আরিফুল ইসলাম রিফাত
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চুনতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এর পাশেই চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক। অর্থাৎ এ মহাসড়কের ১০০ গজ বামেই বিদ্যালয়টি। এখানে শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায় সাড়ে তিনশো। সড়কের পাশে হওয়ায় এর অর্ধেকেরও বেশি শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়মিত রাস্তা পারাপার করে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে হয়। তবে রাস্তা পারাপারের স্থানে নেই কোনো স্পিড ব্রেকার কিংবা ফুটওভার ব্রিজ।
অপর দিকে বেপরোয়া গতিতে চলে গাড়িগুলো। ফলে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পারাপার করতে হয় এসব শিশু শিক্ষার্থীদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের চুনতি বাজার সংলগ্ন রাস্তার পাশেই বিদ্যালয়টি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়মানুসারে শিক্ষার্থীদের দুই শিফটে পাঠদান করা হয়। এর মধ্যে সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত নার্সারি থেকে ৩য় শ্রেণির পাঠদান করা হয়। এরা সকালে নিয়মিত স্কুলে আসার সময় জীবন ঝুঁকি নিয়ে দ্রুতগামী গাড়ির ভয় উপেক্ষা করে দৌড়ে রাস্তা পার হয়। এর ফলে যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। তবে ছুটির সময় এ স্কুলের দপ্তরি রাস্তা পার হতে সহযোগিতা করেন। পরবর্তী শিফটেরও একই অবস্থা।
একাধিক শিক্ষার্থী দৈনিক অধিকারকে বলেন, আমরা প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসি। এ সময় রাস্তা পার হতেও অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয় কারণ আমাদেরকে দেখলেও গাড়িগুলো গতি কমায় না। আমরা চাই এই স্থানে স্পিড ব্রেকার বা ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করে দেওয়া হোক।
স্থানীয় ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন বলেন, এই স্থানে শিক্ষার্থীরা রাস্তা পারাপারের সময় মৃত্যুর ঘটনা না ঘটলেও ছোট-বড় অসংখ্য দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এ দিকে কোনো মায়ের বুক খালি না হওয়ার আগেই যেন সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ রাস্তা পারাপারের স্থানে স্পিড ব্রেকার বা ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করার জোর দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা।
স্থানীয়রা জানান, চুনতি বাজারের মাঝখানটি অনেক বিপদজনক একটি মোড়। আর ঐ মোড়ে স্পিড ব্রেকার বা এমন কিছু করা দরকার যাতে মোড়ে এসে গাড়িগুলো ধীরে চলে।
শুধু তাই নয়, অভিভাবকরা চান একটা পরিচ্ছন্ন পরিবেশে বিদ্যালয়ে পাঠদান হোক। কিন্তু বিদ্যালয়টির মূল ফটকে প্রতিদিন সকালে শাক-সবজি বিক্রেতাদের দখলে থাকে। এতে করে সৌন্দর্য হারাচ্ছে বিদ্যালয়ের পরিবেশ এবং প্রবেশ পথে জটলা লেগে থাকে।
এ প্রসঙ্গে দৈনিক অধিকারের এ প্রতিবেদকের সঙ্গে একান্ত আলাপে লোহাগাড়ার ইউএনও তৌসিফ আহমেদ বলেন, হাইওয়ে সড়কে স্পিড ব্রেকার নির্মাণের বিধিবিধান নেই। তারপরও আমরা শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে বিষয়টি আমলে রাখব বিকল্প হিসেবে কী করা যায়। এছাড়াও এ বিষয়ে আমাদের অভিভাবক ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সচেতন হতে হবে। তাহলে দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব হবে।
ওডি/আরএআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড