শিক্ষা ডেস্ক
হয়রানি ও ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ বন্ধে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলি কার্যক্রম সম্পন্নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর এজন্য অনলাইনে বদলি আবেদন গ্রহণ করা হবে।
শতভাগ দুর্নীতিমুক্ত বদলি কার্যক্রম পরিচালনার এই উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে সফটওয়্যারের পাশাপাশি নীতিমালা তৈরির কাজও চলছে। তবে নতুন পদ্ধতি চালুর আগে পুরনো নীতিমালার অধীনেই শিক্ষক বদলি করা হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ইতোমধ্যে শিক্ষক বদলির নীতিমালা ও সফটওয়্যার তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বদরুল হাসান বাদলের নেতৃত্বে চার সদস্যের কমিটি নীতিমালা তৈরির কাজ করছেন এবং সফটওয়্যার তৈরির দেখভালও করছে।
অতিরিক্ত সচিব বদরুল হাসান বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য হিসেবে মানুষের দোরগোড়ায় ভোগান্তিমুক্ত সেবা পৌঁছে দিতে এ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সফটওয়্যার তৈরিতে বুয়েটের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। এটি তৈরির পর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে। পরিপূর্ণভাবে প্রয়োগের উপযোগী হলে ২০২০ সালের যে কোনো সময় নতুন নীতিমালার আলোকে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে বদলি কার্যক্রম শুরু হবে।’
বর্তমানে বদলির জন্য শিক্ষকরা উপজেলা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে আবেদন করে থাকেন। আন্তঃবিভাগ ও সিটি করপোরেশনে বদলির জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে আবেদন করতে হয়। ফলে প্রতিবছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত বদলি কার্যক্রমে প্রাথমিক শিক্ষা খাতে বড় ধরনের আলোড়ন সৃষ্টি হয়। বদলি নিশ্চিত করতে অনেক শিক্ষক ক্লাস ফেলে তদবিরেও ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এ ক্ষেত্রে ভোগান্তির সঙ্গে ঘাটে ঘাটে টাকা ঢালার ধাক্কাও যুক্ত হয়। জটিল প্রক্রিয়ার কারণে এই কাজে একশ্রেণির দালালও তৈরি হয়েছে। শিক্ষক নেতাদের কাছেও অনেকে ধরনা দেন। ক্ষেত্র বিশেষে প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কাছেও তাদের যেতে হয়।
সূত্রমতে জানা যায়, স্বয়ংক্রিয়ভাবে শিক্ষক বদলির একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। এটির ওপর মতামত নিতে শিগগিরই বৈঠক হতে যাচ্ছে। প্রস্তাবিত নীতিমালায় বিশেষ প্রয়োজনে শিক্ষকদের বদলি কার্যক্রম বছরজুড়ে অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে সাধারণ বদলি আগের মতোই রয়েছে। বদলির আবেদনে শিক্ষকরা পদায়নের তিনটি কর্মস্থলের নাম দেবেন। এরপর নীতিমালা অনুসারে সফটওয়্যার আবেদনকারীর পদায়নস্থলের নাম স্বয়ংক্রিয়ভাবে চিহ্নিত করবে।
এতে আরও বলা হয়, একজন শিক্ষককে একটি কর্মস্থলে ন্যূনতম তিন বছর থাকতে হবে। শূন্য থাকা সাপেক্ষে তিনটি বিদ্যালয়ে বদলির জন্য তিনি আবেদন করতে পারবেন। জেলা সদর ও সিটি করপোরেশন এলাকায় সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত স্বামী বা স্ত্রীর কর্মস্থলে বদলি হওয়ার সুযোগ থাকবে। তবে এ ধরনের ইস্যুতে চাকরিজীবনে একবার সুবিধা নেওয়া যাবে। উপজেলা ও সিটি কর্পোরেশনের বাইরে থেকে সর্বাধিক ১০ শতাংশ শূন্য পদে সংশ্লিষ্ট শহরে বদলি হওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা উপজেলার বিদ্যালয়ের বাইরে থেকে বদলি শিক্ষকদের হালনাগাদ তালিকা সংরক্ষণ করবেন। তবে বৈবাহিক কারণে বদলির ক্ষেত্রে এ শর্ত প্রযোজ্য হবে না।
ওডি/এমএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড