এমসিকিউ নয় মাধ্যমিকে ভর্তিতে লিখিত পরীক্ষা

দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমেই শিক্ষার্থী বাছাই করা হবে। এবার দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত এমসিকিউ পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু সে বিষয়ে দ্বিমত থাকায় আগের মতোই লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তবে প্রথম শ্রেণির ভর্তিতে লটারির মাধ্যমেই ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিশুর বয়স হতে হবে ছয় বছরের উপরে। এভাবেই সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ভর্তি নীতিমালা ২০২০ প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এই নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়।

নীতিমালা অনুযায়ী, ঢাকা মহানগরীর ৩৬টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে তিনটি গুচ্ছে ভাগ করে পরীক্ষা নেওয়া হবে। একজন শিক্ষার্থী একটি গুচ্ছের একটি স্কুলেই আবেদন করতে পারবে। আগের মতোই বিদ্যালয় সংলগ্ন ক্যাচমেন্ট এরিয়ার জন্য ৪০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা হবে। আর বাকি ৬০ শতাংশ সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। তবে মুক্তিযোদ্ধা কোটা, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ দপ্তরসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য কোটা সংরক্ষণ করা হবে।

২০২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য সব মহানগরী, বিভাগীয় শহর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সকল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভর্তির আবেদন গ্রহণ, আবেদনের ফি গ্রহণ এবং ফলাফল প্রকাশ অনলাইনে করতে হবে। শুধু উপজেলা পর্যায়ের স্কুলগুলোর জন্য ম্যানুয়ালি আবেদনের সুযোগ রাখা হয়েছে। সরকারি স্কুলে আবেদন ফি ধরা হয়েছে ১৭০ টাকা।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক ড. মো. আবদুল মান্নান বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভায় নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়েছে। আমরা প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে বসব। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে অনলাইনে আবেদন, ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণসহ অন্যান্য সময়সূচি ঠিক করা হবে।’

ওডি/জেআই