• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৩ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

এমপিওতে ‘জাল’ ইনডেক্স, অধ্যক্ষ নিয়োগ বিতর্ক

  শিক্ষা ডেস্ক

০৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৫:৫২
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় (ছবি : সংগৃহীত)

রাজধানীর টিএন্ডটি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, নিয়োগের ক্ষেত্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনির্দিষ্ট বিধিমালা লঙ্ঘন করা হয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

রবিবার (৯ ডিসেম্বর) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। এ বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।

জানা যায়, ২০১৬ সালের জুন মাসে কলেজের গভর্নিং বডির সুপারিশের আলোকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মহসীন হোসেনকে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের অনুমতি দেন। একই বছরের ৩০ জুন অধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন তিনি। কিন্তু পরবর্তীতে অধ্যক্ষের অভিজ্ঞতার কাগজপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, তিনি যে এমপিওভুক্তির ইনডেক্স ব্যবহার করেছেন তা ঠিক নয়। আসাদুল হক নামের আরেক ব্যক্তির ইনডেক্স নম্বর তিনি ব্যবহার করেছেন। তথ্য গোপন করে অধ্যক্ষ পদে এমপিওর জন্য আবেদন করলে ফিরিয়ে দেয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। ফলে এ নিয়ে বিপাকে পড়ে যায় গভর্নিং বডি।

তবে মাউশি অধ্যক্ষের এমপিও না দেওয়ায় উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করেন মহসীন হোসেন। ঐ সময় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বে থাকা মো. নুরুল্লাহ বলেন, ‘তিনি প্রথমে এমপিওর ইনডেক্স নম্বর দেননি। পরে যখন এমপিওর ইনডেক্স নম্বর চাওয়া হয় তখন তিনি সেটি সংযুক্ত করে এমপিও শিট জমা দেন। তবে সেটি অন্য জনের বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।’

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এ বিষয়ে জানিয়েছে, ফরিদপুর সিটি কলেজের এমপিও বিহীন চাকরির সাত বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে ঐ শিক্ষকের। আর ক্যামব্রিয়ান কলেজের পাঁচ বছরের চাকরিকে অভিজ্ঞতা হিসেবে গণ্য করা যায় না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গভর্নিং বডির এক সিনিয়র সদস্য জানিয়েছেন, যে তথ্যের ভিত্তিতে অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সেটি ঠিক নয়। শিক্ষা অধিদপ্তর এটাকে ‘জাল’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ফলে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পাবার জন্য শিক্ষক হয়েও তিনি নিয়োগ বোর্ডের সঙ্গে এক প্রকার প্রতারণা করেছেন। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক ড. মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ঐ অধ্যক্ষ তার অভিজ্ঞতায় যে তথ্য দিয়েছেন সে অনুযায়ী তিনি নিয়োগ পেতে পারেন না।’

অভিযোগের বিষয়ে অধ্যাপক মহসীন বলেন, ‘আদালত আমার পক্ষে রায় দিয়েছে। আর আমি নতুন এমপিওভুক্তির ইনডেক্স নম্বর পেয়েছি। এখন আর সমস্যা নেই। একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।’

ওডি/জেআই

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড