প্রশিক্ষণের দায়িত্ব সরকারের; শিক্ষক কেন ভুগবে?

প্রধান শিক্ষকরা ১১তম এবং সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে বেতন পাবেন বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম আল হোসেন। তিনি বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন বিবেচনা করা হয়নি।’

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা-২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. এ এফ এম মঞ্জুর কাদির।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষকদের নারাজ করে কিছু করতে চাচ্ছি না। আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব দেওয়া ছিল। অর্থ মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে যে ধারণা দিয়েছে, সে অনুযায়ী করেছি। পরে আমরা রিভিউ করেছি, আমরা একটি নিয়োগবিধি করছি। ১৯৮৫ সালে এটি শেষ নিয়োগবিধি করা হয়েছিল।’

প্রাথমিক সমাপনীতে শিক্ষার্থী কমার কারণ জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পরিবার পরিকল্পনার তথ্য অনুযায়ী আমাদের জন্মের হার কিছুটা কমেছে। সেই কারণে আস্তে আস্তে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীও কমে যাচ্ছে।’

সহকারী শিক্ষকদের একই স্কেলে নিয়ে আসা হচ্ছে জানিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব বলেন, ‘সহকারী শিক্ষকদের প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের ১৪তম ও প্রশিক্ষণ ছাড়াদের ১৫তম গ্রেড। সেটা এক করে ১৩ করা হয়েছে। প্রশিক্ষণের ম্যানডেট হচ্ছে, সরকারের যখন তার নিয়োগ দেয় প্রশিক্ষণের দায়িত্ব সরকারের, তাহলে কেন শিক্ষক ভুগবে।’

ওডি/জেআই