• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৩ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

শিক্ষক সংকটে ফেনী কলেজ, ক্লাস নেন অতিথিরা

  শিক্ষা ডেস্ক

১১ নভেম্বর ২০১৯, ১৩:৩৫
ফেনি সরকারি কলেজ
ফেনি সরকারি কলেজ (ছবি : সংগৃহীত)

শিক্ষক সংকটে ভুগছে ফেনী সরকারি কলেজ। পাশাপাশি শ্রেণিকক্ষের স্বল্পতা, স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর স্তরে শ্রেণি কার্যক্রম কম হওয়া, আবাসন সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত শতবর্ষী এই কলেজটি।

পাঠদানের জন্য পর্যাপ্ত শিক্ষক না থাকায় খণ্ডকালীন শিক্ষক দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে ক্লাস কার্যক্রম। এসব শিক্ষকদের প্রতি ক্লাসের জন্য দেওয়া হচ্ছে ২০০ টাকা করে। এই টাকা প্রতি বিভাগের শিক্ষার্থীদের সেমিনার ফি থেকে দেওয়া হয়।

ফেনী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ বিমল কান্তি পাল জানান, শিক্ষক সংকটের কারণে শ্রেণি কার্যক্রম চালাতে কলেজে ১০ জন অতিথি শিক্ষক নেওয়া হয়েছে। তারা পাঠ্যক্রম অনুসারে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে সহযোগিতা করছেন।

১৯২২ সালে প্রতিষ্ঠিত কলেজটিতে উচ্চমাধ্যমিক ছাড়াও বর্তমানে ১৫টি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর স্তরে পড়ানো হয়। এ ছাড়া স্নাতকোত্তর (প্রিলিমিনারি) কোর্সও চালু রয়েছে।

কয়েকজন শিক্ষক জানান, কলেজের বড় সমস্যা পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাব। এখন প্রতি বিষয়ে চার থেকে ছয়টি করে পদ রয়েছে। বাংলা ও ইংরেজি দুটি বিভাগেই মাত্র তিনজন করে নিয়মিত শিক্ষক রয়েছেন।

বাংলা বিষয়ের বিভাগীয় প্রধান মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘এই বিভাগে শিক্ষকের পদ থাকার কথা কমপক্ষে ১২টি। কিন্তু অনুমোদিত ছয়টি পদের মধ্যে মাত্র তিনজন শিক্ষক আছেন। এ ছাড়া একজন অতিথি শিক্ষক রয়েছেন। ফলে উচ্চমাধ্যমিক থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত প্রায় আট হাজার শিক্ষার্থীর ক্লাস নিতে হিমশিম খেতে হয়।’

এমন পরিস্থিতিতে কলেজের পড়াশোনার মান নিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এরশাদ উল্যাহ ও স্নাতকোত্তরের গণিতের ছাত্র মো. ইব্রাহিম জানান, এই কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে কিছু ক্লাস হলেও স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে ঠিকমতো ক্লাস হয় না।

শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মোহাম্মদ জহির উদ্দিন বলেন, ‘কলেজের শ্রেণিকক্ষগুলোতে স্থান সংকুলান হয় না। শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিতে প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হচ্ছে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক বলেন, ‘কলেজের বিভিন্ন বিভাগে ১৮টি শ্রেণিকক্ষে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস নেওয়ার ব্যবস্থা থাকলেও অনেক সময়ই কিছু যন্ত্রাংশ নষ্ট থাকে। ফলে পেছনের দিকে বসা শিক্ষার্থীরা শুনতে পায় না।’

তিনি আরও জানান, কলেজের পুরনো ভবনের দ্বিতীয় তলায় মূল গ্রন্থাগারের অবস্থা করুণ। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সেখানে পড়ার উপায় নেই। গ্রন্থাগারের ওপরের ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে ইতোমধ্যে অনেক বই নষ্ট হয়ে গেছে।

কলেজের অদূরে ১০০ শয্যার একটি ছাত্রাবাস রয়েছে। যেখানে গড়ে ৫০ জন ছাত্র থাকছেন। অব্যবস্থাপনার কারণে বাকি আসনগুলো খালি পড়ে আছে। কলেজের মূল ক্যাম্পাসের পাশে ছাত্রীদের জন্য ১০০ শয্যার আরও একটি ছাত্রীনিবাস নির্মাণ করা হলেও গ্যাস সংযোগ না থাকায় এটিও চালু করা যাচ্ছে না।

কয়েকজন শিক্ষার্থী বললেন, শিক্ষার্থীদের জন্য নিজস্ব কোনো খেলার মাঠ নেই। যে মাঠটি ছিল সেখানে অনেক আগেই একাধিক অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। সংস্কারের অভাবে কলেজের পুকুরটিও কচুরিপানায় ভর্তি হয়ে ডোবায় পরিণত হয়েছে।

ওডি/জেআই

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড