিদের জন্য বাংলাদেশে মেডিকেল ভর্তির নিয়মে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের জমাকৃত কাগজপত্র যাচাই এবং তারা যে সিস্টেমে ‘উচ্চ মাধ্যমিকে’ পড়েছেন বাংলাদেশে পড়ানো বিষয়গুলোর সমমানের কি না, তার মূল্যায়নে একটি সনদ চাওয়া হয়। এর যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শেষ। ঢাকা দিল্লির মিশনকে চূড়ান্ত তালিকা দিলেই ভিসা দেওয়ার কাজ শুরু হওয়ার কথা।

তিনি জানান, কাশ্মীরই নয়, এই নিয়ম নেপাল, ভুটান, আফগানিস্তান, ফিলিস্তিন, পাকিস্তানসহ বাংলাদেশে মেডিকেলে পড়তে আসা বিদেশি সব শিক্ষার্থীদের জন্য। কিন্তু কিছু উৎসাহী সংবাদপত্র কাশ্মীরি শিক্ষার্থীদের নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে।

ওডি/জেআই