তিন দফা দাবিতে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ঘেরাও

শতভাগ বেতন প্রদানসহ তিন দফা দাবিতে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর ঘেরাও করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষক-কর্মকর্তারা। দাবি মেনে নেওয়া না হলে পরবর্তী সেশন থেকে দ্বিতীয় শিফটের ক্লাস না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

আন্দোলনকারীরা জানান, কারিগরি শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া হলেও এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নানাভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে। জনবল বৃদ্ধি না করে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২য় শিফট কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। অমানবিক পরিশ্রম করে আমরা তা চালিয়ে গেলেও সেরকম সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না। বরং এ জন্য আগে বেসিক বেতনের ৫০ শতাংশ দেওয়া হলেও তা কমিয়ে ২০১৫ সালের বেতন স্কেলের ৫০ শতাংশ করা হয়েছে।

শিক্ষকরা বলেন, ২য় শিফট পরিচালনার জন্য শিক্ষক-কর্মকর্তারা বেতনের ৫০ শতাংশ পেলেও নতুন সিদ্ধান্তের ফলে ২০ শতাংশ দেওয়া হবে। এ সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নেব না, ২য় শিফট পরিচালনার জন্য আমাদের সুবিধা বাড়িয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও উল্টো কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ জন্য তিন দফা দাবিতে সবাই সমবেত হয়েছি।

তারা জানান, তাদের প্রচেষ্টায় পর্যায়ক্রমে পলিটেকনিক, মনোটেকনিক ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও জনবল বৃদ্ধি করা হয়নি। তাই দাবি মেনে নেওয়া না হলে চলতি বছর ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া পরবর্তী সেশনের ২য় শিফটের ক্লাস নেবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।

তাদের দাবিগুলো হলো- নতুন এ নির্দেশনা বাতিলকরণ, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বর্তমান মূল বেতনের ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ অর্থ প্রদান করা এবং কারিগরি শিক্ষার নিয়োগবিধি মোতাবেক অধিদপ্তর ও বোর্ডের সকল পদ কারিগরি শিক্ষার কর্মকর্তাদের দ্বারা পূরণ করা।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ পলিটেকনিক্যাল পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যকর কমিটির সভাপতি মো. তাহের জামিল বলেন, ‘১৯৮৩ সাল থেকে ৪৯টি কারিগরি পলিটেকনিক ও ৬৫টি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ২য় শিফট চালু করা হয়। বাড়তি ক্লাসের জন্য শুরুতে আমাদের মূল বেতনের ৫০ শতাংশ দিয়ে শুরু করা হলেও পরে তা বৃদ্ধি করার কথা বলা হয়। অথচ তা না বাড়িয়ে আরও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন : ‘বদনাম নিয়ে ঢুকেছি, পজিটিভ ফিডব্যাক চাই’

তিনি বলেন, আমাদের প্রাপ্য সুবিধা আদায় করতে বিগত সময়ে পাঁচবার আন্দোলনে নেমেছি। সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের বারবার আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। এ কারণে আগামী সেশন থেকে আমরা ২য় শিফটে আর ক্লাস নেব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

ওডি/জেআই